করোনায় বিপর্যস্ত শিক্ষা ব্যবস্থা ও উত্তরণে করণীয় কতিপয় প্রস্তাবনা

অধ্যক্ষ শাহজাহান আলম সাজু

বিশ্ব মহামারি কোভিড-১৯ ‘করোনা ভাইরাস’এর ভয়াবহ থাবায় দীর্ঘ তিন মাস যাবৎ বাংলাদেশের সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সম্পুর্ন বন্ধ রয়েছে। ফলে দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা এক চরম সংকটের মধ্যে পড়েছে। চরম বিপর্যস্হ শিক্ষা ব্যবস্থাকে সচল রাখার জন্য সরকার প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। সরকার সংসদ টিভি’র মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার পাশাপাশি বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান অনলাইন ব্যবস্থায় ক্লাশ নেওয়ার মাধ্যমে শিক্ষার্থীদের পড়ার টেবিলে রাখার আপ্রাণ চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে। এতে করে শহর কেন্দ্রিক শিক্ষার্থীদের একটি অংশ হয়ত উপকৃত হচ্ছে, বাস্তবতা হলো দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের বৃহদাংশের শিক্ষার্থীরা এই সুযোগ থেকে বঞ্চিত রয়েছে। তারা লেখা পড়া থেকে দুরে আছে। বিশেষ করে দেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলের প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের বৃহদাংশ প্রযুক্তির এই সুফল থেকে বঞ্চিত রয়ে যাচ্ছে। ফলে দেশের শিক্ষা ক্ষেত্রের ক্ষতি পুষিয়ে আনা অনেক কঠিন ব্যাপ্যার হয়ে দাড়াবে।

 

করোনার প্রভাবে দেশে শিক্ষার সাথে সংশ্লিষ্ট প্রায় ৪ কোটি শিক্ষার্থী,প্রায় ১৪ লক্ষ শিক্ষক এবং প্রায় ৮ লক্ষ কর্মকর্তা কর্মচারী আজ বিভিন্ন ভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়েছেন। শিক্ষার্থীরা অলসভাবে সময় কাঠানোর ফলে আজ তারা পড়াবিমুখ হয়ে যাচ্ছে। দীর্ঘদিন এ অবস্হা চলতে থাকলে তাদের পড়ামুখী করা অনেক কষ্টকর হবে। তাছাড়া অলস সময়ে হতাশা থেকে তারা বিভিন্ন অপরাধমুলক কর্মকান্ডে জড়িয়ে পড়তে পারে। অনেকে পড়ালেখা থেকেও ছিটকে পড়তে পারে। করোনায় অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতিগ্রস্হ হয়ে পড়া নিন্ন আয়ের পরিবারের শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে ব্যাপক প্রভাব পড়তে পারে যাতে করে অনেক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে।

 

বাংলাদেশ শিক্ষা ব্যবস্থায় অধিকাংশ শিক্ষাই বেসরকারি ব্যবস্থায় পরিচালিত হয়ে থাকে। প্রাথমিক স্তরে বেসরকারি শিক্ষার হার কম হলেও মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক স্তরে প্রায় ৯৭% শিক্ষা বেসরকারি খাতে পরিচালিত হয়ে থাকে। এর মধ্যে সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত এমপিওভুক্ত শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক কর্মচারীরা তাদের বেতনের শতভাগ সরকার থেকে পেলেও বাড়ি ভাড়া, চিকিৎসা ভাতা যতসামান্য হলেও মাসে মাসে সরকারি বেতন পাচ্ছে বিধায় তারা হয়ত কোনরকম জীবন চালিয়ে যাচ্ছেন। কিন্তু এমপিও বহির্ভূত প্রতিষ্ঠানে কর্মরত শিক্ষক কর্মচারীরা সরকারি কোন সুযোগ সুবিধা পান না। প্রতিষ্ঠানের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায়কৃত টিউশন ফি’র আয় থেকে প্রতিষ্ঠানের ব্যয় নির্বাহের পর সংরক্ষিত আয় থেকে শিক্ষক কর্মচারীদের যতসামান্য বেতন দেওয়া হয়। এর বাইরে এসব শিক্ষকরা প্রাইভেট পড়িয়ে যা আয় করেন তা দিয়ে কোনরকম জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন। করোনার ফলে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি বন্ধ। এছাড়া উদ্ধুত পরিস্থিতিতে প্রইভেট পড়ানোও সম্ভব নয়। এমতাবস্থায় তারা অত্যন্ত মানবেতর জীবনযাপন করছেন। উল্লেখ এমপিভুক্ত প্রতিষ্ঠানেও অনেক ননএমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারী রয়েছেন প্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকায় তাদেরও অধিকাংশ প্রতিষ্ঠান থেকে কোন আর্থিক সুবিধা না পাওয়ায় তাদের মানবেতর জীবনযাপন করতে হচ্ছে।

