ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস

আজ ১ জুলাই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস। ১৯২১ সালের এ দিনে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল প্রাচ্যের অক্সফোর্ড খ্যাত ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়। এ হিসাবে আর ১ বছর পরই শতবর্ষে পা দেবে বিশ্ববিদ্যালয়টি। দিবসটির এবারের প্রতিপাদ্য- ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’।

দিবসটি উপলক্ষে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাণী দিয়েছেন। এতে তিনি বলেন, ‘মননশীলতার নিরবচ্ছিন্ন চর্চায় এবং দেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়নে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ভূমিকা অনন্য। রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, স্বাধীনতা সংগ্রামসহ সব গণতান্ত্রিক আন্দোলনে এ বিশ্ববিদ্যালয় অগ্রভাগে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছে।’

দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান ও সাবেক শিক্ষার্থীসহ দেশবাসীকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানিয়েছেন ভিসি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান। রোববার অধ্যাপক আবদুল মতিন চৌধুরী ভার্চুয়াল ক্লাসরুমে আয়োজিত প্রেস ব্রিফিংয়ে তিনি শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন জানান। এ সময় প্রোভিসি (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীনসহ সিনেট ও সিন্ডিকেট সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।

দেশবাসীকে শুভেচ্ছায় ভিসি বলেন, ‘এ বছরের ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় দিবস ‘মুজিববর্ষ ২০২০’ এবং ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের শতবর্ষ উৎসব ২০২১’ এর আগমনী বার্তা। এ দুটি বেঞ্চমার্ক সামনে রেখে শিক্ষার গুণগত মান নিশ্চিত করার লক্ষ্যে বাস্তবসম্মত ও বিজ্ঞান ভিত্তিক কর্মপরিকল্পনা গ্রহণ করা হবে। শিক্ষা ও গবেষণার উৎকর্ষ সাধনের লক্ষ্যে একজন ইমেরিটাস অধ্যাপকের নেতৃত্বে কমিটি গঠন করা হবে।

Post MIddle

এ কমিটির পরামর্শ ও সুপারিশের ভিত্তিতে নতুন কর্মপরিকল্পনা প্রণয়ন করা হবে। বিশ্ব র‌্যাংকিংয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অবস্থান সুসংহত করতে এ কমিটি ভূমিকা রাখবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।’ এদিকে দিবসটি উপলক্ষে বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন ভবনে আলোকসজ্জা করা হয়েছে। পাশাপাশি তিনটি গুরুত্বপূর্ণ প্রবেশপথে সুসজ্জিত তোরণ নির্মাণ করা হয়েছে। আজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সব ক্লাস ও পরীক্ষা স্থগিত থাকবে। তবে হল, বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও অন্যান্য অফিস যথারীতি খোলা থাকবে।

কর্মসূচি : সকাল ১০টার পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী, কর্মকর্তা-কর্মচারীদের প্রশাসনিক ভবনসংলগ্ন মলে জমায়েত, জাতীয় পতাকা এবং বিশ্ববিদ্যালয় ও হলগুলোর পতাকা উত্তোলন, পায়রা উড়ানো, কেক কাটা, সংগীত বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের উদ্বোধনী সঙ্গীত পরিবেশন এবং ভিসির নেতৃত্বে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা সহকারে ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে গমন। বেলা ১১টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে ‘গুণগত শিক্ষা, প্রতিবন্ধকতা ও উত্তরণ’ শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। এতে মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করবেন ইংরেজি বিভাগের ইমেরিটাস অধ্যাপক ড. এএফএম সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী।

এছাড়া সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত বিশ্ববিদ্যালয় গ্রন্থাগারে দুর্লভ পাণ্ডুলিপি প্রদর্শন করা হবে। চারুকলা অনুষদের উদ্যোগে বেলা ৩টায় অনুষদ প্রাঙ্গণে শিশু-কিশোর চিত্রাঙ্কন প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। বায়োমেডিকেল ফিজিক্স অ্যান্ড টেকনোলজি বিভাগের উদ্যোগে সকাল ১০টা থেকে বেলা ৩টা পর্যন্ত কার্জন হল ভবনের উত্তর-পূর্ব বারান্দায় উদ্ভাবিত চিকিৎসা প্রযুক্তির যন্ত্রপাতি প্রদর্শন করা হবে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদের (ডাকসু) উদ্যোগে বেলা ১১টায় বিশ্ববিদ্যালয় সুইমিং পুলে সাঁতার প্রতিযোগিতা, দুপুর সাড়ে ১২টায় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র থেকে সাইকেল শোভাযাত্রা এবং বেলা ৩টায় কেন্দ্রীয় খেলার মাঠে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় সাংবাদিক সমিতি ও ডাকসুর মধ্যে প্রীতি ক্রিকেট ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। এছাড়া ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সব অনুষদ, বিভাগ, ইন্সটিটিউট ও হল দিনব্যাপী নিজস্ব^ কর্মসূচির মাধ্যমে দিবসটি উদযাপন করবে। কর্মসূচির মধ্যে রয়েছে- কেক কাটা, বিতর্ক প্রতিযোগিতা, আলোচনা সভা, রচনা প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ, মিষ্টি বিতরণ ও আলোকসজ্জা।

পছন্দের আরো পোস্ট