আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় বেস্ট খুবি

খুবি প্রতিনিধি।

আন্তর্জাতিক মুট কোর্ট প্রতিযোগিতায় বাংলাদেশ চ্যাপ্টারে অংশগ্রহণ করে বেস্ট নিউ টিমের সম্মান অর্জনকারী খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদল আজ (৪ মার্চ ২০২০) আইন স্কুলের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মোঃ ওয়ালিউল হাসানাতের নেতৃত্বে উপাচার্য প্রফেসর ড. মোহাম্মদ ফায়েক উজ্জামানের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন।

উপাচার্য আন্তর্জাতিক মুটকোর্ট প্রতিযোগিতায় বেস্ট নিউ টিমের সম্মান অর্জন করায় বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন ডিসিপ্লিনের টিমকে শুভেচ্ছা জানান। তিনি বলেন আইন এমন এক বিষয় যেখানে জ্ঞান-বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয় সংশ্লিষ্ট রয়েছে। তিনি সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষার্থীদেরকে দেশ-বিদেশের আলোচিত রায়গুলো পড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে বহুমুখী জ্ঞানার্জনের পরামর্শ দেন।

নতুন ডিসিপ্লিন হিসেবে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইনের গ্রাজুয়েটবৃন্দ আগামী বছর বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ডিগ্রি সম্পন্ন করে বের হয়ে আইন পেশাসহ বিভিন্ন পেশায় যোগ দেবে এবং তারা তাদের কর্মক্ষেত্রে সাফল্য লাভ করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পরে প্রতিযোগিতায় সম্মাননাস্মারক ক্রেস্টটি উপাচার্যের হাতে তুলে দেওয়া হয়। এসময় আইন স্কুলের ডিন ও ডিসিপ্লিন প্রধান, টিমের কোচ সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের প্রভাষক মোঃ আসাদুজ্জামান, প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণকারী মোঃ শোয়াইব-বিন-হাবিব, আফিয়া জয়নাব এবং দেবজ্যোতি সরকার উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

তাঁরা উপাচার্যকে ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপন করেন। উল্লেখ্য, ফিলিপ সি. যোসেফ আন্তর্জাতিক আইন মুট কোর্ট প্রতিযোগিতা বিশ্বব্যাপী আইনের শিক্ষার্থীদের জন্য অত্যন্ত গুরুত্ব বহন করে এবং এটি মর্যাদা সস্পন্ন একটি ইভেন্ট। ২০২০ এর ৪র্থ ন্যাশনাল রাউন্ড গত মাসে ঢাকার এশিয়া প্যাসেফিক ইউনিভার্সিটিতে অনুষ্ঠিত হয়।

এই প্রতিযোগিতায় মোট ২৪টি দল অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে ৯টি ছিলো নতুন দল। এই ৯টি দলের মধ্যে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয় দল বেস্ট নিউ টিম হিসেবে নির্বাচিত হয়ে এই সম্মাননা অর্জন করে। উক্ত মুট কোর্ট প্রতিযোগিতার সময় সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগ ও হাইকোর্ট বিভাগের দু’জন বিচারপতি ছাড়াও খ্যাতনামা আইনজীবী এবং সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

এদিকে আজ বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ডিভেলপমেন্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষকবৃন্দ ডিসিপ্লিন প্রধান মোঃ হাসান হাওলাদারের নেতৃত্বে উপাচার্যের সাথে তাঁর কার্যালয়ে সাক্ষাৎ করেন। সম্প্রতি একনেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাঠামোগত উন্নয়নে তিনশত পঁয়ত্রিশ কোটি টাকার সংশোধিত উন্নয়ন প্রকল্প অনুমোদিত হওয়ায় এবং পেছনে অক্লান্ত পরিশ্রম ও প্রচেষ্টা গ্রহণের জন্য ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে উপাচার্যকে ফুল দিয়ে শুভেচ্ছা জানানো হয়।

এছাড়া শিক্ষকবৃন্দ ডিসিপ্লিন গৃহীত একাডেমিক ও উন্নয়ন কার্যক্রমের বিভিন্ন দিক উপাচার্যকে অবহিত করেন এবং প্রাপ্ত সহযোগিতার জন্য আন্তরিক ধন্যবাদ জানান।

উপাচার্য ডিসিপ্লিনের একাডেমিক কার্যক্রম যাতে বছরের নির্ধারিত সময়ে শুরু হয় এবং শেষ হয়, শিক্ষার্থীরা যাতে কোনোভাবে কোনোব্যাপারে ভোগান্তির শিকার না হয় সে ব্যাপারে শিক্ষকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেন এবং গবেষণায় জোর দেওয়ার উপর গুরুত্বারোপ করেন। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক নুজহাত ফাতেমা, আসমাউল হুসনা, মোঃ আশিকুজ্জামান, মোঃ জুবায়ের হোসেন, বায়েজিদ খান, প্রভাষক উম্মে হাবিবা উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট