কংক্রিটের শহীদ মিনারে অতঃপর বশেমুরবিপ্রবি!
ফয়সাল হাবিব সানি,বশেমুরবিপ্রবি প্রতিনিধি।
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেমুরবিপ্রবি) ৯ বছরের দীর্ঘ ব্যবধানে অতঃপর দেখা মিললো কংক্রিটের শহীদ মিনারের! বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার এতোদিন পরও কাঠের শহীদ মিনার দিয়েই চলতো বিভিন্ন জাতীয় দিবসে শ্রদ্ধার্ঘ্যের কাজ। ২০১১ সাল থেকে নির্মিত কাঠের শহীদ মিনারই ছিলো তাই বিশ্ববিদ্যালয়ে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের শ্রদ্ধা জ্ঞাপনের অন্যতম মাধ্যম।
প্রসঙ্গত, গত ১১ নভেম্বর ঘূর্ণিঝড় বুলবুলের আঘাতে ভেঙ্গে যায় কাঠের শহীর মিনারটিও। এমতাবস্থায়, শহীদ মিনার বাঙালি জাতির চেতনার অংশ হওয়ায় আসন্ন বুদ্ধিজীবী দিবস ও বিজয় দিবসকে সামনে রেখে কংক্রিটের শহীদ মিনার নির্মাণের কাজ শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান প্রশাসন।
দীর্ঘ ৯ বছরের অবসান ঘটিয়ে বর্তমানে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে নিমিত হয়েছে কংক্রিটের শহীদ মিনার আর এতে করে দারুণভাবে উচ্ছ্বসিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। নিজেদের উচ্ছ্বাস ও উদ্দীপনা প্রকাশ করতে গিয়ে তারা লেখাপড়া টোয়েন্টিফোর ডট নেটকে বলেন, দএতোদিন অতিবাহিত হলেও জীর্ণ-শীর্ণ শহীদ মিনারের বুকেই পুষ্পস্তবকের মধ্য দিয়ে আমাদেরকে জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে হতো। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নামে নামাঙ্কিত এ বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যয়ন করে যা ছিলো অত্যন্ত দুঃখজনক ও আমাদের কাছে অপমানের বিষয়৷ কিন্তু মাত্র ৭ দিনেই কংক্রিটের শহীদ মিনার নির্মাণের মাধ্যমে বর্তমান প্রশাসনকে শিক্ষার্থীবান্ধব ও আস্থাভাজন মনে হয়েছে আমাদের। আমরা পরবর্তীতেও এ ধরণের যুগোপযোগী প্রশাসনকে দেখতে চায়৷’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য ড. মোঃ শাহজাহানর সঙ্গে কথোপকথনে তিনি জানান, বিশ্ববিদ্যায়ের মাস্টার প্লানে যে শহীদ মিনারটির নকশা অঙ্কিত হয়েছে তার কাজও পরবর্তীতে শুরু হবে। বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য হিসেবে আমার টেন্ডার প্রদানের ক্ষমতা না থাকায় আপাতত শহীদদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদনের নিমিত্তে অতি অল্প সময়েই কংক্রিটের এই শহীদ মিনারের নির্মাণকাজ নিষ্পন্ন হয়েছে।’
উল্লেখ্য, এদিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য প্রফেসর ড. খোন্দকার নাসিরউদ্দিনের আমলে শহীদ মিনার নির্মাণাধীন দেখানো হলেও কনক্রিটের শহীদ মিনারের স্থলে কাঠের শহীদ মিনার দিয়েই তিনি দুর্নীতির মধ্য দিয়ে কেবল নিজের আখের গোছায়। এছাড়াও, শহীদ মিনার সংস্কারের কাজ কিছু না করেও টেন্ডার প্রদানের পূর্বেই ২০১৮ সাল পর্যন্ত প্রায় ১ কোটি ৬৩ লক্ষ টাকা খরচ দেখানো হয়েছিলো।