মুজিববর্ষে হাবিপ্রবিতে কৃষিবিদ দিবস পালিত
মোঃ আবু সাহেব, হাবিপ্রবি প্রতিনিধি।
“বঙ্গবন্ধুর অবদান কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান” এ স্লোগানকে সামনে রেখে বিভিন্ন কর্মসূচি পালনের মধ্যদিয়ে বৃহস্পতিবার হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিদ দিবস ২০২০ পালিত হয়েছে।
আজ(১৩ ফেব্রুয়ারি)কর্মসূচির অংশ হিসেবে সকাল সাড়ে ১০টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম-এর নেতৃত্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা ও ছাত্র-ছাত্রীদের নিয়ে কৃষিবিদ দিবসের বর্ণাঢ্য র্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।
এর পর দিবসের তাৎপর্যের উপর ভিত্তি করে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবন চত্তরে হিসাব শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শাহাদাৎ হোসেন খান-এর সঞ্চালনায় এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার।
এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন রেজিস্ট্রার প্রফেসর ডা. মো. ফজলুল হক (বীর মুক্তিযোদ্ধা), এগ্রিকালচার অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ভবেন্দ্র কুমার বিশ্বাস, ফিসারিজ অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. মোছা. নাহিদ আক্তার, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মো. মোস্তাফিজার রহমান, জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার, প্রক্টর প্রফেসর ড. মো খালেদ হোসেন, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা বিভাগের পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ, পরিবহন শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. মফিজ উল ইসলাম, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদের আহবায়ক কৃষিবদি ফেরদৌস আলম।
দিবসের তাৎপর্য তুলে ধরে আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন, “বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষিবিদদের ক্লাস ওয়ান মর্যাদা প্রদান করেছিলেন বলেই আমরা আজ মাথা উচু করে দাড়াতে পারি। কৃষিবিদ হিসেবে গর্ব করতে পারি।
মুজিববর্ষ উপলক্ষে আমি বেশ কিছু উদ্যোগ হাতে নিয়েছিলাম এরই মধ্যে বেশকিছু বাস্তবায়ন করেছি, সামনে আরও অনেক কিছু করার ইচ্ছা আছে। সর্বশেষ গতকাল উদ্বোধন করেছি ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি ক্লিনিক (বিশেষায়িত অ্যাম্বুলেন্স), মানুষ অসুস্থ হলে অ্যাম্বুলেন্সের ব্যবস্থা আছে, কিন্তু পশু পাখির জন্য এ ধরনের কোন ব্যবস্থা নেই। সেই চিন্তা থেকেই এ ভ্রাম্যমান ক্লিনিকের উদ্যেগ নেয়া। এখানে সার্জারির ব্যবস্থাসহ উন্নত সেবা প্রদানের সকল সুযোগ সুবিধা রয়েছে। এটি কৃষকদের দ্বারে দ্বারে গিয়ে অসুস্থ পশু পাখির চিকিৎসা সেবা প্রদান করবে। ভ্রাম্যমান ভেটেরিনারি ক্লিনিকের দ্বারা এই অঞ্চলের কৃষক ও খারারীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবেন বলে আশা প্রকাশ করি।
এছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষক সেবা কেন্দ্র, মৎস্য হ্যাচারী, ডেইরি ও পোল্ট্রি ফার্ম এর উদ্বোধন করা হয়েছে মুজিব বর্ষের শুরুতেই। কৃষক সেবা কেন্দ্র এ অঞ্চলের কৃষকদের জন্য প্রশিক্ষণসহ তাদের বিভিন্ন সমস্যা সমাধানে ইতোমধ্যে কাজ শুরু করে দিয়েছে। আমি নিজেও কয়েকজন ক্ষতিগ্রস্থ কৃষকের ফসলিজমি পরিদর্শন করেছি। এদিকে মৎস্য হ্যাচারী থেকে এ অঞ্চলের খামারীরা উন্নত মানের মাছের পোনা সংগ্রহ করতে পারবেন। পাশাপাশি তারা বিশ্ববিদ্যালয়ের ডেইরি ও পোল্ট্রি ফার্ম থেকে বিভিন্ন সুযোগ সুবিধা গ্রহণ করতে পারবেন। এসব কিছুই সম্ভব হয়েছে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা-এর কৃষি বান্ধব সরকারের উন্নয়ন ও ধারাবাহিক সহযোগিতার কারণে। সামনে আরেকটি বড় পরিকল্পনা গ্রহণ করেছি, সেটি হচ্ছে শিক্ষার্থীদের জন্য ক্যারিয়ার এডভাইজারি সার্ভিস সেন্টার চালু করার। এখানে শিক্ষার্থীরা চাকুরী, উচ্চ শিক্ষার জন্য দেশে বিদেশে শিক্ষাবৃত্তি,চাকুরী সংক্রান্ত বিভিন্ন পরামর্শসহ বিভিন্ন তথ্য ও দিকনির্দেশনা এখানে পাওয়া যাবে। ফলে শিক্ষার্থীরা ব্যাপকভাবে উপকৃত হবে। “
অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন অনুষদীয় ডীন, শিক্ষক, কর্মকর্তা,শিক্ষার্থী,ছাত্রলীগ ও সাংবাদিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।