শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট নিরসনে কুবির আইসিটি শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভ
কুবি প্রতিনিধি:
শ্রেণিকক্ষ সঙ্কট নিরসন, পর্যাপ্ত ল্যাব সুবিধা নিশ্চিতকরণের দাবিতে বিক্ষোভ করছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুবি) প্রকৌশল অনুষধভুক্ত আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থীরা। সোমবার (১১ নভেম্বর) দুপুরে প্রশাসনিক ভবনের সামনে এ বিক্ষোভ শুরু করেন।
শিক্ষার্থীদের দাবি, বারবার মৌখিক আশ্বাস দেওয়া হলেই কার্যত কোনো সমাধান না হওয়ায় তারা আন্দোলনে নেমেছেন। এ সমস্যার দ্রুত এবং কার্যকরী সমাধান না হওয়া পর্যন্ত তাদের আন্দোলন চলমান থাকবে।
আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা জানান, আইসিটি বিভাগে চলমান সাতটি ব্যাচের বিপরীতে ক্লাস রুম আছে মাত্র একটি। প্রতিবছর নতুন ব্যাচ ভর্তি হচ্ছে কিন্তু রুম সংকটের কারণে যথাসময়ে বের হতে পারছে না কোনো শিক্ষার্থী। দেখা যায় এক ব্যাচের ক্লাস হলে অন্যরা ক্লাসের জন্য অন্য বিভাগের ক্লাসরুমে যেতে হয়। এক ব্যাচের পরীক্ষা চলাকালীন সময়ে অন্য কিছুই করা সম্ভব হয় না। এর জন্য নিয়মিত কোর্স শেষ করতে না পেরে প্রতিটি ব্যাচেই সেশন জট আরো লেগেই আছে।
এ সময় শিক্ষার্থীরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের কাছে তাদের পাঁচটি দাবি তুলে ধরেন। দাবি গুলো হল- প্রকৌশল ভবন হস্তান্তর, আইসিটি মন্ত্রণালয় থেকে প্রাপ্ত দুটো ল্যাবের সুষম বণ্টনের মাধ্যমে ল্যাবরুমের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতকরণ, শিক্ষক সঙ্কট নিরসন, আইসিটি বিভাগকে নিয়ে কটুক্তিকারী জনৈক শিক্ষকের বক্তব্য প্রত্যাহার।
আইসিটি বিভাগের শিক্ষার্থী আহমেদ আল বোখারী বলেন, ‘আমরা প্রশাসনের কাছে দীর্ঘদিন ধরে আমাদের সঙ্কট সমাধানের জন্য বলে আসছি কিন্তু তারা আমাদের দাবিগুলো সমাধানের ব্যাপারে তা আশ্বাসেই সীমাবদ্ধ রেখেছেন। তাই আমরা বাধ্য হয়ে আজকে আন্দোলনে নেমেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত আমাদের দাবি গুলো মানা না হবে ততক্ষণ পর্যন্ত আমরা আন্দোলন চালিয়ে যাব।’
এদিকে প্রক্টরের কাছ থেকে লিখিত আশ্বাস পেয়ে সকাল থেকে চলমান আন্দোলন তারা দুপুর ১টার দিকে স্থগিত করেন এবং শিক্ষার্থীরা বলেন মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) ১২ টার মাঝে আমাদের দাবিগুলোর ব্যাপারে দৃশ্যমান কোন সমাধান না হলে প্রশাসনিক ভবনে তালা লাগিয়ে দেয়া হবে।
প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন জানান, ‘শিক্ষার্থীরা শান্তিপূর্ণ অবস্থান শেষে আমার কাছে লিখিত দাবি উপস্থাপন করেছে। আমি প্রশাসনিকভাবে তাদের দাবির বিষয়ে সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছি।’
এ বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয় রেজিস্ট্রার (অতিরিক্ত দায়িত্ব) অধ্যাপক ড. মো: আবু তাহের বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দেওয়া প্রতিটি দাবির সাথে আমি একমত। খুব শীঘ্রই তাদের জন্য ক্লাস ও ল্যাব বরাদ্দে আমরা সর্বোচ্চ চেষ্টা করছি। আজ রাতের মধ্যেই ইঞ্জিনিয়ারিং অনুষদের ২টা ক্লাস ও ল্যাবের কাজ শেষ করতে বলছি। আর মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) শিক্ষার্থীদের নিয়ে আমরা বসবো।’