নদী বাচাঁতে উৎসমুখ খুলে দেওয়ার দাবি

ইবি প্রতিনিধিঃ

কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, মাগুরা এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চল নিয়ে চালু হওয়া জিকে সেচ প্রকল্পর অধীনে আট নদীর উৎসমুখ বন্ধ রয়েছে কয়েক যুগ থেকে। এসব নদীর উৎসমুখ খুলে দিয়ে সাইফুন পদ্ধতিতে দ্বৈত প্রবাহ চালুর মাধ্যমে নদী বাচাঁনোর দাবি জানিয়েছে ইবি রিভারাইন পিপলের নেতারা। বুধবার দুপুর আড়াইটায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রেস কর্ণারে সংবাদ সম্মেলনে রিভারাইন পিপলের নেতারা এ দাবি জানিয়েছেন।

Post MIddle

বাংলা বিভাগের শিক্ষক ও রিভাইরাইন পিপলের ইবি শাখার আহ্বায়ক অধ্যাপক রবিউল হোসেনের সঞ্চালনায় লিখিত বক্তব্য উপস্থাপন করেন রিভারাইন পিপলের কেন্দ্রীয় পরিচালক সহযোগী অধ্যাপক আলতাফ হোসেন রাসেল।

এসময় আরো উপস্থিত ছিলেন সংগঠনটির উপদেষ্টা অর্থনীতি বিভাগের জেষ্ঠ অধ্যাপক আব্দুল মুঈদ, সদস্য তৌহিদুল ইসলাম এবং ওবাইদুল হক। এছড়াও উপস্থিত ছিলেন কুমার নদ রক্ষা কমিটির আহ্বায়ক আব্দুল্লাহ মারুফ, সাংবাদিক সমিতির সভাপতি ইমরান শুভ্র, সহ-সভাপতি মাহফুজ মিশু, সাধারণ-সম্পাদক হুমায়ুন কবির জিবনসহ বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতির সদস্যবৃন্দ।

আলতাফ হোসেন রাসেল লিখিত বক্তব্যে বলেন,‘ কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহ, মাগুরা এবং চুয়াডাঙ্গা অঞ্চল নিয়ে ৫০ এর দশকে জিকে সেচ প্রকল্প শুরু হয়। তখন ফারাক্কায় বাঁধ হয়নি। কিন্তু ফারাক্কায় বাঁধের পরে পদ্মায় পর্যাপ্ত পানি না থাকায় প্রকল্পটি এখন মৃত প্রায়। এ প্রকল্প বাস্তবায়নকালে এ অঞ্চলের ৮টি নদীর প্রবাহমুখ বন্ধ করে দেওয়া হয়। এতে এ অঞ্চলটি মরুকরণের পথে। অর্থনৈতিকভাবে কিছুটা লাভবান হলেও এ প্রকল্পের ফলে পরিবেশ ও জীববৈচিত্র্য প্রায় ধ্বংসের পথে। তাই পরিবেশের ভারসাম্য রক্ষার জন্য এসব নদীর উৎস মুখ খুলে দিয়ে দখল মুক্ত করতে হবে। একই সাথে সাইফুন পদ্ধদিতে নদীতে বাঁধের বদলে দ্বৈত প্রবাহ পদ্ধতি চালুর আহ্বান জানান তিনি। এতে নদী ও জিকে পদ্ধতি উভয়ই বাঁচবে।’

পছন্দের আরো পোস্ট