শিক্ষার্থীদের মালামাল রাখতে জবির আইএইসি বিভাগের শিক্ষকের মানবিক উদ্যোগ

জবি প্রতিনিধি।

বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাসের কারণে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) এর ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের যেসব শিক্ষার্থী মেস/বাসা ভাড়ার সমস্যায় জর্জরিত হয়ে বাসা/মেস ছেড়ে দিতে বাধ্য হচ্ছে তাদের মালামাল/জিনিসপত্র নিজ বিভাগে রাখার ব্যবস্থা এবং যেকোনো সমস্যায় তাদের পাশে থাকার কথা জানিয়েছেন অত্র বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ও ছাত্র উপদেষ্টা ড. শামছুল কবির।

বৃহস্পতিবার (১৮ জুন) প্রতিবেদকের সাথে ফোনআলাপে এসব তথ্য জানিয়েছেন ড. শামছুল কবির। এছাড়াও নিজ ফেইসবুক ওয়ালে এ বিষয়ে বিজ্ঞপ্তি আকারে একটি পোস্ট করেন তিনি।

Post MIddle

জরুরি বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের সকল ছাত্র-ছাত্রীদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে, করোনা ভাইরাস ও বৈশ্বিক মহামারির কারণে বাংলাদেশ সরকারের প্রজ্ঞাপন মোতাবেক দীর্ঘদিন বিশ্ববিদ্যালয় ব্ন্ধ ছিল এবং আরো দীর্ঘ সময় বন্ধ থাকবে। ইতিমধ্যে অত্র বিভাগের অনেক ছাত্র-ছাত্রী বাসা/মেস ভাড়ার সমস্যায় জর্জরিত। এমনকি উপায় না দেখে বাধ্য হয়ে অনেকে বাসা/মেস ছেড়ে দিতে হচ্ছে। কিন্তু তাদের মালামাল/ জিনিসপত্র রাখার কোন জায়গা পাচ্ছে না যা আমার দৃষ্টিতে আসে। ফলে এসব ছাত্র-ছাত্রীরা যেন ক্ষতিগ্রস্ত/ বিপদ পড়তে না হয় সেইদিক বিবেচনা করে তাদেরকে সহযোগিতা করার জন্য বিভাগীয় ছাত্র-ছাত্রীদেরকে অনুরোধ ও নির্দেশ প্রদান করা হলো।

বিজ্ঞপ্তিতে আরো বলা হয় যে, কোন উপায় পাওয়া না গেলে সেক্ষেত্রে তোমরা স্ব স্ব শ্রেণি প্রতিনিধির সাথে যোগাযোগ করার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। যদি প্রয়োজন হয় অবশ্যই আমি তোমাদের জিনিসপত্র / মালামাল আমাদের বিভাগে রাখার ব্যবস্থা করব; ইনশাআল্লাহ। আমার প্রিয় ছাত্র- ছাত্রীবৃন্দ, তোমরা নিরাপদে থাকো, সুস্থ থাকো এই কামনা করি।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে ড. শামছুল কবির বলেন, ছাত্র উপদেষ্টা হিসেবে নিজ বিভাগের শিক্ষার্থীদের জন্য সম্পূর্ণ ব্যক্তিগতভাবে উদ্যোগটি নিয়েছি। আমি ৩-৪ টা পরিকল্পনা করেছি। প্রথমত, বিভাগের শিক্ষার্থীরা নিজেদের মধ্যে কথা বলে যেসব মেস খালি আছে সেখানে যাদের সমস্যা তাদের মালপত্র রাখতে পারে। দ্বিতীয়ত, যাদের মেসে সম্পূর্ণ রুম খালি আছে, সেখানে তারা ভাড়া হিসেবে তাদের জিনিসপত্র রাখতে পারে। তৃতীয়ত, একান্তই সমস্যা হলে শিক্ষার্থীদের মালপত্র আমার বাসায় ও রাখতে পারবে। দরকার পড়লে আমি নিজে একটি স্টোর রুম ভাড়া করবো। যাতায়াতে সমস্যা হলে প্রয়োজনে আমার অফিস রুমেও মালামাল রাখার ব্যবস্থা করে দিবো। এসব ব্যাপারে শ্রেণী প্রতিনিধিদের প্রয়োজনীয় দিকনির্দেশনা দেয়া আছে। করোনা পরিস্থিতি বিশ্ববিদ্যালয় খোলার কথা মাথায় রেখে কিছু জিনিসপত্র যেমন খাট, চেয়ার, টেবিল বিক্রির ও পরামর্শ দেন তিনি।#

পছন্দের আরো পোস্ট