এছাড়াও সম্পুর্ণ বেসরকারি উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত কিন্ডারগার্টেন স্কুল সম্পুর্ন স্ব-উদ্যোগে পরিচালিত হয়ে থাকে। বিশেষ করে প্রাথমিক ও মাধ্যমিক স্তরে সারাদেশে বিপুল সংখ্যক কিন্ডারগার্টেন গড়ে উঠেছে। এসব প্রতিষ্ঠান অধিকাংশই ভাড়া বাড়িতে পরিচালিত হয়ে থাকে এবং শিক্ষার্থীদের টিউশন ফি’র টাকার উপর সম্পুর্ন নির্ভরশীল। বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ও শিক্ষক রয়েছে কিন্ডারগার্টেনে । এসকল প্রতিষ্ঠানের মান ও উদ্দেশ্যে নিয়ে অনেক প্রশ্ন থাকলেও কিন্ডারগার্টেন আজ বাংলাদেশে একটি বিশাল সেক্টর হিসাবে গড়ে উঠেছে। করোনার জন্য গত তিনমাস যাবৎ কিন্ডারগার্টেন স্কুল বন্ধ থাকায় এসব প্রতিষ্ঠান চরম অর্থ সংকটে পড়েছে। বিশেষ করে ভাড়া বাড়িতে প্রতিষ্ঠিত স্কুল সমুখে বাড়ির ভাড়া দিতে না পারায় ইতোমধ্যে অনেক প্রতিষ্ঠান বন্ধ হয়ে গেছে। অন্যান্য প্রতিষ্ঠানও চালিয়ে যাওয়া অত্যন্ত দুরহ হয়ে পড়েছে। ফলে এসব প্রতিষ্ঠান টিকিয়ে রাখা অত্যন্ত কঠিন হবে। এমতাবস্থায় বিপুল সংখ্যক শিক্ষার্থী ঝড়ে পড়ার পাশাপাশি এসব প্রতিষ্ঠানে কর্মরত কয়েক লক্ষ শিক্ষিত বেকার হয়ে পড়ার আশংকা দেখা দিয়েছে। জাতীয়ভাবে এর প্রভাব পড়তে পারে।

 

এদেশের শিক্ষা খাতে বিবিধ সমস্যা বিরাজমান রয়েছে। যুগ যুগ ধরে চলে আসা এসব সমস্যা নিয়েই এগিয়ে যাচ্ছে আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা। তবে এ কথা অনস্বীকার্য বর্তমান আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে শিক্ষা ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য উন্নতি সাধিত হয়েছে। একটি শিক্ষানীতি প্রনয়ণ, বছরের প্রথম দিনে সকল শিক্ষার্থীদের মধ্যে বিনামূল্যে নতুন বই প্রদান,২৬ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয় জাতীয়করণ,পাঁচ শতাধিক মাধ্যমিক স্কুল ও উচ্চ মাধ্যমিক কলেজ জাতীয়করণ,বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারীেদের জন্য ৫% ইনক্রিমেন্ট,২০% বৈশাখীভাতা প্রদান, নতুন জাতীয় স্কেলে অন্তর্ভুক্ত,কল্যাণ ও অবসর বোর্ডের জন্য ০১ হাজার ৬৫৭ কোটি টাকার বিশেষ বরাদ্দ, কারিগরি শিক্ষার উপর বিশেষ গুরুত্ব প্রদান, ৪ হাজার ৩৫৪ টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এমপিওভূক্তকরণ, প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্ট ফান্ড গঠন, বিশেষভাবে উল্লেখ্য।

 

