খুবিতে সার্বজনীন বক্তৃতায় জাপানি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক
খুবি প্রতিনিধি।
‘পরামাণু বোমার চেয়েও জলবায়ু পরিবর্তনজনিত ক্রমবর্ধমান ক্ষয়ক্ষতির মাত্রা ও প্রভাব আরও ব্যাপকতর ও ভবিষ্যতের জন্য গভীর উদ্বেগের’ বলে উল্লেখ করে দুর্যোগের ঝুঁকি হ্রাস এবং টেকসই উন্নয়নের নতুন নতুন কৌশল উদ্ভাবনে তরুণ গবেষকদের নিরন্তর গবেষণা চালানোর জন্য আহ্বান জানিয়েছেন জাপানের কিইও বিশ্ববিদ্যালয়ের গ্রাজুয়েট স্কুল অব মিডিয়া এন্ড গভার্নেন্স-এর অধ্যাপক রাজিব শ।
তিনি গত (১৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশচন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে অর্থনীতি ডিসিপ্লিন আয়োজিত পাবলিক লেকচারে (সার্বজনীন বক্তৃতা) এ আহ্বান জানান।
বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. নাসিফ আহসানের সভাপতিত্বে এবং সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত এ অনুষ্ঠানে প্রায় দেড় ঘণ্টা একটানা পাওয়ার পয়েন্টে উপস্থাপনা ও বিশ্লেষণমূলক বক্তব্যে বিশ্বে দুর্যোগে নানা তথ্য ও তত্ত্ব, ক্ষয়-ক্ষতি তুলে ধরেন এবং দুর্যোগ মোকাবেলায় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সংশ্লেষের কার্যকরিতা, নতুন উদ্ভাবনা ও সমন্বিত প্রচেষ্টার উপর জোর দেন। দুর্যোগপ্রবণ এবং পাহাড়ি প্রকৃতির দেশ হয়েও জাপান কিভাবে টেকসই অর্থনীতি ও উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে অনেক দূর এগিয়ে তা তিনি তুলে ধরেন। জাপানের সোসাইটি ফাইভ পয়েন্ট জিরো নতুন ভাবনার এক স্মার্ট সোসাইটির রূপকল্প বাস্তবায়ন করতে চলেছে, যেখানে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির সর্বোচ্চ প্রয়োগ এবং কার্যকর ক্ষমতা সম্পন্ন আধুনিক ও প্রাকৃতিক পদ্ধতির সমন্বয় অবলম্বন করে মানুষের নিরাপদ জীবনযাপনের উন্নততর পরিবেশ সৃষ্টি করা হচ্ছে। নতুন এ অভিরূপ অত্যন্ত সম্ভাবনার হবে বলে আশা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, বিশ্বে দুর্যোগের ব্যপকতা যে হারে বাড়ছে সেক্ষেত্রে গবেষণা হার তুলনামূলক কম। চীন, আমেরিকা, জাপানসহ বেশ কয়েকটি দেশ এগিয়ে থাকলেও দক্ষিণ এশিয়ার অনেক দেশ পিছিয়ে।
তিনি বাংলাদেশকে দুর্যোগপ্রবণ একটি দেশ এবং এ ক্ষেত্রে গবেষণার অন্যতম একটি ক্ষেত্র হিসেবে আখ্যায়িত করে দুর্যোগ মোকাবেলায় বাংলাদেশ সরকার ও এদেশের জনগণের অভূতপূর্ব সাফল্য ও অভিজ্ঞতার প্রশংসা করে বিশ্ববিদ্যালয়ের তরুণ গবেষকদের নতুন নতুন ক্ষেত্রে গবেষণার আহ্বান জানান। পরে এক প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়।
ধন্যবাদ বক্তব্য রাখেন অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের প্রধান প্রফেসর ড. নাসিফ আহসান। তিনি জাপানি অধ্যাপককে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থনীতি ডিসিপ্লিনের পক্ষ থেকে আন্তরিক কৃতজ্ঞতা জানান এবং তার এই গবেষণা লব্ধ নিবন্ধের উপস্থাপনা থেকে শিক্ষক ছাত্র-ছাত্রী প্রভূত উপকার পাবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানে সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।