সিটিজেন জার্নালিজম বিষয়ক বক্তৃতায় শহিদুল আলম

সারোয়ার সজীব,রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়

‘একটা সময় ছিলো ফটো সাংবাদিকতা অনেক কঠিন ছিলো। একটা ঘটনা ঘটার পর সাংবাদিককে সেখানে যেয়ে ছবি তুলতে হতো। এখন হাতে হাতে স্মার্ট ফোন। ঘটনা ঘটার সাথে সাথে ছবি পাওয়া যায়। প্রত্যেকেই একেকজন সাংবাদিক। আর এই সাংবাদিকতার জন্য বড় কোনো মাধ্যমও প্রয়োজন হয় না। সামজিক যোগাযোগ মাধ্যম এই নাগরিক সাংবাদিকতাকে সহজ করে দিয়েছে।’

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে (রাবি) আয়োজিত ‘সিটিজেন জার্নালিজম এবং দ্য ইউজ অব ভিজ্যুয়ালস’ বিষয়ক এক বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রখ্যাত আলোকচিত্রী, ফটোসাংবাদিক ও সমাজকর্মী শহিদুল আলম এ মন্তব্য করেন।

গতকাল মঙ্গলবার বেলা ১১ টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শহীদ সুখরঞ্জন সমাদ্দার ছাত্র-শিক্ষক সাংষ্কৃতিক কেন্দ্রে (টিএসসিসি) গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগ এবং ডিডব্লিউ একাডেমি যৌথভাবে এই বক্তৃতা অনুষ্ঠানের আয়োজন করে।

Post MIddle

তিনি আরো বলেন, ফটোগ্রাফিকে স্কাল্পচার দিয়ে দেখানো সম্ভব নয়। কিন্তু ফটোগ্রাফি দিয়ে স্কাল্পচার দেখানো যায়। পেইন্টিং ও ছবির ক্ষেত্রেও তাই। তবে আমার সিদ্ধান্ত, রাজনীতি থেকে শৈল্পিক দিকটাকে বিচ্ছিন্ন করা যাবে না।

বক্তৃতায় ভিজ্যুয়াল গণমাধ্যম সম্পর্কে শহিদুল আলম বলেন, প্রত্যেক মাধ্যমের কিছু চারিত্রিক বৈশিষ্ট্য রয়েছে। যেগুলো কিছু জায়গায় দুর্বল আবার কিছু জায়গায় ভালো। একজন শিল্পী সুবিধা-দুর্বলতা দুটিকেই কাজে লাগাতে পারে। তবে ফটোগ্রাফি মাধ্যমেও কিছু সীমাবদ্ধতা রয়েছে। সীমাবদ্ধতা থাকা সত্ত্বেও যিনি দক্ষতার সাথে ভালো ছবি তুলতে পারেন তিনিই শিল্পী।

বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ফটোগ্রাফি সম্পর্কিত সমস্যা ও সংকটগুলো তুলে ধরে শহিদুল আলম বলেন, একটি মানুষ ছোটকাল থেকেই চারপাশে দৃশ্যমান মাধ্যমের দ্বারা প্রভাবিত হন। কিন্তু আমাদের দেশে ফটোগ্রাফি নিয়ে বেইজ লেভেলে কোন স্কুল নেই। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় এটা একটা বড় দুর্বলতা।

এরআগে শহিদুল আলমকে উত্তরীয় পরিয়ে সম্মাননা স্মারক প্রদান করেন বিভাগের সভাপতি সহযোগী অধ্যাপক আবদুল্লাহ আল মামুন। অনুষ্ঠানে সঞ্চালনা করেন বিভাগের সহকারী অধ্যাপক আব্দুল্লাহীল বাকী। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় তিন শতাধিক শিক্ষক-শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন। বক্তৃতা অনুষ্ঠান শেষে গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের সেমিনার কক্ষে শিক্ষার্থীদের নিয়ে একটি কর্মশালার আয়োজন করা হয়। বাংলাদেশের অন্যতম আলোকচিত্রী শিল্পী আবির আবদুল্লাহ ওয়ার্কশপ পরিচালনা করেন।#

পছন্দের আরো পোস্ট