বর্তমান সরকার এতসব উদ্যোগ গ্রহণ করার পরও এখনো শিক্ষা খাতে অনেক সমস্যা বিরাজমান রয়েছে। করোনা পরবর্তী বিপর্যস্হ শিক্ষাখাতকে চাঙা করতে হলে এসব সমস্যা সমাধানে বিশেষ উদ্যোগ নিতে হবে । এ ক্ষেত্রে মাধ্যমিক ও উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষায় বেসরকারি খাতে পরিচালিত হওয়া দেশের ৯৭% শিক্ষার প্রতি সরকারকে বিশেষভাবে গুরুত্ব দিতে হবে। সরকারকে সাধুবাদ জানানো প্রয়োজন এজন্য যে, করোনাকালীণ এই মহাদুর্যোগের মধ্যেও এবারের বাজেটে সরকার শিক্ষা ও প্রযুক্তি খাতে এযাবৎকালের সর্বোচ্চ ৮৫ হাজার ৬০০ কোটি টাকা বরাদ্দের প্রস্তাব করেছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীতে শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের সূচনা সহ শিক্ষা ক্ষেত্রে আরো অনেক কিছুই আমরা আশা করেছিলাম। কিন্তু মহামারী করোনার থাবা অনেক হিসাবই বদলে দিয়েছে। আমার ধারণা করোনা পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে কয়েক মাসের মধ্যে বাজেট পুনঃ সংশোধনের প্রয়োজন হতে পারে। রাষ্টিয় প্রয়োজনে দেশের পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের বাজেট কাটছাট হতে পারে। তবে শিক্ষাকে সবসময় সর্বাধিক গুরুত্ব দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনায় রাখতে হবে।

 

শিক্ষা ছাড়া জাতিকে এগিয়ে নেওয়া কোনভাবেই সম্ভব নয়। করোনায় বাংলাদেশে শিক্ষা ক্ষেত্রে যে ক্ষত সৃষ্টি করে দিয়ে গেছে এ ক্ষত বহুদিন আমাদের ভোগাবে তাতে কোন সন্দেহ নেই। এখন এই সংকট নিরসনে সরকারকে অতিদ্রুত যথাযত পদক্ষেপ নিতে হবে। শিক্ষার এই সংকট নিরসন এবং শিক্ষা ব্যবস্থাকে টেকশই করতে কতিপয় প্রস্তাবনাঃ

 

এক. আপদকালীন সময়ে সংসদ টিভি, এফএম রেডিও, অনলাইন ক্লাশ বৃদ্ধি, প্রযুক্তির ব্যবহার বৃদ্ধি সহ স্ব স্ব শ্রেণি শিক্ষকদের ব্যক্তিগত উদ্যোগে মোবাইলে শিক্ষার্থী এবং তাদের অভিভাবকদের সাথে যোগাযোগ রক্ষা করে পড়ালেখা ও সৃজনশীল কর্মকান্ডের প্রতি আগ্রহ সৃষ্টি করা। এ ক্ষেত্রে শুধু শ্রেণি পাঠ্য নয় গল্পের বই,শিক্ষামুলক বা সৃষ্টিশীল বিভিন্ন কর্মকান্ডে সম্পৃক্ত থাকা এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে ফিজিক্যাল কর্মকান্ডে যুক্ত হতে উৎসাহিত করা।

Post MIddle

দুই.পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে সিলেবাস কমিয়ে আনা,শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল ছুটি বাতিল করা,অতিরিক্ত ক্লাশ নেওয়া,ডাবল সিফট চালু করা এবং প্রযুক্তি নির্ভর শিক্ষার ব্যবহার বাড়ানো।

তিন. শিক্ষকদের অনেক সংকট রয়েছে একথা সত্য। তথাপিও মনে রাখতে হবে শিক্ষকতা শুধু চাকরি নয় একটি মহান ব্রত। শিক্ষকরা হলেন জাতির বাতিঘর। জাতির দুঃসময়ে শিক্ষরাইতে এগিয়ে আসবে। করোনার দুর্যোগে শিক্ষকরা যথাসাধ্য ভূমিকা পালন করে চলেছেন। তাদের আরো বেশি বেশি দায়িত্ব পালন করতে হবে। ছাত্র ও অভিবাবকদের সাথে যোগাযোগ বাড়াতে হবে।

চার. শিক্ষকদের পেটে খিদে রেখে শ্রেণী কক্ষে ভাল পাঠদান সম্ভব নয়। তাদের সংসারের নুন্যতম চাহিদা সরকারকে পুরণ করতে হবে। ননএমপিও শিক্ষককর্মচারিদের (অনার্স মাস্টার্স,স্বতন্ত্র এবতেদায়ি,এসিটি) বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করে তাদের এমপিও নিশ্চিত করতে হবে।

