কেউ মনে রাখেনি জবি শিক্ষার্থী রুবিনাকে

জবি প্রতিনিধি।

রেল দূর্ঘটনায় দুই পা হারানো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী রুবিনাকে কেউ মনে রাখেনি। বর্তমান এই করোনার সংকটময় সময়ে সবাই ভুলে গেছে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকর্ম বিভাগের শিক্ষার্থী রুবিনাকে।

 

২০১৮ সালের ২৮ জানুয়ারি রেল দূর্ঘনটায় দু পা হারান রুবিনা। রাজধানীর কমলাপুর রেলস্টেশনে প্ল্যাটফর্ম বদলের সময় ট্রেনে কাটা পড়ে দুই পা হারিয়েছিলেন জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী রুবিনা। হাসপাতালে ভর্তির পর তাকে বাঁচানোর জন্য দু পা কেটে বাদ দিতে হয়।

বাবাকে হারিয়েছেন শৈশবে, বড় বোনটি মানসিক প্রতিবন্ধী। লেখাপড়া শেষ করে পরিবারকে টেনে তোলার চেষ্টা করছিলেন। এরই মধ্যে এ দুর্ঘটনার স্বীকার হন তিনি। সে সময়ে অনেকে তার পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করলেও বর্তমানে তার পাশে কেউ নেই। এমনকি এই করোনার সংকটের সময়ও তার খোঁজ রাখেনি কেউ।

 

Post MIddle

কিভাবে সংসার চলছে জানতে চাইলে রুবিনা বলেন, বর্তমানে খুবই সংকটময় অবস্থায় দিন যাপন করতে হচ্ছে তাকে, দূর্ঘনটার পর শুরুর দিকে সবাই খোঁজ খবর রাখলেও এখন আর কেউ মনে রাখেনি। একটা ছোট চাকরির ব্যবস্থা করা হয়েছিল রেল মন্ত্রনালয় থেকে কিন্তু সেই অল্প টাকা দিয়ে সংসার চলে না।

 

তিনি আরো বলেন, গ্রামে আমাদের একটা জমি রয়েছে তা বন্ধক রেখে যে সামান্য টাকা আসে তা দিয়ে বর্তমানে আমাদের সংসার খরচ পরিচালনা করতে হচ্ছে। দূর্ঘটনার পর অনেকেই পাশে থাকার আশ্বাস প্রদান করলেও কিছুদিন পর তাদের আর সন্ধান মেলে নি। করোনা সংকটের মধ্যেও সরকারি বা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কোনো ধরণের সাহায্য পাইনি।

এবিষয়ে সমাজকর্ম বিভাগের তৎকালীন বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. মোঃ আনোয়ার হোসেন বলেন, আমরা সেসময় তাকে সার্বিক সহয়তা করেছি। আর বিশ্ববিদ্যালয় চাকুরির জন্য আমরা প্রশাসনের সাথে যোগাযোগ করেছিলাম, কিন্তু তখন প্রশাসন জানিয়েছিলো কোনো পোস্ট খালি নেই। তৎকালীন রেলমন্ত্রীও চাকরির আশ্বাস দিয়েছিলেন সেসময়।

করোনাকালীন সময়ে রুবিনার খোঁজ রেখেছেন কি জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যক্তিগত ভাবে তো কারো খোঁজ নেওয়া হয়নি। তবে আমরা শিক্ষার্থীদের বলেছিলাম কারও প্রয়োজন হলে যোগাযোগ করতে৷ যারা যোগাযোগ করেছে তাদের ডিপার্টমেন্ট থেকে সহায়তা করেছি।#

পছন্দের আরো পোস্ট