জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে মিউজিক্যাল পারফরমেন্সেস অনুষ্ঠান

নিজস্ব প্রতিবেদক।

জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ বলেছেন, ‘জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাঙালি জাতীয়তাবাদের রূপকার। বুধবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাসে একাডেমিক ভবনে ৯ সদস্যের সুইডিশ শিল্পীদের গানের দল ‘লুন্ড ইন্টারন্যাশনাল টেগর কোয়াইর’ এর পরিবেশনায় ‘মিউজিক্যাল পারফরমেন্সেস’ অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।

এতে সভাপতিত্ব করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। অনুষ্ঠানে এই গানের দলটি বাংলায় একাধিক রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশন করেন। তাদের মনোমুগ্ধকর পরিবেশনা উপস্থিত সবাই উপভোগ করেন। বিদেশি হয়েও বাংলায় রবীন্দ্র সঙ্গীত পরিবেশনা সকলের কাছে ব্যাপক প্রসংশিত হয়েছে।

উপাচার্য আরও বলেন, ‘রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর মানবতার কবি। তিনি ভালবাসার কবি। তিনি আমাদের শিখিয়েছেন কীভাবে ভালবাসতে হয়। তিনি শুধু কবিই নন, একজন দার্শনিকও। বাংলা সাহিত্যে রবী ঠাকুরের অবদান ব্যাপক। একমাত্র তার গানই বাংলাদেশ-ভারত দুই দেশের জাতীয় সঙ্গীত হিসেবে গৃহীত।’

Post MIddle

বাংলাদেশ ও সুইডেনের বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্কের কথা তুলে ধরে উপাচার্য বলেন, ‘১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধে সুইডেন বাংলাদেশের পাশে ছিল। বিভিন্নভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে। দেশটি শান্তি ও ভালবাসার প্রতীক।’

রবীন্দ্র সঙ্গীত প্রিয় এই গানের দলটির নেতৃত্বে ছিলেন লারস একলুন্ড। দলটির অন্যান্য সদস্যরা হলেন- কোয়াইর লিডার বাবু মুন্সী একলুন্ড, স্টেফান বেঙ্কট্সন, শিলা মল্লিক, হল্মবার্গ, জোনাস ব্রেডফর্ড, ক্যারিন হ্যাগার্ড, ক্যারিন উলসট্যাড, গুনিলা লেজন। সুইডেনের কিছু সংখ্যক রবীন্দ্র প্রেমিক নাগরিক দ্বারা ২০১২ সালে এই গানের দলটি প্রতিষ্ঠিত হয়েছে।

বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য প্রদান করেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. মশিউর রহমান, ট্রেজারার প্রফেসর মো. নোমান উর রশীদ। অনুষ্ঠানে বিভিন্ন অনুষদের ডিন, বিভাগীয় প্রধানসহ শিক্ষক, কর্মকর্তা-কর্মচারিবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

পছন্দের আরো পোস্ট