বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের ৪৯তম বার্ষিক আন্তর্জাতিক সম্মেলন আজ ২২ জুন ২০১৯ শনিবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্র মিলনায়তনে অনুষ্ঠিত হয়েছে। সম্মেলনের প্রতিপাদ্য ছিল “ইতিহাসে নারী: দক্ষিণ এশিয়া প্রসঙ্গ”।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ও বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সভাপতি অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে সম্মেলনে জাতীয় সংসদের স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন। শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি দিনব্যাপী এই সম্মেলন উদ্বোধন করেন ।

বাংলাদেশ বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশনের চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ ও সদ্য বিদায়ী চেয়ারম্যান অধ্যাপক আবদুল মান্নান উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন। বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদের সাধারণ সম্পাদক অধ্যাপক ড. এ কে এম গোলাম রব্বানী স্বাগত বক্তব্য দেন। পরিষদের কোষাধ্যক্ষ ড. মোহাম্মদ হুমায়ুন কবির ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। পরিষদের যুগ্ম-সম্পাদক মো. আবদুর রহিম অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

স্পীকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী এমপি বলেন, মহান মুক্তিযুদ্ধ, ভাষা আন্দোলনসহ শিক্ষা, সংস্কৃতি, শিল্প, রাজনীতি, ব্যবসা-বাণিজ্য ও অর্থনীতিতে বাংলাদেশের নারীরা অনন্য অবদান রেখেছেন। কিন্তু অনেক নারী এখনও ইতিহাসে সেভাবে ঠাঁই পাননি। গবেষণার মাধ্যমে ইতিহাসে সফল নারীদের অবদান তুলে ধরার জন্য তিনি ইতিহাসবিদদের প্রতি আহ্বান জানান।

Post MIddle

তিনি বলেন, যথাযথ ইতিহাস চর্চার মাধ্যমে জাতির কাছে সঠিক তথ্য তুলে ধরতে হবে। অনেক প্রতিবন্ধকতা অতিক্রম করে বাংলাদেশের নারীরা বিভিন্ন ক্ষেত্রে জয়ের স্বাক্ষর রেখে চলেছেন উল্লেখ করে তিনি বলেন, নারীদের অসামান্য অবদানের কারণেই আজ সমাজ ও সভ্যতা এগিয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে নারী অগ্রগতির এক অনন্য দৃষ্টান্ত হিসেবে তিনি বর্ণনা করেন। নারীদের এই অগ্রগতির ধারাকে সামনে এগিয়ে নেওয়ার জন্য তিনি সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

শিক্ষামন্ত্রী ডা. দীপু মনি এমপি ভবিষ্যত প্রজন্মকে যোগ্য নাগরিক হিসেবে গড়ে তোলার লক্ষ্যে সঠিক ইতিহাস চর্চার উপর গুরুত্বারোপ করেন। তিনি বলেন, সঠিক ইতিহাস ছাড়া যোগ্য নেতৃত্ব গড়ে তোলা সম্ভব নয়। সঠিক ইতিহাস চর্চা এবং নারীর প্রতি মানুষের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তনের ক্ষেত্রে এই সম্মেলন সহায়ক ভূমিকা পালন করবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ইতিহাস সচেতন সমাজ বিনির্মাণের লক্ষ্যে ১৯৬৬ সালে বাংলাদেশ ইতিহাস পরিষদ গঠিত হয়। বাংলা ভাষায় সহজভাবে ইতিহাস চর্চা ও জাতির কাছে সঠিক ইতিহাস তুলে ধরার ক্ষেত্রে এই পরিষদ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে যাচ্ছে।

ইতিহাসে অতীত, বর্তমান ও ভবিষ্যত বিশ্লেষণ করা হয় উল্লেখ করে তিনি বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে নারীদের অবদান মূল্যায়নের সময় এসেছে। উন্নত দেশগুলোর তুলনায় বাংলাদেশে লিঙ্গ বৈষম্য কম মন্তব্য করে তিনি বলেন, নারীর ক্ষমতায়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এবং বহির্বিশ্বের মধ্যে তুলনামূলক আলোচনা হতে পারে।

সম্মেলনের ৬টি অধিবেশনে ৩৫টি প্রবন্ধ উপস্থাপন করা হয়। বাংলাদেশ এবং ভারতের খ্যাতিমান ইতিহাসবিদ, গবেষক ও শিক্ষাবিদগণ এসব প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন।

পছন্দের আরো পোস্ট