করোনা উপসর্গে চিকিৎসা না পেয়ে ইবি ছাত্রীর আবেগঘন স্ট্যাটাস

টি এইচ জায়িম,,ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিনিধি।

হাসপাতালে করোনা উপসর্গের চিকিৎসা না পেয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দিয়েছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক শিক্ষার্থী। চিকিৎসাবঞ্চিত সাবিকুন নাহার ইবির আরবী ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের শিক্ষার্থী। খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসা না পাওয়ায় বৃহস্পতিবার (২ এপ্রিল) তিনি তার ফেসবুক একাউন্টে এ স্ট্যাটাস দেন।

খোজ নিয়ে জানা যায়, সাবিকুন নাহার গত কয়েকদিন যাবত তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছেন। যা বৈশ্বিক মহামারী নভেল করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার লক্ষণ। সাবিকুন নাহার শ্বাসকষ্টের চিকিৎসা নিতে বুধবার বিকেলে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে যান। কিন্তু হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ শ্বাসকষ্টের রোগী শুনে তার চিকিৎসা না দিয়ে প্রাইভেট হাসপাতালে চিকিৎসা নিতে পরামর্শ দেন। পরে সেখান থেকে নিরুপায় হয়ে ফিরে এসে স্থানীয় এক ডাক্তারের চিকিৎসা নেন সাবিকুন।

পরে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে ফেসবুকে আবেগঘন স্ট্যাটাস দেন ঐ ছাত্রী। এতে করোনার উপসর্গ নিয়ে আসা রোগীদের প্রতি চিকিৎসকদের অবহেলার চিত্র ফুটে ওঠে।

পাঠকদের উদ্যেশ্যে স্ট্যাটাসটি হুবহু তুলে ধরা হলো-

‘আমার বাংলাদেশ-
গত ৩ দিন ধরে শ্বাসকষ্টে ভুগছি। আজ আর না পেরে খুলনা মেডিকেলে গিয়েছিলাম, কিন্তু কপাল খারাপ। যখন শুনলো শ্বাসকষ্ট, তখন বলে তারা রোগী দেখে না। আমি উত্তরে বললাম তাহলে আমাদের মত লোক কোথায় যাবে??
উত্তর আসলো ৩/৪ টা
১) প্রাইভেট ক্লিনিক এ যান।
২) সদর হাসপাতালে যেতে পারেন।
আমরা সরি।
৩ টা ছিলো মজার উত্তর,
ঠিক তখন ৪ জন পুলিশ ২ টা মধ্যবয়সী লোক নিয়ে আসে।
জরুরি বিভাগ থেকে ৩ নং উত্তর আসে ঠিক এভাবে,আমরা এই সব রোগী যায় হোক দেখবো, কিন্তু আপনাকে না।
আমি..
তাদের ২ নং কথার উত্তর হিসেবে বলছি আপনারাই যদি রোগী না দেখেন, সদরের ওরা কিভাবে কি করবে।
ওরা চুপ।

Post MIddle

আমি বললাম কোন ডাক্তার নাই আমাকে দেখার মত। আমি তো দম নিতে পারছি না। তারা বলে আজ হবে না কাল আসেন। তখন আমি বললাম আমার অবস্থা খারাপ হচ্ছে তারা বলে সারা দিন কি করছেন?

আমিঃ আর সহ্য করতে না পেরে এখন (৪ঃ৩০) আসলাম।
তারা তখনও বলে হবে না।

আর আমার আপনার প্রশাসনের পুলিশ ভাইয়ারা তখনও দেখল পুরোটা, কিন্তু কোন রেসপোন্স নাই। ওখান থেকে চলে আসি আর গ্রাম্য ডাক্তার দেখাই, এখন একটু কম কষ্ট হচ্ছে।

আজকের প্রশাসন তাদের চেতনা নিয়ে জেগেও ঘুম ছিলো। বাহ বাহ..। বড় লেকচার ছাড়েন অথচ আপনারা রোগী দেখেননা আর শ্বাসকষ্টে কেউ মারা গেলে করোনা সন্দেহ তাই না? শেষে জানাজা মিলে না। আমার জন্য দোয়া করবেন। ধন্যবাদ বাংলাদেশ।’

উল্লেখ্য, নভেল করোনা ভাইরাসের উপসর্গ (জ্বর,শ্বাসকষ্ট, সর্দি, কাঁশি) নিয়ে প্রতিদিন মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে।

পছন্দের আরো পোস্ট