বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে!
লেখাপড়া ডেস্ক।
যুক্তরাষ্ট্রের কোনো বিশ্ববিদ্যালয় যদি তাদের সমস্ত ক্লাস অনলাইনে করার সিদ্ধান্ত নেয়, তাহলে ওই বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়তে দেশটিতে অবস্থান করা বিদেশি শিক্ষার্থীদের ভিসা প্রত্যাহার করে নেয়া হবে বলে জানিয়েছে মার্কিন ইমিগ্রেশন অ্যান্ড কাস্টমস এনফোর্সমেন্ট (আইসিই) ।
সশরীরে উপস্থিত থাকার দরকার আছে, বিশ্ববিদ্যালয়ের এমন কোনো কোর্সে ভর্তি না থাকলে বিদেশি শিক্ষার্থীদের যুক্তরাষ্ট্র ছাড়তে হবে, বলেছে তারা।
নতুন এ নিয়ম না মানলে শিক্ষার্থীদের জোর করে ফেরত পাঠানো হতে পারে বলেও সংস্থাটি সতর্ক করেছে।
মহামারী আকারে ছড়িয়ে পড়া নতুন করোনাভাইরাসের কারণে অনেক বিশ্ববিদ্যালয়ই এখন তাদের সব ক্লাস অনলাইনে নেয়ার দিকে ঝুঁকছে বলে জানিয়েছে বিবিসি।
আইসিই-র নতুন এ সিদ্ধান্তে কত শিক্ষার্থী ক্ষতিগ্রস্ত হবে, তা স্পষ্ট হওয়া যায়নি।
প্রতিবছর বিপুল সংখ্যক বিদেশি শিক্ষার্থী যুক্তরাষ্ট্রে পড়তে যায়। তাদের বেশিরভাগকেই সম্পূর্ণ টিউশন ফি দিতে হয়। এই অর্থ মার্কিন বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর আয়ের অন্যতম উৎস।
বিবিসি জানিয়েছে, করোনাভাইরাসজনিত পরিস্থিতিতে নতুন শিক্ষাবর্ষে সকল কোর্সের নির্দেশনা অনলাইনে দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে হার্ভার্ড কর্তৃপক্ষ।
এ নির্দেশনা কেবল যুক্তরাষ্ট্রে ফিরে যেতে ইচ্ছুক শিক্ষার্থীদের জন্যই নয়, যারা এখনও যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থান করছেন, তাদের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য হবে বলে জানিয়েছে তারা।
যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থীদের অনলাইনেই বসন্ত ও গ্রীষ্মকালীন সেশনের সব কোর্স করার অনুমতি দিয়েছিল আইসিই পরিচালিত স্টুডেন্ট অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ ভিজিটর প্রোগ্রাম, কিন্তু শরৎকালীন সেশনে আর এ সুযোগ থাকছে না।
সোমবারের ঘোষণায় বলা হয়েছে, যুক্তরাষ্ট্রে অবস্থানরত বিদেশি শিক্ষার্থী, যারা কেবল অনলাইনে করা যায় এমন কোর্সগুলোতে ভর্তি হয়েছে এবং সশরীরে উপস্থিত থাকতে হবে এমন কোর্স নেয়নি তারা নতুন নিয়মের আওতায় পড়বে।
নতুন এ নিয়ম মূলত এফ-১ ও এম-১ ভিসাধারীদের ক্ষেত্রেই প্রয়োজ্য হবে। ২০১৯ সালে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ‘এফ’ ক্যাটাগরির তিন লাখ ৮৮ হাজার ৮৩৯টি এবং ‘এম’ ক্যাটাগরির ৯ হাজার ৫১৮টি ভিসা দিয়েছিল বলে আইসিই-র দেয়া তথ্যে জানা গেছে।
২০১৮ সালে যুক্তরাষ্ট্রের অর্থনীতিতে বিদেশি শিক্ষার্থীদের অবদান ছিল ৪৫ বিলিয়ন ডলার, জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্রের বাণিজ্য মন্ত্রণালয়।