জয়নুল উৎসব শুরু
ঢাবি প্রতিনিধি।
শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের ১০৫তম জন্মবার্ষিকী উপলক্ষ্যে ৩ দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব এবং বার্ষিক লোকজ মেলা আজ (২৯ ডিসেম্বর) রবিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চারুকলা অনুষদে শুরু হয়েছে। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এই উৎসব উদ্বোধন করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, বার্জার পেইন্টস বাংলাদেশ লিমিটেডের জেনারেল ম্যানেজার এ কে এম সাদেক নেওয়াজ এবং শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের পুত্র প্রকৌশলী ময়নুল আবেদিন বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। চারুকলা অনুষদের ডিন অধ্যাপক নিসার হোসেন স্বাগত বক্তব্য দেন। মৃৎশিল্প বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক মো: রবিউল ইসলাম অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।
চারুকলা শিক্ষায় বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ অনুষ্ঠানে ভারতীয় শিল্পী অধ্যাপক ড. জনক ঝঙ্কার নার্জারি এবং বাংলাদেশের শিল্পী অধ্যাপক মাহামুদুল হক ও অধ্যাপক হামিদুজ্জামান খানকে ‘জয়নুল সম্মাননা-২০১৯’ প্রদান করা হয়। এছাড়া, বার্ষিক প্রদর্শনীতে নির্বাচিত শ্রেষ্ঠ শিল্পকর্মের জন্য অংকন ও চিত্রায়ন বিভাগের ৪র্থ বর্ষের ছাত্র মো. হেলাল হোসেন স্বর্ণপদক লাভ করেন।
শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিনের স্মৃতির প্রতি গভীর শ্রদ্ধা নিবেদন করে বলেন, তাঁর অনন্য অবদানের জন্যই বাংলাদেশের শিল্পচর্চা আজ ঈর্ষনীয় মানে পৌঁছেছে। অসাধারণ শিল্পকর্মের মাধ্যমে তিনি মহান ভাষা আন্দোলন ও স্বাধীনতা সংগ্রামে জাতিকে উজ্জীবিত করেন। বিত্তের দৈন্যতার চেয়ে চিত্তের দৈন্যতা ঘুচানোর উপর তিনি গুরুত্বারোপ করে গেছেন। তাঁর অসাম্প্রদায়িক চেতনা ও আদর্শ ধারণ করে দেশকে সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে নেয়ার জন্য তিনি শিল্পীসহ সকলের প্রতি আহ্বান জানান।
উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান সম্মাননাপ্রাপ্ত শিল্পীদের অভিনন্দন জানান। তিনি বলেন, শিল্পাচার্য জয়নুল আবেদিন ১৯৪৩ সালের দুর্ভিক্ষের মর্মস্পর্শী ও মানবিক চিত্র অংকন করে বিশ্ব বিবেককে নাড়া দিয়েছিলেন। তাঁর জীবন ও কর্ম থেকে শিক্ষা নিয়ে সামনে এগিয়ে যাওয়ার জন্য উপাচার্য তরুন প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।
উল্লেখ্য, জয়নুল উৎসব উপলক্ষ্যে সেমিনার, সাংষ্কৃতিক অনুষ্ঠান ও প্রদর্শনীর আয়োজন করা হয়েছে। ৩ দিনব্যাপী জয়নুল উৎসব এবং বার্ষিক লোকজ মেলা আগামী ৩১ ডিসেম্বর শেষ হবে।