হাবিপ্রবিতে জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস পালিত

“পড়ব বই গড়ব দেশ, বঙ্গবন্ধুর বাংলাদেশ” এই স্লোগানকে সামনে রেখে দিনাজপুরে হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (হাবিপ্রবি) জাতীয় গ্রন্থাগার দিবস-২০২০ পালিত হয়েছে।

বুধবার সকাল ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার এর সন্মুখ হতে বিশ্ববিদ্যালয় ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম এর নেতৃত্বে এক বিশাল র‌্যালি বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাস প্রদক্ষিণ করে।

র‌্যালি শেষে কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার কর্তৃক আয়োজিত একটি আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ভাইস চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার প্রফেসর ড. বিধান চন্দ্র হালদার, দায়িত্বপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এবং জনসংযোগ ও প্রকাশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. শ্রীপতি সিকদার, আরও উপস্থিত ছিলেন আইআরটি এর পরিচালক প্রফেসর ড. মোঃ তারিকুল ইসলাম, ছাত্র পরামর্শ ও নির্দেশনা শাখার পরিচালক প্রফেসর ড. ইমরান পারভেজ, প্রগতিশীল কর্মকর্তা পরিষদের আহবায়ক কৃষিবিদ ফেরদৌস আলম ।

Post MIddle

প্রধান অতিথির বক্তব্যে ভাইস-চ্যান্সেলর প্রফেসর ড. মু. আবুল কাসেম বলেন ,লাইব্রেরী হচ্ছে জ্ঞান আহরণের স্থান এবং বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি গুরুপ্তপূর্ণ স্থান। পড়াশুনার স্থান হতে হবে আরামদায়ক তাই আমি এসেই লাইব্রেরীর বিভিন্ন উন্নয়নের পাশাপাশি শীততাপনিয়ন্ত্রিত করে দিয়েছি, বইয়ের সংখ্যা বৃদ্ধি করে দিয়েছি। আমদের গ্রন্থাগারের প্রায় ৩৫ হাজারেও বেশি বই রয়েছে। সম্প্রতি শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরীর সময় বৃদ্ধির দাবি তুলেছে সেটিও পরীক্ষামূলক ভাবে মেনে নিয়েছি , কারণ সময় বাড়ালেই হবেনা এর সাথে নিরাপত্তার বিষয়ও জড়িত আছে।

পাশাপাশি তিনি লাইব্রেরী সাউন্ড প্রুফ করার বিষয়েও ব্যবস্থা নিতে নির্দেশনা দেন। তিনি বলেন সবচেয়ে গুরুপ্তপূর্ণ দিক ও সুখবর হচ্ছে এক কোটির ও বেশি টাকা ব্যয়ে লাইব্রেরী অটোমেশনের কাজ শুরু হয়ে গেছে , এটি বাস্তবায়ন হলে তোমরা উন্নত বিশ্বের মতো অত্যাধুনিক লাইব্রেরী পাবা। সাথে পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক শাখাও অটোমেশনের আওতায় নিয়ে আসা হচ্ছে। তাই কাজ থেমে নেই, দৃশ্যমান অনেক কিছু হয়েছে ইতোমধ্যে, এদিকে ছাত্রী হল হচ্ছে, ১০ তলা একাডেমিক ভবনের কাজ শেষের দিকেই যাচ্ছে। এটি হলে কয়েকটি অনুষদের ল্যাব ও ক্লাসরুম সংকট কেটে যাবে। সম্প্রতি কৃষক সেবা সেন্টার, হ্যাচারী, পোল্ট্রি ও ডেইরী ফার্ম হয়েছে, ভ্রাম্যমাণ ভেটেরিনারি ক্লিনিক এসেছে ,নন্দন পার্ক তৈরি হচ্ছে। এগুলো কোন নির্দিষ্ট অনুষদের নয় । এগুলো এই ভার্সিটির সম্পদ , তোমাদের সকলের সম্পদ।

অনুষ্ঠানে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক, কর্মকর্তা, ছাত্রলীগ নেতৃবৃন্দ, সাংবাদিক বৃন্দ ও সাধারন শিক্ষার্থীরা উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট