বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর ৬ষ্ঠ বার্ষিক সম্মেলন

নিজস্ব প্রতিবেদক।

আজ (২৩ নভেম্বর) বাংলা একাডেমিতে বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর ৬ষ্ঠ বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। ১৯৭১ : গণহত্যা-নির্যাতন আর্কাইভ ও জাদুঘর এবং বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মিলনীর উদ্যোগে ‘১৯৭১ -এর গণহত্যা, বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী’ শীর্ষক আন্তর্জাতিক সম্মেলনের সমাপনী অধিবেশন শেষে সম্মিলনীর কার্য অধিবেশন বসে।

বাংলাদেশ ইতিহাস সম্মলনীর সভাপতি অধ্যাপক মুনতাসীর মামুনের সভাপতিত্বে এবং সেমিনার স¤পাদক তপন পালিতের সঞ্চালনায় বার্ষিক প্রতিবেদন উপস্থাপন করেন সংগঠনের সাধারণ স¤পাদক অধ্যাপক মোঃ মাহবুবর রহমান। বক্তব্য রাখেন ড. মনিরুজ্জামান শাহীন ও ড. চৌধুরী শহীদ কাদের। জেলা প্রতিনিধিদের মধ্য বক্তব্য রাখেন দিনাজপুরের মোজাম্মেল বিশ্বাস, কুমিল্লার হাসান ইমাম মজুমদার, রাজশাহীর কামরুজ্জামান, পাবনার ড. মোঃ হাবিবুললাহ, বরিশালের ড. এস এম কাইয়ুমউদ্দিন আহমদ, খুলনার অমল গাইন প্রমুখ।

Post MIddle

কর্ম অধিবেশনে জাতীয় অধ্যাপক সালাউদ্দীন আহমদ স্মৃতি পুরষ্কার প্রদান করা হয় রেহানা পারভীন ও হোসনে আরা খানম-কে।অধ্যাপক মোঃ মাহবুবর রহমানকে সভাপতি এবং চৌধুরী শহীদ কাদেরকে সভাপতি করে সম্মিলনীর নতুন কমিটি গঠিত হয়। সম্মিলনীর উপদেষ্টা পরিষদের সভাপতি মনোনীত হয়েছেন ড. মুনতাসীর মামুন। সভাপতির ভাষণে অধ্যাপক মুনতাসীর মামুন বলেন, সবাইকে ইতিহাসচর্চায় এগিয়ে আসতে হবে। অসাম্প্রদায়িক ও উদারনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি নিয়ে ইতিহাসচর্চা না করলে সত্যের অপলাপ ঘটবে। শুধু ইতিহাসচর্চা নয়, ইতিহাসের ভালো শিক্ষক হওয়াও জরুরী। মুজিব বর্ষ ও বাংলাদেশের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নতুনভাবে কাজ করার প্রত্যয় তিনি ব্যক্ত করেন। অসাম্প্রদায়িক ও গণমুখী ইতিহাস চর্চার যে ধারার সম্মিলনীর সৃষ্টি করেছে, তার সত্যিকারের বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠায় সহায়ক হবে বলে তিনি মন্তব্য করেন।

কর্ম অধিবেশনে চট্টগ্রাম, কুমিল্লা, পাবনা, দিনাজপুর, পঞ্চগড়, ঠাকুরগাঁ, কুষ্টিয়া, খুলনা, বরিশাল রাজশাহশ নানা জেলা থেকে তিনশজন শিক্ষক সাংবাদিক গবেষক, বিশ্ববিদ্যালয় কলেজের শিক্ষক গবেষক ইতিহাসপ্রেমি নানা শ্রেণি-পেশার মানুষ সম্মেলনে অংশগ্রহণ করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট