রাবিতে কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক মুক্ত আলোচ

সারোয়ার সজীব।

বাংলাদেশের সংবিধানে শান্তিপূর্ণভাবে ক্ষমতা হস্তান্তরের কোনো নির্দেশনা ছিলনা। যার ফলে ক্ষমতা প্রদর্শনের মাধ্যমে পদগ্রহণ ১৯৭২ সাল থেকে চলে আসছে। যারা শক্তির প্রদর্শন করতে পারে তাদেরই ক্ষমতায় আনা হয়েছে। পরাস্ত করার প্রক্রিয়াই বাংলাদেশে রাজনীতি। আর বঙ্গবন্ধুকে নিহত করা হয়েছে এই কেওয়াজের রাজনীতির জন্য। এবং নির্বাচনকে কেওয়াজের মধ্যে ঠেলে দেয়া হয়েছে।

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ শীর্ষক মুক্ত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন সুপ্রিম কোর্টের সিনিয়র আইনজীবী ও ‘রাষ্ট্রচিন্তা’ ঢাকা ইউনিটের সদস্য হাসনাত কাইয়ুম। শনিবার বিকেলে বিশ্ববিদ্যালয়ের সৈয়দ ইসমাইল হোসেন সিরাজী ভবনে এই আলোচনা সভার আয়োজন করে ‘রাষ্ট্রচিন্তা রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়’।

Post MIddle

রাকসু আন্দোলন মঞ্চের সমন্বয়ক আব্দুল মজিদ অন্তরের সঞ্চালনায় হাসনাত কাইয়ুম আরো বলেন, বর্তমান বাংলাদেশ উপনিবেশিক শাসকের থেকেও অনেক নিকৃষ্ট শাসক দ্বারা পরিচালিত হচ্ছে। এরা অসাধ্য সাধনের প্রকল্পের মধ্যে মানুষকে ঠেলে দিচ্ছে। বাংলাদেশের রাজনৈতিক মনস্তত্ত্বের মধ্যে যুদ্ধের মনস্তত্ত্ব ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। গনতান্ত্রিক মনস্তত্ত্বের মধ্যে যুদ্ধের মনস্তত্ত ঢুকিয়ে দেয়া হয়েছে। এর থেকে বের হয়ে আসাটাই ‘কেমন বাংলাদেশ চাই’ প্রশ্নের উত্তর।

ফোকলোর বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আমিরুল ইসলামের সভাপতিত্ত্বে সভায় উপস্থিত ছিলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষা ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের প্রভাষক গৌতম রায়, রাজশাহী জেলা শাখা ‘রাষ্ট্রচিন্তা’র সদস্য নূর হোসেন ও মাহমুদ জামাল কাদরি, ঢাকা ইউনিটের সদস্য ইমরান ইমন, বাংলাদেশ ছাত্র অধিকার পরিষদ রাবি শাখার যুগ্ম-আহ্বায়ক মাজহারুল ইসলাম, ছাত্র ফেডারেশন রাবি শাখার সাধারণ সম্পাদক মোহাব্বত হোসেন মিলন, আমানুল্লাহ আমানসহ প্রমুখ।

পছন্দের আরো পোস্ট