চুয়েটে আলোকচিত্র প্রদর্শনী
চুয়েট প্রতিনিধি।
চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (চুয়েট)-এ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উপলক্ষ্যে বছরব্যাপী কর্মসূচীর অংশ হিসেবে বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন এবং মহান মুক্তিযুদ্ধে বঙ্গবন্ধুর অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মকে জানান দেওয়ার লক্ষ্যে তিনদিনব্যাপী “ইতিহাস কথা কয়” শীর্ষক আলোকচিত্র প্রদর্শনী শুরু হয়েছে। ৮ (বুধবার) জানুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নবনির্মিত টিএসসি প্রাঙ্গণে উক্ত প্রদর্শনীর উদ্বোধন করেন চুয়েটের ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম।
এ সময় বিভিন্ন অনুষদের ডীন, বিভাগীয় প্রধান, হল প্রভোস্ট, মুজিব বর্ষ উপলক্ষ্যে গঠিত স্টিয়ারিং কমিটি ও বাস্তবায়ন কমিটির সদস্যবৃন্দসহ বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক, কর্মকর্তা, কর্মচারী ও ছাত্র-ছাত্রীগণ উপস্থিত ছিলেন। প্রদর্শনীটি ৮-১০ জানুয়ারি প্রতিদিন সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৫টা পর্যন্ত চলবে।
এ উপলক্ষ্যে নবনির্মিত টিএসসি মিলনায়তনে সংক্ষিপ্ত বক্তৃতায় চুয়েটের মাননীয় ভাইস চ্যান্সেলর অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ রফিকুল আলম বলেন, “বাংলাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে হাজার বছরের শ্রেষ্ঠ বাঙালি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গৌরবময় অবদান সম্পর্কে তরুণ প্রজন্মের মাঝে সচেতনতা তৈরির লক্ষ্যে মুজিব বর্ষ পালন করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু তাঁর রাজনৈতিক জীবনে যে পরিমাণ জেল-জুলুম-অত্যাচার সহ্য করেছেন সেসব সম্পর্কে বর্তমান প্রজন্মের জানা দরকার। চুয়েট প্রশাসনও বছরব্যাপী মুজিব বর্ষ উদযাপনের নানা উদ্যোগ নিয়েছে। এরই অংশ হিসেবে ‘ইতিহাস কথা কয়’ শিরোনামে আলোকচিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। আশা করছি চুয়েটের ছাত্র-ছাত্রীসহ চুয়েট পরিবারের সকলে এসব ঐতিহাসিক ছবি ও প্রমাণ্যচিত্রের মাধ্যমে বাংলাদেশ ও মুক্তিযুদ্ধের প্রকৃত ইতিহাস সম্পর্কে জানতে পারবে।
প্রদর্শনীতে প্রাচীন বাংলা, ভারত উপমহাদেশে বৃটিশ শাসন, ভারতবাসীর প্রতিবাদ, আন্দোলন সংগ্রাম (১৭৫৭-১৯৪৭), দ্বি-জাতি তত্ত্বের ভিত্তিতে প্রতিষ্ঠিত পাকিস্তান শাসনামল, পশ্চিম পাকিস্তানিদের পূর্ব বাংলার মানুষের উপর অত্যাচার, নির্যাতন, জুলুম, স্বাধীনতার স্বপ্নদ্রষ্টা জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্বে বাঙালির প্রতিবাদ ও প্রতিরোধ (১৯৪৭-১৯৭১), ১৯৭১ সালের মহান মুক্তিযুদ্ধ, রাষ্ট্রনায়ক বঙ্গবন্ধু (১৯৭২-১৯৭৫) এবং ১৯৭৫ সালে জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর নির্মম হত্যাকান্ড প্রভৃতি বিষয়ের দুর্লভ ও ঐতিহাসিক প্রায় ৬৪০টি ছবি স্থান পেয়েছে। এছাড়া প্রদর্শনীর প্রথমদিন ‘মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাস’ শীর্ষক প্রামাণ্যচিত্র এবং সমাপনী দিনে মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচিত্র ‘গেরিলা’ প্রদর্শিত হবে। চুয়েট সাংবাদিক সমিতি, চুয়েট ফটোগ্রাফিক সোসাইটি এবং বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, চুয়েট শাখার সহযোগিতায় এবং স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ-এর উদ্যোগে প্রদর্শনীর আয়োজন করা হচ্ছে। প্রদর্শনী প্রতিদিন সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে। উল্লেখ্য, ‘দেশ’ একটি সম্মিলিত উচ্চারণ সংগঠনের উদ্যোগে চুয়েটের প্রদর্শনীটি ৪৮০তম প্রদর্শনী।