ড্যাফোডিলে এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড এমার্জিং ইকনোমিক্স সম্মেলন
নিজস্ব প্রতিবেদক।
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি ও যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইনোভেশন লিডারশিপ নেভিগেশনের যৌথ আয়োজনে আজ থেকে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটিতে শুরু হয়েছে তিন দিনব্যাপী (৮-১০ ডিসেম্বর) ‘৪র্থ আন্তর্জাতিক গ্লোবালাইজেশন, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অ্যান্ড এমার্জিং ইকনোমিক্স সম্মেলন’।
আজ রোববার (৮ ডিসেম্বর) সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে সম্মলনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিলের চেয়ারম্যান অধ্যাপক মেজবাহউদ্দিন আহমেদ। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেরিটাইম ইউনিভার্সিটির উপাচার্য রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ খালেদ ইকবাল। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ভারপ্রাপ্ত উপাচার্য অধ্যাপক ড. আহমেদ ইসমাইল মোস্তফার সভাপতিত্বে সম্মেলনে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্যুরিজম অ্যান্ড হসপিটালিটি ম্যানেজমেন্ট বিভাগের অধ্যাপক সৈয়দ রাশিদুল হাসান। এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খান, সেন্টার ফর বিজনেস অ্যান্ড ইকনোমিক রিসার্চের চেয়াম্যান ড. পি আর দত্ত, যুক্তরাজ্যের সেন্টার ফর ইনোভেটিভ লিডারশীপ নেভিগেশন লন্ডন এর মিঃ মার্ক টি জোনস্ বিজনেস অ্যান্ড এন্ট্রাপ্রেনারশিপ অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মাসুম ইকবাল, প্রমুখ।
তিন দিনের এই আন্তর্জাতিক সম্মেলনে কানাডা, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র, ভারত, ইতালি, মালয়েশিয়া, মেক্সিকো, নাইজেরিয়া, রাশিয়া, থাইল্যান্ড ও বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে অংশ নেওয়া ৯২জন গবেষক ও শিক্ষক ৭৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে অধ্যাপক মেজবাহউদ্দিন আহমেদ বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নত দেশের কাতারে যাওয়ার লড়াই করছে। এই সময়ে সবার আগে দরকার গুণগত মানসম্পন্ন শিক্ষা। একইসঙ্গে দরকার ‘আউটকাম বেসড’ শিক্ষা। এ জন্য উন্নত দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার সঙ্গে আমাদের দেশের শিক্ষা ব্যবস্থার পার্থক্য বুঝতে হবে। এ ধরনের আন্তর্জাতিক সেমিনার সেই বোঝাপড়ার ক্ষেত্রে সহায়ক হবে বলে মন্তব্য করেন তিনি। এ সময় তিনি ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়সহ সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানকে ধন্যবাদ জানান এ ধরনের সম্মেলন আয়োজন করার জন্য।
গুণগত শিক্ষা নিশ্চিত করা একটি কঠিন কাজ উল্লেখ করে অধ্যাপক মেজবাহউদ্দিন আহমেদ আরও বলেন, বাংলাদেশে সরকারি ও বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়াও দুই হাজারের অধিক কলেজ রয়েছে, যেগুলো উচ্চশিক্ষা প্রদান করে থাকে। এসব কলেজে শিক্ষার গুণগত মান তত্বাবধান করা একটু কঠিন। তবে বাংলাদেশ এক্রিডিটেশন কাউন্সিল সেই কঠিন কাজ শুরু করেছে বলে জানান অধ্যাপক মেজবাহউদ্দিন আহমেদ।
সম্মেলনের বিষয়বস্তু সম্পর্কে তিনি বলেন, বাংলাদেশের বর্তমান প্রেক্ষাপটে গ্লোবালাইজেশন, এন্ট্রাপ্রেনারশিপ ও বিকাশমান অর্থনীতি বিষয়গুলো খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এই সম্মেলনের মাধ্যমে তরুণ গবেষক, উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তারা অনুপ্রাণিত হবেন বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।
বিশেষ অতিথির বক্তব্যে রিয়ার এডমিরাল মোহাম্মদ খালেদ ইকবাল বলেন, বাংলাদেশ বিভন্ন সেক্টরে দ্রুত উন্নতি করছে। উন্নতি দরকার শিক্ষা খাতেও। গবেষণা ও নতুন নতুন উদ্ভাবন ছাড়া শিক্ষাখাতে উন্নতি সম্ভব নয়। এ ধরনের সম্মেলন শিক্ষাখাতের উন্নয়নে ভূমিকা রাখবে তাতে কোনো সন্দেহ নেই।
তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশ সরকার শিক্ষাখাতের উন্নয়নে অনেক উদ্যোগ গ্রহণ করেছে। পাবলিক ও প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যে কোনো পার্থক্য করছে না। ফলে প্রাইভেট বিশ্ববিদ্যালয়গুলোও অনেক ভালো কাজ করছে। এই সম্মেলন তারই উদাহরণ।