করোনা মোকাবিলায় করণীয় নিয়ে গ্রিণে ওয়েবিনার
নিজস্ব প্রতিবেদক।
শুধু করোনাভাইরাস নয়, যেকোনো ধরনের মহামারী রোধে প্রযুক্তির ভূমিকা অনেক। এ ক্ষেত্রে আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সি মাধ্যমে যেমন করোনা শনাক্ত ও প্রতিরোধ সম্ভব, তেমনি তা সামাজিক নিরাপত্তা ও রাষ্ট্রের অর্থনৈতিক উন্নয়নেও কাজে লাগানো যেতে পারে। সুতরাং কোভিড-১৯ মোকাবিলায় বাংলাদেশসহ গোটা বিশ্বকেই প্রযুক্তি খাতে নজর দিতে হবে।
রাজধানীর গ্রিন ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশে শুক্রবার ‘হাউ এআই কেন হেল্প ফাইটিং এগেইনিস্ট কোভিড-১৯’ শীর্ষক এক ওয়েবিনারে উপস্থিত বক্তারা এসব কথা বলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের ইইই ক্লাব এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করে। এতে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বক্তব্য রাখেন। আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কাতার ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. এনামুল হক চৌধুরী। বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. ফায়জুর রহমান, ডিসটিংগুইসড প্রফেসর ড. মো. কামরুল আহসান, ইইই বিভাগের চেয়ারপার্সন ড. এএসএম শিহাবুদ্দিনসহ শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।
ওয়েবিনারে অধ্যাপক ড. মো. আব্দুর রাজ্জাক বলেন, করোনাভাইরাস (কোভিড-১৯) মোকাবিলায় এবং মানুষকে সংযুক্ত রাখতে ডিজিটাল প্রযুক্তির প্রয়োজনীয়তা বেড়েছে। তাছাড়া করোনা রোধে এখনও পর্যন্ত প্রযুক্তির ভূমিকা সবচেয়ে বেশি। তিনি বলেন, ইতোমধ্যেই স্মার্ট ডিভাইস ব্যবহার করে কোভিড-১৯ সংক্রান্ত বিভিন্ন গবেষণা তথা রোগ শনাক্তরণ ও ভাইরাস বিস্তারের বিভিন্ন দিক খোঁজা হচ্ছে। ভবিষ্যতেও এই পদ্ধতি অব্যাহত থাকবে।
ড. এনামুল হক চৌধুরী বলেন, চিকিৎসাপদ্ধতিতে এআইয়ের ব্যবহার নতুন ধারনা। এই পদ্ধতি যেমন করোনাভাইরাস আক্রান্ত রোগী শনাক্তে সাহায্য করছে, তেমনি তা আক্রান্ত ব্যক্তি সমাজে কীভাবে করোনা ছড়াচ্ছে; সেটাও খুঁজে বের করছে। বক্তারা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্সির মাধ্যমে করোনা থেকে বাঁচতে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনার ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
এর আগে ওয়েবিনারের প্রথম সেশনে দ্যা ‘আনমেকিং’ অব দ্যা লারজেস্ট সোলার হোম সিস্টেমস মার্কেট’ শীর্ষক এক ওয়েবিনার অনুষ্ঠিত হয়। যুক্তরাজ্যের ডুরহাম ইউনিভার্সিটির শিক্ষক ড. এম ফয়সাল এতে বক্তৃতা করেন।