উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের গল্প

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ সেন্টারের ১ম বর্ষ পূর্তি উদ্যাপনের অংশ হিসেবে গত (১৫ সেপ্টেম্বর ২০১৯) রবিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের নবাব নওয়াব আলী চৌধুরী সিনেট ভবনে “উদ্ভাবক ও উদ্যোক্তাদের গল্প” শীর্ষক এক বিশেষ সেমিনারের আয়োজন করা হয়।

‘সৃজনশীল ও উদ্ভাবনমুখী উদ্যোগী বাংলাদেশ বিনির্মাণে’ প্রতিপাদ্য নিয়ে আয়োজিত সেমিনারে সভাপতিত্ব করেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুপারনিউমারারি অধ্যাপক ও সেন্টারের সহ-সভাপতি ড. খন্দকার বজলুল হক। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী (বীরপ্রতীক), এম.পি.।

সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এমসিসিআই’র সভাপতি ব্যারিস্টার নিহাদ কবির এবং ডিসিসিআই’র সভাপতি ওসামা তাসীর। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের সহযোগী অধ্যাপক মো. রাশেদুর রহমান।

সেমিনারে অন্যান্যদের মধ্যে আরও বক্তব্য রাখেন ঢাবি বায়োমেডিক্যাল ফিজিক্স এন্ড টেকনোলজি বিভাগের অনারারি অধ্যাপক ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী, প্রাণরসায়ন ও অনুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের চেয়ারপার্সন অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সিরাজ, অর্গ্যানাইজেশন স্ট্র্যাটেজি ও লিডারশিপ বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ আবদুল মঈন এবং প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ সহকারি ব্যারিস্টার শাহ আলী ফরহাদ। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের প্রায় পাঁচ শতাধিক শিক্ষক ও শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।

Post MIddle

বস্ত্র ও পাটমন্ত্রী গোলাম দস্তগীর গাজী, এম.পি. তার বক্তব্যে স্বাধীনতার উত্তর ও স্বাধীনতা পরবর্তী সময়ে বাংলাদেশের অর্থনীতি ও শ্রমবাজারের আকার ও প্রকৃতির ব্যাপক পরিবর্তনের দিকটি তুলে ধরেন।

তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, উদ্ভাবনী উদ্যোগের মাধ্যমে নতুন অর্থনৈতিক উৎকর্ষের পথ ধরে ২০৪১ সালের পূর্বেই বাংলাদেশ উন্নত দেশ হিসেবে আত্মপ্রকাশ করতে সক্ষম হবে। উদ্যোক্তাদের চলার পথটি সহজ করতে তিনি ব্যাংকসমূহকে ‘সিংগেল ডিজিট’ বা একক অংকের সুদের হার নির্ধারণের উপর গুরুত্বারোপ করেন।

অধ্যাপক ড. খন্দকার সিদ্দিক-ই-রাব্বানী বলেন, মানুষের সহজাত প্রবৃত্তি হলো সমস্যা দেখলে সমাধানের চেষ্টা করা আর এভাবেই সভ্যতার বিকাশ হয়। জীবনকে অর্থবহ করতে হলে অন্যের জন্য কাজ করতে হয়। উদ্যোক্তা হিসেবে নিজের অভিজ্ঞতার আলোকে তিনি দুটি বড় প্রতিবন্ধকতার কথা তুলে ধরেন; প্রথমটি নীতি সংক্রান্ত ও অন্যটি কর সংক্রান্ত। তিনি নীতি নির্ধারকদের দৃষ্টি আকর্ষণ করে বলেন, ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের কর ও অনুমোদন সংক্রান্ত জটিলতার বাইরে রাখতে হবে।

অধ্যাপক ড. জেবা ইসলাম সিরাজ বলেন, নীতি নির্ধারকদের নিয়ে উদ্যোক্তা উন্নয়নে কাজ করতে হবে এবং এজন্য কঠোর পরিশ্রমের কোনো বিকল্প নেই।

সভাপতির বক্তব্যে অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক বলেন, বর্তমান বিশ্বের সমস্যাসমূহ নিয়ে কাজ করতে গিয়ে টেকসই উন্নয়ন ও শিল্প বিপ্লবের কথা বলা হয়ে থাকে। এসবের সাথে উদ্ভাবন ও উদ্যোগের সরাসরি সম্পর্ক রয়েছে। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রিক ইনোভেশন, ক্রিয়েটিভিটি এন্ড এন্ট্রাপ্রেনিউরশীপ সেন্টার বাংলাদেশের সার্বিক উন্নয়নে কার্যকর ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশাবাদ ব্যক্ত করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট