লন্ডনে স্টুডেন্ট ভিসা পাবেন যেভাবে

সারা দুনিয়ায় ইউকের শিক্ষা ব্যবস্থা স্বীকৃত এবং প্রশংসনীয়। পৃথিবীর ৬০টির বেশি দেশ থেকে ছাত্ররা পড়াশুনা করতে আসে ইউকেতে। বাংলাদেশের অনেক ছাত্রদের স্বপ্নেও থাকে ইউরোপ, অস্ট্রেলিয়া, কানাডা, ইউএস-এ পড়াশুনা করার। কিন্তু উন্নত এই দেশ গুলোতে স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রধান প্রতিবন্ধকতা লেভেল অব ইংলিশ এবং অর্থনৈতিক সমস্যা।

ইউকে তে স্টুডেন্ট ভিসা আবেদনের প্রক্রিয়া সম্পর্কে ধারণা দিতে হলে বলতে হবে ইউকে তে স্টুডেন্ট ভিসা ক্যাটাগরি টি কে পিবিএস (পয়েন্ট বেইজেড সিস্টেম) টায়ার ফর জেনারেল স্টুডেন্ট (১৮+) ভিসা বলা হয়। পিবিএস (পয়েন্ট বেইজেড সিস্টেম) টায়ার ফর জেনারেল স্টুডেন্ট (১৮+) ভিসায় মোট ৪০ পয়েন্ট। কাস (কনফারমেসন অব এক্সেপ্টেঞ্চ ফর স্টাডিজ) এর জন্য ৩০ পয়েন্ট আর ব্যাংক সচ্ছলতার জন্য ১০ পয়েন্ট। সব ঠিক থাকলে একজন ছাত্র যখন ৪০ পয়েন্ট পাবেন তখন তিনি ভিসা পাওয়ার জন্য বিবেচিত হবেন।

এখানে বলা প্রয়োজন যে ইউকে তে ওয়ার্ক পারমিট সহ স্টুডেন্ট ভিসা পাওয়ার শর্ত হল দুইটি আর সেটি হলো কলেজ বা ইউনিভার্সিটি হাইলি ট্রাস্টেড রাঙ্কিং থাকতে হবে এবং কলেজ বা ইউনিভার্সিটি গভমেন্ট ফান্ডেড বা সরকারি হতে হবে।

ইউকে অর্থাৎ ইউনাইটেড কিংডমে যেতে হলে এসএসসি, এইএসসি অথবা সমমান এবং (IELTS)এস অথবা সমমান । আন্ডারগ্রেড এবং পোস্ট-গ্রেড প্রোগ্রাম এর জন্য আইইএলটিস প্রতি ব্যান্ড এ ন্যুনতম ৫ দশমিক ৫ করে মোট ৬ থাকতে হবে। আর (IELTS) আইইএলটিএস প্রতিটি ব্যান্ড এ ৪ দশমিক ৫ করে মোট ৫ থাকলে ফাউন্ডেশন কোর্স এ অথবা ডিপ্লোমা কোর্স এ আবেদন করা যাবে।

Post MIddle

সচ্ছলতার প্রমাণ হিসেবে টাকা জমা দেয়ার ন্যুনতম ২৮ দিনের পরের ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সার্টিফিকেট। লন্ডনের শহরতলিতে হলে জমা টাকার পরিমাণ দিতে হবে থাকা খাওয়া বাবদ ৯০০০ পাউন্ড+ বকেয়া টিউশন ফী। লন্ডনের শহরতলির বাইরে হলে জমা টাকার পরিমাণ থাকা খাওয়া বাবদ দিতে হবে ৭২০০ পাউন্ড+ বকেয়া টিউশন ফী। পাসপোর্ট আবশ্যকীয়।

ইউকে এম্বাসির পরামর্শ হল আবেদন করুন তাড়াতাড়ি উড়েনও তাড়াতাড়ি। সেশন শুরু হওয়ার ন্যুনতম দুই মাস আগে কাজ শুরু করার উত্তম সময়।

এবার দেখুন কিভাবে আবেদনের করবেন যে হাসপাতাল গুলোতে বাইরে যাওয়ার জন্য মেডিকেল করা হয়। তাতে একটা ফোন করে সময় ঠিক করে মেডিকেল করতে হবে। মেডিকেলের জন্য আপনার ৫ হাজার বা তার কিছু বেশি টাকা লাগতে পারে। ব্যাংকের মাধ্যমে দরকারি টাকা জমা দেয়া। কলেজ বা ইউনিভার্সিটির নিয়ম মত অফার লেটার এর জন্য আবেদন করা। কলেজ বা ইউনিভার্সিটি হিসাবে টিউশন ফী ড্রাফট বা টিটি করা। টিউশন ফী ড্রাফট বা টিটি করার সাত বা তিন কর্ম দিবসের পর কোর্স (কনফারমেসন অব এক্সেপ্টেঞ্চ ফর স্টাডিজ) পাওয়া যাবে।

এম্বাসিতে ইমেইলের ukstudentbangladesh@vfshelpline.com মাধ্যমে কোর্স ডিটেইলস পাঠিয়ে অ্যাপয়েন্টমেন্ট নেওয়া। অনলাইন বা ভিএএফ ৯ ফরম এবং অ্যাপেন্ডিক্স ৮ যথাযথভাবে পূরণ করে ১ কপি রঙ্গিন ছবি, ব্যাংক স্টেটমেন্ট এবং সকল সার্টিফিকেট এর মুল কপি ফটো কপি সহ নির্দিষ্ট সময়ে ভিসা আবেদন কেন্দ্রে ঢাকা বা সিলেট এ ভিসা ফি প্রদানপূর্বক আবেদন করতে হবে। আবেদনের ১৫ থেকে ২৫ কর্ম দিবসের মধ্যে ফাইল ডেলিভারি দিবে।

পছন্দের আরো পোস্ট