ড্যাফোডিলে ফেইক নিউজ নিয়ে সেমিনার

নিজস্ব প্রতিবেদক।

ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের আয়োজনে ‘ফেইক নিউজ’ শীর্ষক এক সেমিনার গত (২৫ নভেম্বর) সোমবার  বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যাঙ্কুয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সেমিনারে ‘ফেইক নিউজ : আইডেন্টিফাইং, ডিফাইনিং অ্যান্ড ফাইটিং’ শীর্ষক মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন লিথুনিয়ার মাইকোলাস রোমেরিস ইউনিভার্সিটির ভাইস রেক্টর প্রফেসর রেজিনা ভালুতাইতে।

রেজিনার প্রবন্ধের ওপর আলোচনা করেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও আমাদের অর্থনীতি দ্য ডেইলি আওয়ার টাইম-এর প্রধান সম্পাদক নাঈমুল ইসলাম খান ও নিউজ২৪ এর বার্তা প্রধান রাহুল রাহা। এ সময় সেমিনারে আরও উপস্থিত ছিলেন ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির উপ-উপাচার্য অধ্যাপক ড. এস এম মাহবুব উল হক মজুমদার, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড, ফখরে হোসেন, সাংবাদিকতা ও গণযোগাযোগ বিভাগের প্রধান ও সহযোগী অধ্যাপক সেলিম আহমেদ, সহযোগী অধ্যাপক ড. শেখ মোহাম্মদ শফিউল ইসলাম, বিভিন্ন অনুষদের ডিন ও বিভাগীয় প্রধানগণ।

প্রবন্ধ উপস্থাপনকালে প্রফেসর রেজিনা ভালুতাইতে বলেন, পৃথিবী জুড়েই ভূয়া খবর বা মিথ্যা খবরের প্রবণতা বাড়ছে। আর এটি দ্রুত ছড়াচ্ছে অনলাইন ও সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে। কানাডার এক জরিপ উল্লেখ করে তিনি বলেন, বর্তমানে ৮৬ শতাংশ মানুষ খবর পড়ে অনলাইনে এবং সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে খবর পড়ে ৭৪ শতাংশ মানুষ। সুতরাং অনলাইনে ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে পড়ার হার উদ্বেগজনক অবস্থায় পৌঁছেছে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

Post MIddle

ভূয়া খবরের উদাহরণ দিতে গিয়ে প্রফেসর রেজিনা মার্কিন প্রেডিন্টে ডোনাল্ড ট্রাম্পের কথা উল্লেখ করে নির্বাচনের সময় তিনি কীভাবে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে প্রোপাগান্ডা সৃষ্টি করেছিলেন, সে বিষয়ে বিস্তারিক বর্ণনা দেন। প্রফেসর রেজিনা বলেন, ভূয়া খবর সমাজে ও রাষ্ট্রে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে। তাই ভূয়া খবর ঠেকাকে সচেতনতা সৃষ্টির পাশাপাশি কঠোরভাবে আইন প্রয়োগ করতে হবে বলে মতামত জানান তিনি।

প্রফেসর রেজিনার প্রবন্ধের উপর আলোচনা করতে গিয়ে নাঈমুল ইসলাম খান বলেন, ‘ভূয়া খবর’ হচ্ছে এই সময়ের সবচেয়ে আলোচিত একটি বিষয়। কারণ কয়েক দিন আগেই লবনের দাম, পেঁয়াজের দাম, নাসিরনগর, রামু, ভোলা ইত্যাদি কা- ঘটতে দেখেছি যেগুলোর উৎস ভূয়া খবর। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে মিথ্যা খবর ছড়িয়ে দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করা হয়েছে। এসব ভূয়া খবর থেকে পরিত্রাণ পাওয়া দিনকে দিন কঠিন হয়ে যাচ্ছে বলে তিনি মন্তব্য করে। তবে শেষ পর্যন্ত আইনের মাধ্যমেই এসব প্রতিরোধ করতে হবে বলে মনে করেন বিশিষ্ট এই সাংবাদিক।

অপর আলোচক রাহুল রাহা বলেন, যুগ যুগ ধরেই আমাদের সমাজে ভূয়া খবর ছিল। এখনও আছে। তবে প্রযুক্তির কল্যাণে এখন ভূয়া খবর ছড়িয়ে পড়ার মাধ্যম বদলে গেছে। এখন মিথ্যা খবর সবচেয়ে বেশি ছড়ায় সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে। তাই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের সব খবরকেই বিশ্বাস না করতে পরামর্শ দেন রাহুল রাহা। শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, কোনো খবর শেয়ার করার আগে প্রশ্ন করতে হবে, সন্দেহ করতে হবে এবং যাচাই করতে হবে।

অনুষ্ঠানের শেষ পর্যায়ে শিক্ষার্থীদের নানা প্রশ্নের জবাব দেনন প্রফেসর রেজিনা ও অন্যান্য আলোচকবৃন্দ।

পছন্দের আরো পোস্ট