অনলাইন শিক্ষা কার্যক্রমে সেরা ড্যাফোডিল
মোঃ সাইফুল ইসলাম খান।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শিক্ষায় বিদেশ মুখীতা কমাতে এবং দেশের মধ্যবিত্ত শ্রেণীর মানুষের সন্তানদের উজ্জ্বল ভবিষ্যৎ গড়ার দৃঢ় প্রত্যয় নিয়ে দেশে বসেই আন্তর্জাতিক মানের শিক্ষা প্রদানের লক্ষ্যে ২০০২ সালের ২৪ জানুয়ারীতে যাত্রা শুরু করে। মাত্র ক’বছরে সবাইকে অবাক করে দিয়ে ড্যাফোডিল উঠে আসে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন কর্তৃক মূল্যায়িত মানসম্পন্ন সেরা বেসরকারী বিশ্ববিদ্যায়ের তালিকায়। শুধু বাংলাদেশেই নয় আন্তর্জাতিক পরিমন্ডলেও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সুনাম ছড়িয়ে পড়েছে উল্লেখযোগ্য হারে। সম্প্রতি কিউএস এশিয়া ইউনিভার্সিটি র্যাংকিংয়ে ২০১৯ সালের এশিয়ার সেরা বিশ্ববিদ্যালয়ের তালিকায় দেখা যায় বাংলাদেশে সরকারী এবং বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির অবস্থান ৬ষ্ঠ। এছাড়াও ইউআই গ্রিনমেট্রিক ওয়ার্ল্ড র্যাংকিং ২০১৮ এবং টাইম্স হায়ার এডুকেশন ইউনিভার্সিটি ইমপেক্ট র্যাংকিং ২০২০’এ ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশের শীর্ষস্থানে অবস্থান করছে। এই করোনাকালেও গুগল আয়োজিত ইন্টারন্যাশনাল ফ্লাটার মোবাইল এপস্ হ্যাকাথন ২০২০ এ বিশ্বের বিভিন্ন দেশ থেকে অংশ নেয়া ৬৫০ টি দলকে পিছনে ফেলে রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের টিম টাইগার্স দল।
রাজধানীর ধানমন্ডিস্থ মিরপুর সড়কের শুক্রাবাদ-সোবহানবাগ এলাকায় অবস্থিত ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সিটি ক্যাম্পাস। এছাড়া ঢাকার আশুলিয়াতে সবুজে ঘেরা প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের এক অপরূপ লীলাভূমিতে প্রায় ১৫০ একর জায়গার উপর গড়ে উঠেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস। শিক্ষার্থীরা ক্যাম্পাসে প্রবেশের সাথে সাথেই সবুজ, শ্যামল মায়াবী প্রকুতির এক অন্যরকম অনুভুতির ছোঁয়া পায়। আধুনিক শিক্ষা উপকরণ, আবাসন সুবিধা, লাইব্রেরী,উন্নত ল্যাবরোটরি, ইনোভেশন ল্যাব, সহ-শিক্ষা কার্যক্রম, বিশাল খেলার মাঠ, যাতায়ত সুবিধা, টেনিস কোট, গলফ কোর্স, ওয়াইফাইসহ সব ধরনের আধুনিক সুযোগ সুবিধা বিদ্যমান রয়েছে স্থায়ী ক্যাম্পাসে। ২০% বৃত্তি সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের ভর্তির ব্যবস্থা রয়েছে এখানে।
মেধাবী এবং সেরা শিক্ষক মন্ডলী’র তত্বাবধানে আধুনিক এবং যুগোপযোগী সুযোগ-সুবিধা সম্বলিত একটি পূর্নাঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয় ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশানাল ইউনিভার্সিটি। ভর্তি প্রক্রিয়া থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল কর্মকান্ডই সফটওয়ার ও কম্পিউটারাইজেশনের আওতাভূক্ত। প্রতিটি ক্যাম্পাসেই রয়েছে wifi সুবিধা ।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি শুরু থেকেই ক্যাম্পাসে সরাসরি শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার উপর জোর দিয়ে আসছে। বিশ্ববিদ্যালয়টির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার বলেন, ৮ বছর আগে ২০১৩ সাল থেকে হরতাল, অবরোধসহ রাজনৈতিক অস্থিরতার সময়ে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি সকল শিক্ষাকার্যক্রম বিএলসি প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে শতভাগ সফলতার সঙ্গে সম্পন্ন করে আসছে। তখন থেকেই এ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরা অনলাইন শিক্ষায় পারদর্শীতার প্রমান রেখে চলেছে এবং শিক্ষার্থীরাও প্রযুক্তির সাথে অভ্যস্ত হয়ে পড়েছে। তিনি আরও বলেন, সম্পূর্ণ অটোমেশন এবং ডিজিটাইজেশনের লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিএলসি প্ল্যাটফর্মের সঙ্গে স্মার্ট এডু প্ল্যাটফর্ম সম্পৃক্ত করেছে যার মাধ্যমে প্রশাসনিক কার্যক্রমও পরিচালনা করা হচ্ছে। শিক্ষার্থীদের ক্লাস, কুইজ, এসাইনমেন্ট, প্রেজেন্টেশন,ডিসকাশন, ক্লাব কর্মকান্ড সবই চলে অনলাইনে এবং এ ক্ষেত্রে