ডাকসুর স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠান

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও ডাকসু’র সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের রূপকার হিসেবে অভিহিত করে বলেছেন, তিনি দেশের সুবিধা বঞ্চিত ও প্রান্তিক জনগোষ্ঠীকে উন্নয়নের মূলধারায় সম্পৃক্ত করেছিলেন।

এদেশের গরীব ও দুঃখী মানুষের অর্থনৈতিক মুক্তি নিশ্চিত করাই ছিল তাঁর রাজনীতির প্রধান লক্ষ্য। স্বাধীনতার মহান স্থপতি জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৪৪তম শাহাদাৎ বার্ষিকী উপলক্ষ্যে গত (২২ আগস্ট ২০১৯) বৃহস্পতিবার অধ্যাপক মোজাফ্ফর আহমেদ চৌধুরী মিলনায়তনে ডাকসু আয়োজিত স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে উপাচার্য এ কথা বলেন।

Post MIddle

অনুষ্ঠানে বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক গভর্ণর অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান ‘বঙ্গবন্ধুর অর্থনৈতিক ভাবনা’ শীর্ষক স্মারক বক্তৃতা প্রদান করেন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. সাদেকা হালিম, ডাকসু’র জিএস গোলাম রাব্বানী ও এজিএস মো. সাদ্দাম হোসেন আলোচনায় অংশ নেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান কৃষি, শিল্প, শিক্ষা,স্বাস্থ্য, অর্থনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্যসহ সকল ক্ষেত্রে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বীজ রোপন করে গেছেন। তাঁর আদর্শ অনুসরণের মাধ্যমে সাধারন মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে কাজ করার জন্য তিনি তরুণ প্রজন্মের প্রতি আহ্বান জানান।

স্মারক বক্তৃতায় অধ্যাপক ড. আতিউর রহমান বলেন, জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান প্রধানমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব গ্রহনের পর প্রশাসনিক ব্যবস্থার পুনর্গঠন, সংবিধান প্রণয়ন, শরণার্থী পুনর্বাসন, যোগাযোগ ব্যবস্থার উন্নয়ন, শিক্ষা ব্যবস্থার সম্প্রসারণ, ইসলামিক ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা, ৪০ হাজার প্রাথমিক স্কুল সরকারিকরণ, মুক্তিযোদ্ধা কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, কৃষি ঋণ বিতরণ, কৃষকদের মাঝে গাভী ও সেচ পাম্প বিতরণসহ যুদ্ধ বিধ্বস্ত দেশ গঠনে বিভিন্ন কর্মসূচি গ্রহণ করেন। তাঁর দেখানো পথ ধরেই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বর্তমান সরকার দেশকে সমৃদ্ধি ও উন্নতির দিকে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে।

পছন্দের আরো পোস্ট