আইআইটির ব্যতিক্রমধর্মী নবীন বরণ
জাবি প্রতিনিধি।
জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে এই প্রথম অভিভাবকদের উপস্থিতিতে নবীন বরণ অনুষ্ঠিত হলো। এতে অভিভাবকগণ সন্তোষ প্রকাশ করেন। আজ ইনস্টিটিউট অব ইনফরমেশন টেকনোলজি (আইআইটি)’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত নবীন বরণ অনুষ্ঠানে ৪৮ ব্যাচের শিক্ষার্থীরা ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেয়। এটাও এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নতুন।
আইআইটি’র ভারপ্রাপ্ত পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মেসবাহউদ্দিন সরকারের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন সাবেক পরিচালক অধ্যাপক মো. ফজলুল করিম পাটোয়ারী, অধ্যাপক ড. এম শামীম কায়সার, সহযোগী অধ্যাপক ড. কে এম আক্কাছ আলী, ফাহিমা তাবাসসুম, ড. মোহাম্মদ শহীদুল ইসলাম, সহকারী অধ্যাপক ড. রাশেদ মজুমদার, প্রভাষক নুসরাত জেবিন জিনিয়া ও মনন বিন্ত নূর।
বক্তাগণ ৪৯ ব্যাচের শিক্ষার্থীদের আলোকিত জীবনের সন্ধানে নিয়মিত লেখাপড়া করার উপদেশ দেন। তারা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় হলো জ্ঞান র্চ্চা ও জ্ঞান বিতরণের মহাসাগর। এখানে উজ্জ্বল জীবনের আকাঙ্খায় জ্ঞান র্চ্চার যেমন সুযোগ আছে তেমনি পথভ্রষ্ট হবারও সুযোগ আছে। তাই শুরু থেকেই শিক্ষার্থীদের লেখাপড়ার প্রতি মনোযোগী হতে হবে। শিক্ষা গ্রহণের উদ্দেশ্য মানুষ হওয়া। মানুষ হয়ে তোমরা সমাজ ও রাষ্ট্রের কল্যাণ সাধন করবে এটা সকলেই প্রত্যাশা করে। জাতির এই প্রত্যাশা পূরণে তোমরা অঙ্গীকারবদ্ধ। এ কথা কখনো তোমরা ভুলবে না।
এই অনুষ্ঠানে কোন রকম ডিভাইস ছাড়া ডেটাবেজভিত্তিক এটেনডেন্ট সিস্টেম চালু করা হয়েছে। এই সিস্টেমের তিনটি মডুউল আছে: এটেনডেন্ট, রেজাল্ট প্রসেসিং ও একাউন্টিং সিস্টেম। প্রাথমিক পর্যায়ে শুধু এটেনডেন্ট সিস্টেমটি আজ উম্মুক্ত করা হয়েছে। পরবর্তীতে অন্য দুইটি মডুউল চালু করা হবে এবং পর্যায়ক্রমে সব বিভাগের জন্য উম্মুক্ত করা হবে।
এসব ডাটা আইআইটি‘র সার্ভারে সংরক্ষিত হচ্ছে। ভবিষ্যতে বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় সার্ভারে এসব ডাটা সংরক্ষণ করার ব্যবস্থা হবে। শিক্ষার্থীর ফটোসহ সিস্টেমে এসএমএস ও ইমেইলের মাধ্যমে নোটিফিকেশন এর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। এ ধরনের ডেটাবেজভিত্তিক এটেনডেন্ট সিস্টেম চালু করার ফলে শিক্ষার্থীরা ক্লাসে উপস্থিতির বিষয়ে আরো মনোযোগী হবে। এই সিস্টেমের সার্বিক তত্ত্বাবধানে রয়েছেন আইআইটি‘র পরিচালক অধ্যাপক ড. এম মেসবাহউদ্দিন সরকার। সিস্টেমটি ডেভেলপ্ট করেছেন আইআইটির শিক্ষার্থী মোহাম্মদ মারুফ হাসান।