এডুকেশন ওয়াচের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর যত আয়োজন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবর্ষ উদযাপনের অংশ হিসেবে রোববার (১ মার্চ) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে ‘বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন এবং শিক্ষাচিন্তা : বর্তমান শিক্ষাব্যবস্থা, প্রত্যাশা ও চ্যালেঞ্জ’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়েছে। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও শিক্ষাবিষয়ক মাসিক ম্যাগাজিন এডুকেশন ওয়াচের যৌাথ আয়োজনে অনুষ্ঠিত এ সেমিনারে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মুজিব শতবর্ষ উদযাপন বাস্তবায়ন কমিটির সভাপতি ও জাতীয় অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

অনুষ্ঠানটি উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মেসবাহউদ্দিন আহমেদ। সেমিনারে প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের বিশেষ শিক্ষা বিভাগের চেয়ারম্যান ড. মাহবুব লিটু। এছাড়া সম্মানিত আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. ওয়াহিদুজ্জামান চান ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম। বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ও এডুকেশন ওয়াচের উপদেষ্টা ড. অগাস্টিন ক্রুজের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ইতহাসবিদ ও সাবেক সচিব সিরাজুদ্দিন আহমেদ, প্রফেসর ড. হাবিবা খাতুন ও এডুকেশন ওয়াচের সম্পাদক মো. খলিলুর রহমান।

Post MIddle

প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম ড. কুদরাত-ই খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্ট স্মরণ করে বলেন, কুদরাত-ই খুদা শিক্ষা কমিশনের রিপোর্টে সর্বস্তরে বাংলাভাষা চালু করার সুপারিশ ছিল। বঙ্গবন্ধু সেই রিপোর্ট অনুমোদনও করেছিলেন। কিন্তু আমাদের দুর্ভাগ্য, সেই রিপোর্ট বাস্তবায়নের আগেই বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করা হলো। এসময় তিনি বলেন, বিদেশি ভাষার মাধ্যমে কোনো জাতি উন্নতি করতে পেরেছে বিশ্বে এমন কোনো নজির নেই। অথচ আমরা বাংলা ভুলে উন্নতি করার চেষ্টা করছি। এই চেষ্টা কখনোই ফলপ্রসু হবে না।

বর্তমান শিক্ষা ব্যবস্থায় অরাজকতা চলছে উল্লেখ করে বর্ষীয়ান এ শিক্ষাবীদ আরো বলেন, বঙ্গবন্ধু বেঁচে থাকলে এ অরাজকতা সহ্য করতেন না। তিনি বেঁচে থাকলে বাংলাদেশের শিক্ষার চিত্র হতো সম্পূর্ণ বিপরীত। তিনি স্বাধীন বাংলাদেশের রাষ্ট্রক্ষমতায় এসেই প্রাথমিক শিক্ষাকে জাতীয়করণ করেন। একসঙ্গে তিন হাজারের অধিক প্রাথমিক বিদ্যালয়কে জাতীয়করণ করেছিলেন। এছাড়া উচ্চশিক্ষার মান নিয়ন্ত্রণে তিনি উচ্চশিক্ষা কমিশন গঠন করেছিলেন। এসব উদ্যোগ থেকেই বঙ্গবন্ধুর শিক্ষাদর্শন ও শিক্ষাচিন্তা সম্পর্কে স্পষ্ট ধারণা পাওয়া যায় বলে মন্তব্য করেন অধ্যাপক ড. রফিকুল ইসলাম।

মুজিব শতবর্ষ উদযাপন ও এডুকেশন ওয়াচের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে শুদ্ধ বানান চর্চা প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল এডুকেশন ওয়াচ। সেমিনার শেষে প্রতিযোগিতায় বিজয়ীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণ করেন আমন্ত্রিত অতিথিরা। এছাড়াও বিভিন্ন ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান পর্যায়ে সম্মাননা প্রদান করে এডুকেশন ওয়াচ।

পছন্দের আরো পোস্ট