ভর্তির সাথেই ফ্রি ল্যাপটপ দিচ্ছে ড্যাফোডিল ইউনিভার্সিটি
নিজস্ব প্রতিবেদক
কোভিড-১৯ মহামারীর এই দুর্যোগকালে বাড়ীতে বসে নির্বিঘেœ শিক্ষাকার্যক্রম চালিয়ে নেওয়ার সুবিধার্থে ফল ২০২০ সেমিষ্টারে ভর্তি হওয়ার সাথে সাথেই প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যের ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করেছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি। গত ০৯ জুলাই ২০২০ তারিখে বিশ্বব্যিালয়ে ব্যবস্থাপনা কমিটির সভায় এ সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন বিশবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহাবুব-উল-হকমজুমদার। বিগত দিনগুলিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সাধারনতঃ ভর্তির এক বছর পর ”একজন শিক্ষার্থী একটি ল্যাপটপ” প্রকল্পের আওতায় প্রতিটি শিক্ষার্থীকে বিনামূল্যে ল্যাপটপ প্রদান করে আসছিল। বর্তমান কোভিড-১৯ এর এই সংকটময় পরিস্থিতি বিবেচনা করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ভর্তির সাথে সাথেই শিক্ষার্থীদের হাতে ল্যাপটপ তুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে যাতে শিক্ষার্থীরা বাড়ীতে বসেই অনলাইনে ক্লাস কার্যক্রমে অংশগ্রহণ করেতে পারে।
তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে গড়ে তুলতে এবং প্রতিযোগীতামূলক চাকরির বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসেবে ২০১০ সালের সামার সেমিষ্টার থেকেই ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি প্রতিটি শিক্ষার্থীর হাতে বিনামূল্যে তুলে দেয়ার যুগান্তকারী, দুঃসাহসিক ও ঐতিহাসিক এ কর্মসূচী গ্রহণ করেছে। এ প্রকল্পের ফলে এটা দৃশ্যমান হচ্ছে যে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা মেধা ও তথ্য প্রুযুক্তিজ্ঞানে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক চাকরীর বাজারে প্রতিযোগিতায় অন্যন্য গ্র্যাজুয়েটদের তুলনায় অনেক এগিয়ে আছে।
২০১০ সালে তৎকালীন শিক্ষামন্ত্রী নুরুল ইসলাম নাহিদ যুগান্তকারী এ প্রকল্প উদ্বোধন করেন যা শুধু বাংলাদেশের জন্য নয়, সমগ্র পুথিবূতে একটি দুঃসাহসিক প্রকল্প হিসেবে বিবেচিত এবং শুধুমাত্র ড্যাফোডিল পরিবারের তথ্যপ্রযুক্তি সামর্থ্যরে কারনে সফল বাস্তবায়ন সম্ভব হয়েছে। এ প্রকল্প সরকারের ’ডিজিটাল বাংলাদেশ’ বিনির্মাণেও গুরুত্বপূর্ন ভ‚মিকা রাখছে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রদত্ত এ ল্যাপটপ প্রতিটি শিক্ষার্থীকে
তথ্যপ্রযুক্তি জ্ঞানে সমৃদ্ধ এবং দক্ষ করে বাস্তব ও কর্মমুখী জীবনের উপযোগী করে গড়ে তুলতে সহায়ক ভ‚মিকা পালন করে যার ফলশ্রুতিতে শিক্ষার্থীরা মেধা ও মননের বিকাশে দেশীয় ও আন্তর্জাতিক বাজারে সম্মানজনক অবস্থান তৈরী করতে পারে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের মাঝে ৪০ হাজার ল্যাপটপ বিতরণ করেছে।