ফেলোশিপ পাচ্ছেন ইবির যে ৩৯ শিক্ষার্থী ও ১১ শিক্ষক
ইবি প্রতিনিধি।
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উচ্চশিক্ষায় গবেষণা সহায়তা প্রকল্প ‘জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ফেলোশিপ’ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) ৩৯ শিক্ষার্থী। একই সাথে ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত হতে বিশেষ অনুদানের জন্য বিশ^বিদ্যালয়ের ১১ জন শিক্ষক (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) নির্বাচিত হয়েছেন। বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. রবিউল ইসলাম স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
সূত্র মতে, এবছর দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের মোট ৩ হাজার ২০০ জন শিক্ষক-শিক্ষার্থী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের এ ফেলোশিপ পাচ্ছেন। ভৌতবিজ্ঞান, জীব ও চিকিৎসাবিজ্ঞান এবং খাদ্য ও কৃষিবিজ্ঞান এ ৩ ক্যাটাগরিতে দেয়া হচ্ছে এ ফেলোশিপ। এতে সুযোগ পাচ্ছেন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের ৩৯ জন শিক্ষার্থী।
তারা হলেন, “ভৌতবিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের ২৪ জন, ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের ৪ জন ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের ১ জন। এছাড়াও জীব ও চিকিৎসা বিজ্ঞান ক্যাটাগরিতে এই ফেলোশিপ পাচ্ছেন ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের ৩ জন ও বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের ৭ জন শিক্ষার্থী।
এদিকে মন্ত্রণালয়ের ‘বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি কর্মসূচী’ খাত হতে বিশেষ অনুদানের জন্য নির্বাচিত (প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর) হয়েছেন ইবির ১১ জন শিক্ষক। তারা হলেন, বায়োটেকনোলজি এন্ড জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. মিজানুর রহমান, অধ্যাপক ড. আবুল কালাম আজাদ ও সহযোগী অধ্যাপক ড. মফিজুর রহমান, ফলিত পুষ্টি ও খাদ্য প্রযুক্তি বিভাগের অধ্যাপক এটিএম মিজানুর রহমান, ড. আসাদ-উদ-দৌলা, ইলেকট্রিকাল এন্ড ইলেট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক হুমায়ুন কবির ও সহকারী অধ্যাপক ড. আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, ফলিত রসায়ন ও কেমিকৌশল বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক ড. আতিকুর রহমান, অধ্যাপক ড. মনিরুজ্জামান, অধ্যাপক ড. মিনহাজ-উল-হক ও ইনফরমেশন এন্ড কমিউনিকেশন টেকনোলজি (আইসিটি) বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ড. শিপন মিয়া অনুদানের জন্য মনোনিত হয়েছেন।
উল্লেখ্য, ১৯৭৭-১৯৭৮ অর্থবছর থেকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়/গবেষণা প্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত/গবেষণারত এমএস, এমফিল, পিএইচডি পর্যায়ের শিক্ষার্থী ও গবেষকদের এই অনুদান প্রদান করা হয়।