কুষ্টিয়ার সেরা প্রাথমিক শিক্ষিকা তৃপ্তি হাসনাৎ
কুষ্টিয়া প্রতিবেদক
উচ্চ শিক্ষা সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় থেকে এলএলবি-এলএলএম হলেও আগ্রহ জন্মায় শিশু শিক্ষা নিয়ে কাজ করার, উচ্চ আদালতের ওকালতি ছেড়ে যথারীতি চেষ্টা করেন প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হতে। ২০১৩ সালে নিয়োগ পান প্রাথমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষক হিসাবে।কুষ্টিয়া সদর উপজেলার কপুরহাট সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে শিক্ষকতার সময়েই আইনের মানুষ তৃপ্তি শেষ করেন ‘ডিপ্লোমা ইন প্রাইমারি এডুকেশন’ কোর্স।
জেলার শিক্ষাঙ্গনে নিজের প্রতিভা আর দক্ষতার সাক্ষর রাখতে শুরু করেন তিনি। শনিবার,১৯ অক্টোবর পেলেন স্বীকৃতিও। কুষ্টিয়া জেলার শ্রেষ্ঠ প্রাথমিক সহকারী শিক্ষক (মহিলা) ক্যাটাগরিতে গ্রহন করেন জেলা প্রশাসক প্রাথমিক শিক্ষা পদক-২০১৯।
এ অঞ্চলের এক সময়ের জনপ্রিয় সংগীত শিল্পী তৃপ্তি হাসনাৎ চুমকি, সারা দেশের শিক্ষকদের ভিতর এরই মধ্যে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করেন তার কণ্ঠ শিল্প দিয়ে। শিশু শিক্ষা নিয়ে গবেষণা,বিভিন্ন পত্রপত্রিকায় শিশুদের নিয়ে লেখালেখি,পাঠদানে মনোযোগ আর গান-কবিতার প্রতিভা, সবমিলিয়ে অল্পতেই শিক্ষার্থী ও সহকর্মীদের মধ্যমনি হয়ে ওঠেন তিনি। ‘খেতাব নয়,নিজের কাছে থাকা বিদ্যা-বুদ্ধি-বিবেক কাজে লাগাতে চাই দেশের কল্যানে। শিক্ষিত জাতি গড়তে এই প্রজন্মের একজন শিক্ষক হিসাবে নিজের সবটুকু দিয়ে কাজ করতে চাই’ পদক প্রাপ্তীর অনুভুতি জানতে চাইলে এরকমই জবাব দেন তৃপ্তি।
জেলা প্রশাসক পদকে এবারই প্রথমবার প্রাথমিক শিক্ষাকে অন্তর্ভুক্ত করায় আনন্দিত প্রাথমিক বিদ্যালয় শিক্ষকেরা। শনিবার বিভিন্ন ক্যাটাগরিতে কুষ্টিয়া সদরের পৌর অডিটরিয়ামে দেয়া হয় জেলা প্রশাসক পদক। এর আগে বিভিন্ন ভাবে যাচাই-বাছাই করা হয় পদক প্রাপ্তদের দক্ষতা, যোগ্যতা ও কার্যক্রম কে। কুষ্টিয়ার দৌলতপুরের মেয়ে তৃপ্তি হাসনাৎ বর্তমান সরকারের শিক্ষা খাতের উন্নয়ন নিয়ে ব্যপক আশাবাদী বলে জানান।
তিনি বলেন, শিক্ষকদের বহুমুখী কার্যক্রমে ইনভলব থাকতে হবে,শিশু শিক্ষার্থীদের কাছে এমন হয়ে উঠতে হবে যেন,প্রাথমিক শিক্ষার পাঁচ বছর শিশুরা বাড়ির তুলনায় বিদ্যালয়ে থাকতেই বেশি পছন্দ করে। মনে রাখতে হবে আজকের শিশু আগামী দিনের ভবিষ্যত আর ভবিষ্যত গঠনে অন্যতম দায়িত্ব শিক্ষকদের।