রাবিতে শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালিত

আজ শনিবার রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে যথাযোগ্য মর্যাদায় শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন করা হয়। এদিন ভোরে প্রধান প্রধান ভবনে জাতীয় পতাকা অর্ধনমিতভাবে উত্তোলন করা হয়। সকাল ৭:১৫ মিনিটে উপাচার্য ভবন থেকে প্রভাত ফেরিসহ উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান, উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারীসহ প্রশাসনের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাবৃন্দ বিশ্ববিদ্যালয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ ও শহীদ বুদ্ধিজীবীদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে এক মিনিট নীরবতা পালন করেন।

এরপর তাঁরা শহীদ সৈয়দ নজরুল ইসলাম প্রশাসন ভবনের পশ্চিম চত্বরে শহীদ বুদ্ধিজীবী স্মৃতিফলকে পুষ্পস্তবক অর্পণ করেন। সেখানে উপাচার্য প্রফেসর এম আব্দুস সোবহান শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবসের গুরুত্ব ও তাৎপর্য উল্লেখ করে বক্তব্য রাখেন। উপাচার্য তাঁর বক্তৃতায় উল্লেখ করেন যে, জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তানদের চরম ত্যাগ ও আত্মদানের মাধ্যমে এদেশ স্বাধীন হয়েছে। তাঁদের সেই আত্মদানকে অনুপ্রেরণার উৎস হিসেবে গ্রহণ করে আমাদেরকে এগিয়ে যেতে হবে যাতে বঙ্গবন্ধুর আজীবন লালিত স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মাণ সহজ হয়।

তিনি আরো বলেন, শহীদ বুদ্ধিজীবী দিবস পালন অর্থবহ করতে হলে যে আদর্শ ও চেতনার জন্য এই বুদ্ধিজীবীরা জীবন দিয়ে গেছেন তাকে ধারণ ও তার প্রসারে কাজ করে যেতে হবে। বর্তমান প্রজন্মের উদ্দেশ্যে উপাচার্য বলেন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে আমরা সকলে যদি সেই আদর্শ ও চেতনায় কাজ করে যাই তবেই শহীদ বুদ্ধিজীবীদের আত্মা শান্তি পাবে ও তাঁদের লালিত স্বপ্নের বাস্তবায়ন হবে।

এসময় অন্যদের মধ্যে উপ-উপাচার্য প্রফেসর আনন্দ কুমার সাহা, উপ-উপাচার্য প্রফেসর চৌধুরী মো. জাকারিয়া, কোষাধ্যক্ষ প্রফেসর এ কে এম মোস্তাফিজুর রহমান আল-আরিফ, ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার প্রফেসর এম এ বারী, প্রক্টর প্রফেসর মো. লুৎফর রহমান, ছাত্র-উপদেষ্টা প্রফেসর লায়লা আরজুমান বানু, জনসংযোগ দপ্তরের প্রশাসক প্রফেসর প্রভাষ কুমার কর্মকার প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এদিন শহীদ স্মৃতি সংগ্রহশালাসহ বিভিন্ন হল প্রশাসন, পেশাজীবী সমিতি ও সংগঠনসহ অন্যরাও পুষ্পস্তবক অর্পণ করে।

দিবসের কর্মসূচিতে আরো ছিল বাদ জোহর বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় জামে মসজিদে বিশেষ মোনাজাত ও সন্ধ্যায় কেন্দ্রীয় মন্দিরে বিশেষ প্রার্থণা।