শিক্ষক ও শিক্ষার্থীরা শতভাগ সাফল্যের স্বাক্ষর রেখে চলেছে। এক কথায় প্রযুক্তির ছোঁয়ায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা এগিয়ে চলছে দূর্বার গতিতে। যার প্রমান সম্প্রতি করোনাকালে গুগল আয়োজিত ফ্লাটার হ্যাকাথনে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা বিশ্ব রানার আপ হওয়ার গৌরব অর্জন করেছে। শিক্ষার্থীদের ফোর্থ ইন্ডাস্ট্রিয়াল রেভ্যুলেশন এর জব সেক্টরের জন্যে প্রস্তুত করে তোলার জন্যে এবং রোবটিক প্রসেস অটোমেশন এর কাজে শিক্ষার্র্থীদের দক্ষ করে তুলতে ইউআইপাথ একাডেমিক আলাইন্স এডুকেশন পার্টনার হয়েছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
করোনা মহামারীর কবলে যখন সারা দেশের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানসমূহ বন্ধ হয়ে পড়ে তখনও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি বিএলসি প্ল্যাটফর্ম ও স্মার্ট এডু প্লাটফর্ম ব্যবহার করে শিক্ষার্থীদের ক্লাস কার্যক্রম ও পরীক্ষা সমূহ চালিয়ে নিতে সক্ষম হয়। শুধু তাই নয়, এই সময়ে করোনাথন-১৯, অনলাইন লার্নিং সামিট, ভার্চুয়াল জবফেস্টের মত জাতীয় ও আন্তর্জাতিক অনুষ্ঠান ও সফলতার সাথে অনলাইনে আয়োজন করে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।
করোনা মহামারির কারণে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ২০২০ সালের ফল সেমিস্টারের ভর্তি হওয়া নতুন শিক্ষার্থীদের জন্য কমপক্ষে ৫০% থেকে ১০০% পর্যন্ত বৃত্তি প্রদান করছে। এছাড়া ২০২০ সালের সামার সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের জন্য ২০ কোটি টাকার আর্থিক সহায়তা প্রদান করেছে। এছাড়াও বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে রয়েছে ১০% থেকে ১০০% বৃত্তি সুবিধা। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি দেশের প্রথম এবং পথিকৃৎ ডিজিটাল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে পরিচিত। বিভিন্ন ধরনের বিপর্যয়ের সময়ে অনলাইনে ক্লাস পরিচালনা করার বিস্তর অভিজ্ঞতা রয়েছে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের। সেইসব অভিজ্ঞতা করোনা মহামারির এই সময়ে তাদেরকে খুব সাহায্য করছে।
বর্তমান সামার সেমিস্টারে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ১৬ হাজারেরও অধিক শিক্ষার্থীকে এই প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে ১৬৪৭টি কোর্স পড়ানোর ব্যবস্থা করেছে। এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ের রয়েছে ওয়েবিনার পরিচালনার প্রযুক্তি, যার মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন বিশ্বসেরা অধ্যাপকদের ক্লাস করার সুযোগ পায়। শিক্ষার্থীরা যাতে সহজেই অনলাইন ক্লাসে অংশ নিতে পারে সেই লক্ষ্যে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি অনেক আগে থেকেই শিক্ষার্থীদেরকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করে আসছে এবং বর্তমান এই মহামারীর সময়ও চলমান সেমিস্টারে শিক্ষার্থীদের কথা বিবেচনা করে ইতিমধ্যে নির্ধারিত সময়ের আগেই ২৫০০ ল্যাপটপ প্রদান করেছে এবং ফল ২০২০ সেমিস্টারে ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীদের হাতে ভর্তির সাথে সাথেই ল্যাপটপ তুলে দিচ্ছে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
সব মিলিয়ে করোনা পরবর্তী নিউনরমাল পরিস্থিতির কথা মাথায় রেখে এবং চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের যুগে বৈশ্বিক চাকরি বাজারের সাথে মানিয়ে নিতে শিক্ষার্থীদের উপযুক্তরুপে গড়ে তুলছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। বাংলাদেশের বেসরকারী বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে সুনামের সাথে পরিচালিত হচ্ছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যশনাল ইউনিভার্সিটি যা শিক্ষার্থীদের উচ্চ শিক্ষার ক্ষেত্র হিসেবে হতে পারে এক অনন্য প্রতিষ্ঠান।
মোঃ সাইফুল ইসলাম খান।জনসংযোগ কর্মকর্তা।ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি
shaiful@daffodilvarsity.edu.bd