খুবির এফএমআরটি ডিসিপ্লিনে সেমিনার ও নবীনবরণ
খুবি প্রতিনিধি।
গত (১০ ফেব্রুয়ারি ২০২০) খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের আচার্য জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সাংবাদিক লিয়াকত আলী মিলনায়তনে ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি ডিসিপ্লিনের উদ্যোগে ফিশারিজ গ্রাজুয়েট আউটকামস ফর ইনক্লুসিভ ইকোনোমিক গ্রোথ শীর্ষক সেমিনার এবং পরে নবীনবরণ অনুষ্ঠিত হয়।
সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিন প্রধান প্রফেসর ড. মুহাম্মদ আবদুর রউফের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ট্রেজারার প্রফেসর সাধন রঞ্জন ঘোষ। তিনি বলেন নদী ও সমুদ্র সম্পদের উপযোগিতা কোনোকালেই কম ছিলো না। অরণ্যচারি মানুষের সভ্যতার বিকাশ ঘটেছে তখনই যখন নদী বা সমুদ্রে তীরে তাদের বসবাস শুরু হয়েছে। নদী ও সমুদ্র সম্পদ থেকেই জীবিকার বড় অংশ এসেছে। তার উপরই তারা বহুলাংশে নির্ভরশীল ছিলো। এখনও মানুষের একটি বড় অংশের জীবন-জীবিকা এর উপর নির্ভরশীল। এ কারণেই নদী ও সমুদ্রকে নিয়ে সাহিত্য, সঙ্গীত, ভ্রমণকাহিনী রচিত হয়েছে। এমনকি এক শ্রেণির মানুষের কাছে নদী ও সমুদ্র পূজিত হয়ে আসছে। আমাদের দেশের আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপটে নদী ও সমুদ্রের বিশাল ভূমিকা রয়েছে। তাই ফিশারিজের সম্ভাবনা ব্যাপক। শিক্ষার্থীদেরকে কেবল চাকরির পিছনে না ছুটে এক্ষেত্রে উদ্যোক্তা হতে হবে। আমাদের সম্ভাবনাময় সুনীল অর্থনীতি ফিশারিজ গ্রাজুয়েটদের জন্য কর্মক্ষেত্র ও গবেষণার বড় উৎস বলেও তিনি অভিমত ব্যক্ত করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন ছাত্রবিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন এবং এফএমআরটি এলামনাই এ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মোঃ ইফতেখারুল আলম। সেমিনারে মূল নিবন্ধ উপস্থাপন করেন সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের সিনিয়র শিক্ষক প্রফেসর ড. মোঃ নাজমুল আহসান। কর্মশালায় বলা হয় এফএমআরটি ডিসিপ্লিনে ২৫ টি ব্যাচ থেকে এ পর্যন্ত ৭৫৬জন গ্রাজুয়েট বের হয়েছে তার মধ্যে ৫৪জন দেশের বাইরে শিক্ষা ও গবেষণাসহ বিভিন্ন কাজে যুক্ত রয়েছেন।
এছাড়া বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষকতায় ৩০ জন, ব্যাংকে ১৫৯জন, বিসিএস ক্যাডারে ১৪৮জন, সরকারি অন্যান্য প্রতিষ্ঠানে ৫৩জন এবং ১১৬জন দেশি-বিদেশি এনজিওসহ অন্যান্য প্রাইভেট প্রতিষ্ঠানে কর্মরত। বাকী ১৯৬জন জব সার্চিংয়ের পর্যায়ে রয়েছেন। ফলে ফিশারিজ এন্ড মেরিন রিসোর্স টেকনোলজি নতুন একটি ডিসিপ্লিন হিসেবে দেশের মৎস্য সেক্টরসহ বিভিন্ন ক্ষেত্রে অগ্রগতি অর্জনে উল্লেখযোগ্য ভূমিকা পালন করছে এবং ইতোমধ্যে স্বতন্ত্রভাবমূর্তি স্থাপনে সক্ষম হয়েছে। পরে ২০ ব্যাচের নবীন শিক্ষার্থীদের ফুল দিয়ে বরণ করে নেওয়া হয়। এ সময় সংশ্লিষ্ট ডিসিপ্লিনের শিক্ষক ও শিক্ষার্থীবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। পরে সন্ধ্যায় মুক্তমঞ্চে এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়।