জৈবপ্রযুক্তি গবেষণাকে এগিয়ে নিতে চান রকিব ওয়াজেদ 

মোঃ শাদমান শাবাব,শাবি

তরুণ জৈবপ্রযুক্তিবিদদের মধ্যে নেটওয়ার্কিংয়ের সুযোগ তৈরি করতে এবং কাঠামোগত পাঠ্যক্রমের বাইরে জৈবপ্রযুক্তি সম্পর্কিত কার্যক্রমে তাদের জড়িত করার লক্ষ্যে, নেটওয়ার্ক অফ ইয়ং বায়োটেকনোলজিস্টস অফ বাংলাদেশ (এনওয়াইবিবি) সারাদেশের তরুণ জৈবপ্রযুক্তিবিদদের নিয়ে ‘৫ম জাতীয় তরুণ জৈবপ্রযুক্তিবিদ সম্মেলন ২০২০’ আয়োজন করে গত ২০ ফেব্রুয়ারি।

আয়োজিত এ অনুষ্ঠানে সমবেত হয়েছিলেন ৩৭টি প্রতিষ্ঠানের  ৫৫০ জন শিক্ষার্থী, গবেষক, উদ্যোক্তা ও পেশাদারগণ। এতে অংশগ্রহণ করে মৌখিক উপস্থাপনায় ২য় রানার্স আপের পুরষ্কার জেতেন রকিব ওয়াজেদ নয়ন। সম্মেলনে তার উপস্থাপনকৃত গবেষণার বিষয় ছিল- “ধানের লবন সহনশীলতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বাহ্যিক ভাবে প্রোলিন প্রয়োগের ফলাফল নিরীক্ষণ”। বিশ্ববিখ্যাত জেনেটিসিস্ট ও ক্যান্সার গবেষক অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক “ওয়াল্টার বডমার” এর হাত থেকে তিনি এ পুরষ্কার গ্রহণ করেন।

রকিব ওয়াজেদ শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (শাবি) জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এন্ড বায়োটেকনোলজি বিভাগের শিক্ষার্থী। প্রথমবর্ষ থেকেই তার ঝোক ছিল গবেষণার প্রতি। নিয়মিত সময় দিতেন বিভাগের গবেষণাগারে। স্নাতক চলাকালীন সময়ে একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি তিনি দীর্ঘ ৩ বছর “নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনকারী পরিবেশবান্ধব বায়োলজিক্যাল সোলার সিস্টেম” শিরোনামে একটি প্রজেক্টে কাজ করেছেন। বেশ কয়েকটি জাতীয় ও আন্তর্জাতিক কনফারেন্সে তিনি তার গবেষণাটি তুলে ধরেছেন।

Post MIddle

রকিবের সাথে কথা বলে জানা যায়, ৫ম জাতীয় তরুণ জৈবপ্রযুক্তিবিদদের সমাবেশে মৌখিক উপস্থাপনা প্রতিযোগিতায় ৮০টি  অ্যাবস্ট্রাক্ট থেকে প্রাথমিক বাছাইয়ের পর সম্মেলনে উপস্থাপন করেছেন ১৩ জন তরুণ শিক্ষক ও শিক্ষার্থী।

তিনি আরও জানান,  শাবি থেকে মৌখিক উপস্থাপনা প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করেছিলেন তিনি সহ তার বিভাগের আরও দুজন শিক্ষার্থী ।

এই অর্জন রকিবকে ভবিষ্যতের জৈবপ্রযুক্তি গবেষণাকে এগিয়ে নিতে উৎসাহিত করবে জানিয়ে রকিব বলেন, অবশ্যই এক ধরনের আত্মতৃপ্তি কাজ করছে। গবেষণায় আমি আনন্দ পেয়েছি। এর বাইরে বলতে হয়, আমার কোন কাজ যদি দেশের পক্ষে কল্যাণকর হয়ে থাকে, তাহলে সেটি আমার বাড়তি অর্জন। যা আমাকে আগামীতে আরও ভালো কিছু করার অনুপ্রেরণা যোগাবে এবং ভবিষ্যতের জৈবপ্রযুক্তি গবেষণাকে আরও সামনের দিকে নিয়ে যেতে উৎসাহিত করবে। আর বীরদের রক্তের বিনিময়ে অর্জিত এ ভূখন্ড সাজানোর দায়িত্ব তো আমাদেরই।

উল্লেখ্য, এর আগে রকিব ওয়াজেদ ও সহযোগী কামরুল ইসলাম ‘মাইক্রোবিয়াল ফুয়েল সেল’ নিয়ে কাজ করে ২০১৭ সালে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত বাংলাদেশ এসোসিয়েশন অফ বায়োটেকনোলজি গ্রাজুয়েট (বিএবিজি) এর এক সম্মেলনে বেস্ট পোস্টার প্রেজেন্টেশন অ্যাওয়ার্ড জিতেছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট