এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে কৃষিবিদ দিবস পালিত
নিজস্ব প্রতিবেদক।
আজ (১৩ ফেব্রুয়ারি,২০২০) “বঙ্গবন্ধুর অবদান, কৃষিবিদ ক্লাস ওয়ান” এই শ্লোগানকে সামনে রেখে কৃষিবিদ দিবস-২০২০ উদযাপন উপলক্ষ্যে সকাল ৯.৩০ ঘটিকায় এক্সিম ব্যাংক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় বাংলাদেশ এর নিজস্ব মিলনায়তনে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন কৃষি এবং কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন অনুষদের ডীন ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন। অনুষ্ঠানের শুরুতেই স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. এবিএম রাশেদুল হাসান। বক্তব্যের শুরুতেই তিনি গভীর শ্রদ্ধার সাথে সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ বাঙ্গালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান-কে স্মরণ করে বলেন তিনি না হলে সোনার বাংলা হতো না, তাঁর অবদানেই আজকের এই বাংলাদেশ। স্বাধীনতার পর যুদ্ধ বিধ্বস্ত এ দেশে ‘সোনার বাংলা’ গড়ার লক্ষ্যে বঙ্গবন্ধ্ইু প্রথম কৃষকদের সকল ঋণ মওকুফ করে তাদের যথাযথ মর্যাদা প্রদান করেন এবং ১৯৭৩ সালের ১৩ ফেব্রুয়ারি কৃষিবিদদের পদমর্যাদা দ্বিতীয় শ্রেণি থেকে প্রথম শ্রেণিতে উত্তীর্ণ করেন।
তিনি কৃষি প্রধান এই বাংলাদেশে কৃষি, কৃষকের ও কৃষিবিদদের মঙ্গল কামনা করে বলেন তাদের প্রচেষ্টায় বাংলাদেশ আজ খাদ্যে সয়ংসম্পুর্ণ। এরপর তিনি বিশ্ববিদ্যালয়ের বোর্ড অব ট্রাস্টিজ এর চেয়ারম্যান মোঃ নজরুল ইসলাম মজুমদার কে চাঁপাইনবাবগঞ্জে একটি আন্তর্জাতিক মানের গবেষণামূলক কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় স্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জ্ঞাপণ করেন ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার ড. মোঃ শামীমুল হাসান IQAC এর পরিচালক মোঃ মকবুল হোসেন; রেজিস্ট্রার ড. মোঃ সোহেল আল বেরুনী; ব্যবসায় প্রশাসন অনুষদের প্রধান ড. মোস্তফা মাহমুদ হাসান; পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক মোঃ শাহরিয়ার কবির; প্রক্টর ও কৃষি অর্থনীতি ও গ্রামীণ উন্নয়ন বিভাগের প্রধান ড. মো আশরাফুল আরিফ; সিনিয়র প্রভাষক মৎস বিভাগ, ড. মোঃ সাহেব আলী প্রামানিক, প্রভাষক উদ্দানতত্ত্ব বিভাগ মোঃ মুজিবুর রহমান খান।
অনুষ্ঠানের সভাপতি ড. মোঃ দেলোয়ার হোসেন ক্রমবর্ধমান জনসংখ্যার খাদ্য নিরাপত্তার চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় সকলকে এক সঙ্গে কাজ করার উদাত্ত আহবান জানান এবং কৃষির উন্নয়নে ছাত্র-ছাত্রীদের ভালো কৃষিবিদ হিসেবে নিজেদেরকে গড়েতোলার পরামর্শ প্রদান করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করেন ।
উক্ত অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন আইন অনুষদরে প্রধান এস. এম. শহীদুল ইসলাম, সকল শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারি এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-ছাত্রীবৃন্দ।