জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে কলেজ মনিটরিং ওয়ার্কশপ
শিক্ষকের মর্যাদা নির্ধারণ হয় আদর্শ ও নৈতিকতাবোধ দ্বারা ওয়ারেন্ট অব প্রিসিডেন্স ধারা নয় বলে মনে করেন জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. হারুন-অর-রশিদ। তিনি বলেন, ‘একজন শিক্ষককে তার বিবেক ধারা পরিচালিক হতে হয়। কোনটি ন্যায় আর কোনটি অন্যায় এটা বুঝে তাকে পদক্ষেপ নিতে হয়। এ জন্য কোন কর্তৃপক্ষের দিকে তাকিয়ে থাকতে হয় না।’
গত বৃহস্পতিবার গাজীপুরে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের মূল ক্যম্পাসে সিনেট হলে ‘কলেজ মনিটরিং ওয়ার্কশপ- ২০১৯’ এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন মাননীয় উপাচার্য।
উপাচার্য বলেন, ‘জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের এক সময়ের বড় চ্যালেঞ্জ ছিল দুর্বিষহ সেশনজট। বিশেষ অ্যাকাডেমিক প্রোগ্রাম চালুর মাধ্যমে সেটি থেকে আমরা পরিত্রাণ লাভ করেছি। এটি সমাধান এক সময় অসম্ভব মনে করা হতো। এখন বড় চ্যালেঞ্জ শিক্ষার মনোন্নয়ন। এটি নিয়ে আমরা কাজ করছি। শিক্ষার মনোন্নয়নে অনেক প্রকল্প বাস্তবায়নাধীন রয়েছে।’
উপাচার্য বলেন, ‘মানুষের পক্ষে অনেক কিছুই করা সম্ভব যদি প্রবল ইচ্ছাশক্তি, দৃঢ়তা, অঙ্গীকার ও সততা থাকে। কলেজ লাইব্রেরিতে নোট-গাইডের ছড়াছড়ি। এগুলো থেকে আমাদের বের হয়ে আসতে হবে। কলেজগুলোতে মানসম্মত টেক্সট বই দেয়ার জন্য আমরা প্রকল্প হাতে নিয়েছি। আশা করছি, ন্যূনতম সময়ে মান সম্পন্ন বই রচনা করে শিক্ষার্থীদের দেয়া সম্ভব হবে।’
অধ্যক্ষদেরকে কলেজের মনিটরিং আরও জোরদার করার আহ্বান জানিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘২ হাজার ২৬০টি কলেজকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসে বসে মনিটরিং করা খুবই দুঃসাধ্য। এজন্য অধ্যক্ষদেরও নিজ প্রতিষ্ঠানের নিয়মিত শিক্ষা কার্যক্রম মনিটরিংয়ের ব্যবস্থা করতে হবে। শিক্ষার্থীদের উপস্থিতি, শিক্ষকদের হাজিরা সবকিছুই মনিটরিং করতে হবে। এতে করে শিক্ষার মানোন্নয়নে আমাদের যে লক্ষ্য সেটি নিশ্চিত হবে।’
কারিকুলাম উন্নয়ন ও মূল্যায়ন কেন্দ্রের ডিন ড. মোহাম্মদ বিন কাশেমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন উপ-উপাচার্য প্রফেসর ড. হাফিজ মুহম্মদ হাসান বাবু, প্রফেসর ড. মশিউর রহমান, রেজিস্ট্রার মোল্লা মাহফুজ আল-হোসেন প্রমুখ। এছাড়া ওয়ার্কশপে ৫৬ জন অধ্যক্ষ/প্রতিনিধি উপস্থিত ছিলেন।