সাদার্ন ইউনিভার্সিটিতে নানা আয়োজনে নারী দিবস পালন
নিজস্ব প্রতিবেদক।
‘প্রজন্ম হোক সমতার, সকল নারীর অধিকার’ এ প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে আন্তর্জাতিক নারী দিবসে বিশেষ অনুষ্ঠানমালার আয়োজন করেছে সাদার্ন ইউনিভার্সিটি বাংলাদেশ। বিভিন্ন কর্মসূচির মধ্যে ছিল নারীর ক্ষমতায়ন ও উন্নয়ন বিষয়ক আলোচনা সভা, প্রবন্ধ উপস্থাপন, আবৃত্তি, সংগীত, নৃত্যানুষ্ঠান ও কেক কাটা।
আজ রোববার ইউনিভার্সিটির স্থায়ী ক্যাম্পাস বায়েজিদ আরেফিন নগরের হল রুমে ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. ইসরাত জাহানের সভাপতিত্বে আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন ইউনিভার্সিটির উদ্যোক্তা ও প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সরওয়ার জাহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর ইঞ্জিনিয়ার এম আলী আশরাফ, বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধান ও শিক্ষকবৃন্দসহ শিক্ষার্থীরা। ব্যবসায় প্রশাসন বিভাগে শিক্ষিকা তাসনিম ইসলামের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে ‘কোন পারিশ্রমিক ছাড়াই বাংলাদেশের নারীদের অর্থনৈতিক অবদান বিষয়ক প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন আইন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক সুরাইয়া মমতাজ এবং নারীর অগ্রযাত্রা ও প্রতিবন্ধকতা নিয়ে মতামত ব্যক্ত করেন বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ।
আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, নারীরা যত শিক্ষিত হবে সমাজ তত দ্রুত এগোবে তবে নারী উন্নয়ন ব্যাতিত সমাজের সামগ্রিক অগ্রগতি অসম্ভব। নারীর ক্ষমতায়ন জোর করে হয় না বরং যোগ্যতা দিয়ে অর্জন করে নিতে হয়। সফলতার পথ কখনো সহজসাধ্য নয় কঠিনকে জয় করে তবেই সফল হতে হয়। বিভিন্ন প্রতিবন্ধকতায় চ্যালেঞ্জ মোকাবেলা করে সর্বক্ষেত্রে এগিয়ে যাচ্ছে নারীরা। দেশের অর্থনীতি উল্লেখযোগ্য অবদান রাখছে তারা। যোগ্যতা প্রমাণ দিয়ে নারীরা এখন সব পেশায় নিজেদের প্রতিষ্ঠিত করতে সক্ষম হয়েছে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা নারী সমাজের উন্নয়নের জন্য বিশ্বের কাছে এখন রুল মডেল হিসেবে বিবেচিত হচ্ছেন, যা দেশের জন্য গর্ব। দেশে নারীর উন্নয়নে আশাব্যাঞ্জক পরিবর্তন ঘটছে, বর্তমানে নারীর ক্ষমতায়নে বিশ্বের সেরা দশের তালিকায় বাংলাদেশের অবস্থান। নারী শিক্ষার উন্নয়নে বদলে যাবে সমাজ। স্বাবলম্বী হয়ে আর্থিক ও বস্তুগত প্রবৃদ্ধির মাধ্যমেই নারীদের এগিয়ে যেতে হবে।
বক্তারা আরও বলেন, নারী পুরুষ আলাদা করে দেখার সুযোগ নেই, সবাই মিলেমিশে নতুন কিছু সৃষ্টির মাধ্যমে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে। সমতাভিত্তিক সমাজ প্রতিষ্ঠিত হলে তবেই দেশের উন্নয়ন হবে।