প্রত্যেক শিক্ষক-শিক্ষার্থীকে একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান শিক্ষা মন্ত্রীর

নিজস্ব প্রতিবেদক।

জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে প্রত্যেক শিক্ষক ও শিক্ষার্থীকে একটি করে গাছ লাগানোর আহ্বান জানিয়েছেন শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি। একটি গাছ কাটলে অন্তত দশটি গাছ লাগানোর আহ্বানও জানান তিনি।

শুক্রবার (২৬ জুন) অনলাইনে স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের আয়োজনে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে বৃক্ষরোপন অভিযানের উদ্বোধনের সময় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।

 

শিক্ষামন্ত্রী বলেন, দীর্ঘদিন অযত্ন-অবহেলায় আমাদের বনাঞ্চল নষ্ট হয়ে গিয়েছিল। বনাঞ্চলকে রক্ষা করতে এবং পরবর্তী প্রজন্মের জন্য একটি বাসযোগ্য বাংলাদেশ বিনির্মাণে প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা বৃক্ষরোপন অভিযানের সূচনা করেন।

স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের আহ্বায়ক প্রফেসর নাসির উদ্দিনের সভাপতিত্বে অনলাইন অনুষ্ঠানে আরও যুক্ত ছিলেন শিক্ষা উপমন্ত্রী মহিবুল হাসান চৌধুরী, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের সচিব মো. মাহাবুব হোসেন, মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক সৈয়দ গোলাম ফারুক, আওয়ামী লীগের বন ও পরিবেশ বিষয়ক সম্পাদক দেলোয়ার হোসেন, স্বাধীনতা বিসিএস সাধারণ শিক্ষা সংসদের যুগ্ম আহ্বায়ক বিপুল চন্দ্র, সদস্য সচিব জাফর আলী, কার্যনির্বাহী কমিটির সদস্য কুমার ঘোষ প্রমুখ।

Post MIddle

শিক্ষামন্ত্রী আরও বলেন, প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে প্রকৃতি-পরিবেশ সংরক্ষণে বহু নীতি, আইন ও বিধিমালা প্রণয়ন করেছে আমাদের সরকার। পরিবেশ সংরক্ষণে সংবিধানেরও সংশোধন করা হয়েছে। সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংযোজন করে ১৮(ক) অনুচ্ছেদে বলা হয়েছে—‘রাষ্ট্র বর্তমান ও ভবিষ্যৎ নাগরিকদের জন্য পরিবেশ সংরক্ষণ ও উন্নয়ন করিবেন এবং প্রাকৃতিক সম্পদ, জীববৈচিত্র্য, জলাভূমি, বন ও বন্যপ্রাণীর সংরক্ষণ এবং নিরাপত্তা বিধান করিবেন।’

মাহবুব হোসেন বলেন, আমাদের সবাইকে চাকরির বাইরেও দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ হয়ে কাজ করে যেতে হবে। করোনার এ মহামারির সময়েও আমাদের কোন কিছুই থেমে থাকবে না। আমাদের সব রকমের কাজ চালিয়ে যেতে হবে। আমাদের ভিন্ন পদ্ধতি গ্রহণ করতে হবে এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে কাজ করতে হবে।

তিনি বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির সময়ে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপনে আজকের এই বৃক্ষরোপণ অভিযান একটি চমৎকার দৃষ্টান্ত। এজন্য তিনি আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।

সৈয়দ গোলাম ফারুক বলেন, করোনা ভাইরাসের মহামারির মধ্যেও শিক্ষা মন্ত্রণালয় বিশ্বের তৃতীয় দেশ হিসেবে টেলিভিশন এবং অনলাইনে শিক্ষা কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছে। যা শিক্ষা মন্ত্রণালয়েকে নিয়ে গেছে উচ্চতম মর্যাদায়। যার অংশীদার আপনারাও।

পছন্দের আরো পোস্ট