গ্রিনে শিক্ষার্থীদের ৮ কোটি টাকার প্রণোদনা প্যাকেজ

নিজস্ব প্রতিবেদক।

করোনা পরিস্থিতিতে শিক্ষার্থীদের পড়াশোনা স্বাভাবিক রাখতে ৮ কোটি টাকার শিক্ষা প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। ব্যতিক্রমী এই উদ্যোগের আওতায় শিক্ষার্থীরা টিউশন ফি মওকুফ, আর্থিক সুবিধা ও ইন্টারনেট ডেটা খরচসহ শিক্ষাসংক্রান্ত নানা ধরনের আর্থিক সহায়তা পাচ্ছেন।

প্রণোদনার প্যাকেজে কোনো শিক্ষার্থী করোনায় আক্রান্ত (কাম্য নয়) হলে আবেদন সাপেক্ষে টিউশন ফি মওকুফসহ তাকে অন্যান্য আর্থিক সহায়তা করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিশ^বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। অন্যদিকে নতুন ভর্তি হওয়া শিক্ষার্থীরা সম্পূর্ণ টিউশন ফি’র উপর সর্বনিম্ন ২০% থেকে সর্বোচ্চ ১০০% পর্যন্ত ছাড় পেয়েছেন।

স্প্রিং ও সামার সেমিস্টারের বর্তমান ও নতুন শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ডেটা কিনতে রেজিস্ট্রেশন ফি থেকে ৫০০ টাকা মওকুফ করা হয়েছে। এর বাইরে বিশ^বিদ্যালয়ের সকল ছাত্র-ছাত্রীর জন্য সেমিস্টার ফি’র ওপর প্রাপ্ত ওয়েভার, ডিসকাউন্ট ও স্কলারশিপের ওপর থেকে সব ধরনের শর্ত আগামী দুই সেমিস্টার পর্যন্ত শিথিল করা হয়েছে। মওকুক করা হয়েছে সব ধরনের বিলম্ব ফি।

এদিকে করোনাকালে নতুন শিক্ষার্থীদের ভর্তিতে টিউশন ফি’র ওপর সর্বনিম্ন ২০% থেকে সর্বোচ্চ ১০০% ছাড় দেয়া হয়েছে। সিএসই (ইভিনিং) ও ইইই (ইভিনিং) প্রোগ্রামে ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের জন্য রয়েছে অতিরিক্ত ৫ শতাংশ ওয়েভার। এসএসসি ও এইচএসসির ফলাফল ও করপোরেট ও গ্রুপভিত্তিক ভর্তি হলেও রয়েছে বিশেষ ছাড়।

Post MIddle

এদিকে করোনাকাল শুরু হওয়ার কিছুদিন পর থেকেই ইউজিসির নির্দেশনা মেনে অনলাইন পদ্ধতিতে শিক্ষা কার্যক্রমম চালিয়ে যাচ্ছে গ্রিন ইউনিভার্সিটি। এর আগের অনলাইন প্ল্যাটফর্ম বিডিরেনের প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী, ইতোমধ্যেই ১০ হাজার ১৬৪টি অনলাইন ক্লাস পরিচালানা করেছে এই বিশ্ববিদ্যালয়। যা সংখ্যার দিক থেকে দ্বিতীয় অবস্থানে।

এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. গোলাম সামদানী ফকির জানান,‘‘গ্রিন ইউনিভার্সিটি সব সময়ই মেধাবী, অসচ্ছল শিক্ষার্থীদের বৃত্তি ও শিক্ষা প্রণোদনাসহ বিভিন্নভাবে সহায়তা করে আসছে। করোনা বিপর্যয়ে আর্থিক সমস্যায় থাকা শিক্ষার্থীরা যাতে পড়াশোনা অব্যাহত রাখতে পারে, সে বিষয়টি মাথায় রেখে বিশেষ এই প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করা হয়েছে। গত ১লা জুলাই থেকে সামার-২০২০ সেমিস্টার শুরু হয়েছে বলেও জানান তিনি।’’

প্রসঙ্গত, গ্রিন ইউনিভার্সিটির যাত্রা ২০০৩ সালে হলেও ২০১১ সালে ইউএস-বাংলা গ্রুপ দায়িত্ব নেয়ার পর বৃহৎ আকারে এর পরিবর্তন আসে। ঢাকার সন্নিকটে পূর্বাচল আমেরিকান সিটির নান্দনিক পরিবেশে গড়ে তুলেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস। যার আইসিসি মানদ-ে তৈরি সুবিশাল মাঠ সহজেই সবার নজর কাড়ছে।

পছন্দের আরো পোস্ট