ড্যাফোডিলে সোশ্যাল বিজনেস ক্রিয়েশন প্রতিযোগিতা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ
কানাডার এইচইসি মন্ট্রিল ও ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির যৌথ আয়োজনে ‘সোশ্যাল বিজনেস ক্রিয়েশন প্রতিযোগিতা’র রিজিওনাল ফাইনাল বাংলাদেশ চ্যাপ্টার গত (৩০ জুলাই) ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ৭১ মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। প্রতিযোগিতায় চ্যাম্পিয়ন হয়েছে “সর্বজয়া” দল। চ্যাম্পিয়ন দলের সদস্যরা হল মাহফুজ ইসলাম ( টেক্সটাইল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ), মেঘলা আকতার মিতু ( ইংরেজী বিভাগ) ও মোঃ আশিক ইকবাল (কম্পিউটার ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগ)। এছাড়া প্রথম রানার আপ হয়েছে টিম ‘সতেজ’ এবং দলের দ্বিতীয় রানার আপ হয়েছে টিম ‘লাইফ সেভার’।
বাংলাদেশে নিযুক্ত কানাডার হাইকমিশনার বেনয়িত প্রিফনতাইন প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন। এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ইউনুস সেন্টারের নির্বাহী পরিচালক লামিয়া মোরশেদ। ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ট্রাস্টি বোর্ডের চেয়ারম্যান ড. মো. সবুর খানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপচার্য অধ্যাপক ড. ইউসুফ মাহবুবুল ইসলাম, ব্যাবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ মাসুম ইকবাল, ইন্টারন্যাশনাল অ্যাফেয়ার্সের পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. ফখরে হোসেন প্রমুখ।
রিজিওনাল ফাইনাল প্রতিযোগিতায় ১০টি দল তাদের ব্যবসায়িক পরিকল্পনা কানাডা, মালয়েশিয়া ও ইরান থেকে আগত বিচারকদের সামনে তুলে ধরে। সেখান থেকে ৩টি দল চ্যাম্পিয়ন, প্রথম রানার আপ ও দ্বিতীয় রানার আপ নির্বাচিত হয়। পুরস্কার হিসেবে চ্যাম্পিয়ন দল পেয়েছে ১ হাজার কানাডিয়ান ডলার, কানাডায় অনুষ্ঠিতব্য ওয়ার্ল্ড ফাইনালে যোগদানের বিমান খরচ এবং ১৫ হাজার টাকা। এছাড়া ১ম রানার আপ পেয়েছে ১০ হাজার ও ২য় রানার আপ দল পেয়েছে ৫ হাজার টাকা।
বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দিয়ে বেনয়িত প্রিফনতাইন বলেন, একাডেমিক পড়াশোনার পাশাপাশি সহশিক্ষা কার্যক্রমে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির শিক্ষার্থীরা দারুণ ভূমিকা পালন করছে। এটি নিঃসন্দেহে অভিনন্দনযোগ্য। এ প্রতিযোগিতার মধ্য দিয়ে দু’দেশের মধ্যে সৌহার্দ্যপূর্ন সম্পর্ক আরো বৃদ্ধিপাবে বলে তিনি াাশা প্রকাশ করেন।
উল্লেখ্য, সোশ্যাল বিজনেস ক্রিয়েশন প্রতিযোগিতা’র বাংলাদেশ চ্যাপ্টারটি দ্বিতীয় বারের মতো আয়োজন করল ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটির ব্যবসায় ও উদ্যোক্তাবৃত্তি অনুষদের ওয়াইএসবিসি। এতে সহযোগিতা করেছে সোশ্যাল বিজনেস স্টুডেন্টস ফোরাম (এসবিএসএফ)।