বর্ধিত চাঁদার সুফল পাচ্ছেন শিক্ষক কর্মচারীরা

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

বেসরকারি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান শিক্ষক কর্মচারী কল্যাণ ট্রাস্ট বাংলাদেশের মাধ্যমিক স্কুল, কলেজ, মাদ্রাসা এবং কারিগরি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সকল এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ২% চাঁদার অর্থে পরিচালিত সরকারের একটি আর্থিক সেবামূলক প্রতিষ্ঠান। সে অনুযায়ী জুলাই, ১৯৯০খ্রি. সাল থেকে কল্যাণ ভাতা প্রদান করে আসছে।

৮ম জাতীয় বেতন স্কেলে শিক্ষক কর্মচারীদের বেতন শতভাগ বৃদ্ধি পাওয়ায় এবং কল্যাণ ট্রাস্ট আইন অনুযায়ী শিক্ষক কর্মচারীদের শেষ বেতন স্কেল অনুযায়ী কল্যাণ সুবিধা প্রদান করায় কল্যাণ ট্রাস্ট চরম ফা- সংকটের সম্মুখীন হয়। এমপিওভুক্ত শিক্ষক-কর্মচারীদের নিকট হতে প্রাপ্ত মাসিক চাঁদা ২% হারে আদায় হতো প্রায় ১৮ কোটি টাকা এবং কল্যাণ সুবিধার মাসিক জমাকৃত আবেদন নিষ্পত্তির জন্য প্রয়োজন প্রায় ৪০ কোটি টাকা (নতুন জাতীয় বেতন স্কেল অনুযায়ী)।

এ হিসাবে প্রতিমাসে ঘাটতি প্রায় ২২ কোটি টাকা এবং বার্ষিক ঘাটতির পরিমাণ প্রায় ২ শত ৬৪ কোটি টাকা। শুধুমাত্র ফা- সংকটের কারণে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীদের হাজার হাজার আবেদন অনিষ্পন্ন ছিল। যা নিষ্পত্তির জন্য শিক্ষকগণের ২% চাঁদার অর্থের জন্য নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হতো।

এ সংকট দূরীকরণের লক্ষ্যে শিক্ষা ও শিক্ষক বান্ধব মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর হস্তক্ষেপে শিক্ষকদের মানোন্নয়নে অর্থ মন্ত্রণালয় সর্বমোট ৩ শত ৩৫ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করে। অর্থ মন্ত্রণালয় শিক্ষক কর্মচারীদের ২% চাঁদার পরিবর্তে ৪% চাঁদা প্রদানের শর্তে উক্ত অর্থ বরাদ্দ প্রদান করে। অর্থ মন্ত্রণালয়ের শর্ত অনুযায়ী শিক্ষা মন্ত্রণালয় এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের নিকট হতে ২% চাঁদার পরিবর্তে ৪% চাঁদা প্রদানের গেজেট প্রকাশ করে।

Post MIddle

ফলে ফান্ড সংকট নিরসনের জন্য এমপিওভুক্ত শিক্ষক কর্মচারীদের ২% চাঁদার পরিবর্তে ৪% চাঁদা জমা শুরু হয়েছে। এছাড়াও বার্ষিক ৫% ইনক্রিমেন্ট, বৈশাখী ভাতা চালু হয়েছে। মে, ২০১৯খ্রি. হতে ৪% হারে চাঁদা আদায় হয় প্রায় ৩৬ কোটি টাকা।

বর্তমান ট্রাস্টি বোর্ড দায়িত্ব গ্রহণের পরই ১০০ দিনের কর্মসূচি গ্রহণ করেন এবং এই ১০০ দিনের মধ্যে অবসরপ্রাপ্ত ৬ হাজার ৪ জন শিক্ষক কর্মচারীদের মধ্যে প্রায় ২৩৫৬ কোটি ৬৯ লক্ষ ১ হাজার ৯৩০ টাকা প্রদান করেন। যা কল্যাণ ট্রাস্টের ইতিহাসে এক মাইল ফলক অনন্য দৃষ্টান্ত।

এ প্রসঙ্গে কল্যাণ ট্রাস্টের সচিব অধ্যক্ষ মোঃ শাহজাহান আলম সাজু জানান, বর্ধিত চাঁদা কার্যকর হওয়ায় অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ এর সুফল পেতে শুরু করেছেন। এ ধারা অব্যাহত থাকলে কল্যাণ সুবিধার জন্য আর শিক্ষক কর্মচারীদের বছরের পর বছর অপেক্ষা করতে হবে না।

তিনি আরো জানান, অনলাইনে আবেদন প্রাপ্তির তিন মাসের মধ্যে যাতে অবসরপ্রাপ্ত শিক্ষক কর্মচারীগণ তাদের ব্যাংক হিসাবে কল্যাণ সুবিধা পেতে পারেন সেই লক্ষ্যে কল্যাণ ট্রাস্ট কর্তৃপক্ষ বিভিন্ন উদ্যোগ গ্রহন করেছে।

পছন্দের আরো পোস্ট