ঢাবি ক্যাম্পাসে জাতীয় কবিতা উৎসব শুরু

ঢাবি প্রতিনিধি।

‘মুজিব আমার স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি’ মর্মবার্তা নিয়ে আজ (২ ফেব্রুয়ারি ২০২০) থেকে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগার চত্বরে শুরু হয়েছে দু’দিন ব্যাপী ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২০’।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-ভাইস চ্যান্সেলর (প্রশাসন) এবং জাতীয় কবিতা পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ-এর সভাপতিত্বে উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে পরিষদের সাধারণ সম্পাদক তারিক সুজাতসহ দেশ-বিদেশের অনেক বরেণ্য কবি ও বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ অংশগ্রহন করেন।

সকালে জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন, শিল্পী কামরুল হাসানের সমাধি এবং কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণের পর জাতীয় সঙ্গীত, জাতীয় পতাকা উত্তোলন, একুশের গান এবং উৎসব সঙ্গীতের মধ্য দিয়ে এবারের উৎসব শুরু হয়েছে।

অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ সভাপতির বক্তব্যের শুরুতেই জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা জানিয়ে বলেন, এই মহান নেতার দীর্ঘ রাজনৈতিক সংগ্রামের পথে প্রধান পাথেয় ছিল গভীর দেশপ্রেম, মানুষের প্রতি অসীম ভালবাসা, অসাম্প্রদায়িক চেতনা আর আন্তরিক সাহিত্য প্রীতি; বিশেষ করে বাংলা ভাষা-সংস্কৃতি, কবিতা ও সংগীতের প্রতি ছিলো তাঁর অসামান্য অনুরাগ। আর, এই সবই বঙ্গবন্ধুর উদার রাজনৈতিক মানস গঠনে সহায়ক হয়েছে। বঙ্গবন্ধুর জীবনের সকল সংগ্রাম, ত্যাগ-তিতিক্ষা এবং বাঙালির স্বাধীনতার স্বপ্ন এক বিন্দুতে এসে মিলিত হয় ১৯৭১ সালের ৭ই মার্চ।

Post MIddle

সেদিন রেসকোর্স ময়দানে স্বাধীনতার স্বপ্নে বিভোর লক্ষ লক্ষ জনতার মহাসমাবেশে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বজ্রকণ্ঠে ঘোষণা করেন: ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম’ যা বাঙালির হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ কবিতা। সর্বোপরি, একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধের নেতৃত্ব দিয়ে পৃথিবীর মানচিত্রে স¦াধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ জাতিরাষ্ট্রের প্রতিষ্ঠা করে বাঙালির মুক্তিদাতা ও জাতির পিতায় ভূষিত হন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। তাই, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব আমাদের স্বাধীনতার অমর কাব্যের কবি।

মুক্ত আলোচনা, কবিতা পাঠ, আবৃত্তিপর্ব, সেমিনার, ছড়াপাঠ, কবিতার গান ইত্যাদি নিয়ে সাজানো হয়েছে ‘জাতীয় কবিতা উৎসব ২০২০’। উৎসবে সুইডেন, স্পেন, উজবেকিস্তান, মালয়েশিয়া, তুরস্ক, নেপাল, ভারতসহ দেশ-বিদেশের কবিরা অংশগ্রহণ করেন। সকাল থেকে শুরু হয়ে এই উৎসব চলবে রাত ৯টা পর্যন্ত।

আগামীকাল উৎসবের সমাপণী অনুষ্ঠানে তিনজন ভাষাসংগ্রামী প্রবীণ কবিকে ‘জাতীয় কবিতা পরিষদ সম্মাননা’ প্রদান করা হবে। যাদেরকে সম্মাননা প্রদান করা হবে তাঁরা হলেন কবি আহমদ রফিক, গীতি-কবি আবদুল গাফ্ফার চৌধুরী ও কবি বোরহানউদ্দিন খান জাহাঙ্গীর।

উল্লেখ্য যে, স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে শৃঙ্খল মুক্তির ডাক দিয়ে কবিতা উৎসবের শুরু হয় ১৯৮৭ সালে। কালের পরিক্রমায় সে উৎসব আজ আন্তর্জাতিক রূপ নিয়েছে।

পছন্দের আরো পোস্ট