ভর্তি পরীক্ষায় বিএনসিসি-রোভার স্কাউটের প্রশংসনীয় স্বেচ্ছাসেবা
কুবি প্রতিনিধি:
কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় ( কুবি) ২০১৯-২০ শিক্ষাবর্ষের ভর্তি পরীক্ষা শেষ হয়েছে। ৮ ও ৯ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হওয়া এই পরীক্ষায় সারাদেশ থেকে আসা ভর্তিচ্ছু শিক্ষার্থীদের সহায়তার জন্য বিভিন্ন সংগঠন কার্যক্রম পরিচালনা করেছে বিশ্ববিদ্যালয় ও বহিঃস্থ পরীক্ষা কেন্দ্রে। তবে কিছুটা ভিন্নতার পরিচয় পাওয়া যায় বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউটের কার্যক্রমে।
ভর্তি পরীক্ষার্থীদের নানাবিধ দিকনির্দেশনাসহ অসুস্থ কিংবা প্রতিবন্ধী শিক্ষার্থীদের নিজহাতে হলরুমে পৌঁছে দেন বিএনসিসি এবং রোভার স্কাউট। এমনকি বৃষ্টিতে ভিজেও সুষ্ঠুভাবে দায়িত্ব পালনে অবিচল থাকতে দেখা গিয়েছে তাদের। সবার আগে নিজের দায়িত্বকে প্রাধান্য দেওয়ার অকৃত্রিম উদাহরণ তৈরি করেছে এই দুই স্বেচ্ছাসেবী সংগঠনের সদস্যরা।
বিএনসিসি কুবি প্লাটুন থেকে ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিনে (৮ নভেম্বর) দায়িত্ব পালন করে ৮০ জন এবং দ্বিতীয় দিন( ৯ নভেম্বর) দায়িত্ব পালন করে ৫০ জন সদস্য। তাদের দায়িত্বের মধ্যে ছিলো ভর্তিচ্ছুরা যেন কেন্দ্রে কোনো ধরণের ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে প্রবেশ করতে না পারে তা নিশ্চিত করা, ট্রাফিক নিয়ন্ত্রণ ও নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণে নিয়োজিত থাকা।
এসব বিষয়ে বিএনসিসি কুবি প্লাটুনের ক্যাডেট আন্ডার অফিসার (সিইউও) তন্ময় কুমার সরকার বলেন, ‘আমাদের উপর যা নির্দেশনা ছিলো, তা পালন করার চেষ্টা করেছি। সবার আগে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী হিসেবে নিজেদেরকে ভেবেছি। আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনাম অক্ষুুন্ন রাখতে আমরা কাজ করেছি।’
অপরদিকে রোভার স্কাউট থেকেও ভর্তি পরীক্ষার প্রথম দিন ৮০ জন ও দ্বিতীয় দিন ৫০জন দায়িত্ব পালন করে। বিএনসিসির পাশাপাশি শৃঙ্খলা রক্ষায় সজাগ থাকায় তাদের কার্যক্রমও নজর কেড়েছে সকলের।
রোভার স্কাউটের সিনিয়র রোভার মেট আনোয়ার হোসাইন বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ভর্তি পরীক্ষার কার্যক্রম সুষ্ঠুভাবে সম্পন্ন করার জন্য বিভিন্ন দায়িত্ব দিয়েছিলো। পরীক্ষার হলে প্রবেশের সময় চেকিং, কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা এড়ানো, পরীক্ষার্থীদের সহায়তাসহ সকল দায়িত্ব পালনে রোভার স্কাউট সচেষ্ট ছিলো। সকল কার্যক্রম সফল করতে আমাদের যারা কাজ করেছে (রোভার এবং গার্লস ইন রোভার) সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।’
বিশ্ববিদ্যালয় প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিন, ‘বিএনসিসি ও রোভার স্কাউট বিশ্ববিদ্যালয়ের দুটি অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। সবার আগে তারা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী হিসেবে বিশ্ববিদ্যালয়কে নিজের ভেতরে ধারণ করে শৃঙ্খলা রক্ষায় সচেষ্ট হয়েছে। ভর্তি পরীক্ষা নির্বিঘ্ন করতে পুলিশ প্রশাসনের পাশাপাশি আইন-শৃঙ্খলা তারা যেভাবে আমাদের সহযোগিতা করেছে তা প্রশংসনীয়।’