পাঁচ. বেসরকারি শিক্ষকদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে সরকারকে সমাধানের উদ্যোগ নিতে হবে। বাড়ি ভাড়া,মেডিকেল,উৎসব ভাতা সম্মানজনক হারে দেওয়ায় বিষয়টি বিবেচনা করা। বেসরকারি শিক্ষক যারা দুর দুরান্তে চাকরি করেন তারা যদি শুন্য পদের বিপরীতে নিজ নিজ এলাকা শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে আসার সুযোগ থাকে তাদের বদলীর যৌক্তিক দাবি পুরণ করা। এতে সরকারের আর্থিক কোন সংশ্লেষ নেই।

ছয়. সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়,উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ সমূহে জরুরি ভিত্তিতে শুন্যপদে নিয়োগ দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা যেতে পারে। এ ক্ষেত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের প্যানেল নিয়োগের বিষয়টি বিবেচনা করা যেতে পারে।

সাত. কোভিড-১৯ করোনা ভাইরাস থেকে শিক্ষা নিয়ে তথ্য প্রযুক্তির বিষয়ে আরো জোর দিতে হবে। একটি কথা আজ অনস্বীকার্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর আইসিটি উপদেষ্টা জনাব সজীব ওয়াজেদ জয় যদি বাংলাদেশে আইসিটি ব্যবস্থাকে জোরদার না করতেন আজকে বৈশ্বিক মহামারিতে আমাদের কি অবস্থা হতো তা সহজেই অনুমেয়। বাংলাদেশ আজ ডিজিটাল যুগে প্রবেশ করেছিল বিধায় এই দুঃসময়ে বিশ্বের সাথে তাল মিলিয়ে এগিয়ে যেতে পেরেছে। সুতরাং এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমাদেরকে আইসিটিতে আরো জোর দিতে হবে। এক্ষেত্রে শিক্ষা খাতে আরো গুরুত্ব বাড়াতে হবে। শিক্ষকদেরকে স্মার্ট ফোন ও ইন্টারনেট ব্যবহার বাধ্যতামুল করা এবং শিক্ষার্থীদের জন্য ইন্টারনেট সেবা ফ্রী করে দেওয়ার বিষয়টি গুরুত্বের সাথে বিবেচনা করা যেতে পারে।

আট. করোনায় ক্ষতিগ্রস্হ অতি দরিদ্র পরিবারের শিক্ষার্থী, যাদের ঝড়ে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে তাদের জন্য বিশেষ প্রণোদনা বা বিশেষ বৃত্তি চালু এবং তাদের টিউশন ফি সরকার কর্তৃক বহন করার ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।

নয়. শিক্ষা ব্যবস্হা জাতীয়করণের কাজটি কঠিন হলেও অসম্ভব নয়। বাস্তবতার নিরিখে নলা যায় একমাত্র বঙ্গবন্ধু কন্যা জননেত্রী শেখ হাসিনার পক্ষেই এটা করা সম্ভব। ঐতিহাসিক মুজিব জন্মশতবর্ষী একশত বছর পর এসেছে। আবার একশত বছর পর আসবে। মুজিব জন্মশতবার্ষীকিকে স্মরণীয় করে রাখার জন্য মুজিব জন্মশতবর্ষেই শিক্ষা ব্যবস্থা জাতীয়করণের ঘোষণা এবং এর সূচনা করার বিষয়টি অতিগুরুত্বের সাথে বিবেচনা করতে হবে। প্রসঙ্গত উল্লেখ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান শিক্ষা গুরুত্ব অনুধাবন করে যুদ্ধবিদ্ধস্হ বাংলাদেশে আর্থিক ও অন্যন্য শত সংকটের মধ্যেও ১৯৭৩ সালে ৩৭ হাজার প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। যার শিক্ষক সংখ্যা ছিল ১ লক্ষ ৬২ হাজার।

লেখক : কারা নির্যাতিত সাবেক ছাত্রনেতা, সাধারণ সম্পাদক -স্বাধীনতা শিক্ষক পরিষদ, সচিব-বেসরকারি শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট, শিক্ষা মন্ত্রনালয়।

পছন্দের আরো পোস্ট