কুবি শিক্ষার্থী ময়নুলের মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন

|| কুবি প্রতিনিধি ||

 

‘হিন্দুধর্ম অবমাননার অভিযোগে’ কারাগারে পাঠানো কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী ময়নুল ইসলাম আবিরের নিঃশর্ত মুক্তি চেয়ে মানববন্ধন করেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের সাধারণ শিক্ষার্থীরা। শিক্ষার্থীদের দাবি ময়নুলের নামে ভুয়া আইডি খুলে একটি সাম্প্রদায়িক উস্কানিদাতা মহল তাকে ফাঁসিয়েছে।

 

বৃহস্পতিবার (২৩ মে) বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠাল তলা সংলগ্ন রাস্তায় এই মানববন্ধন করে তারা।

মানববন্ধনের সঞ্চালনা করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রত্নতত্ত্ব বিভাগের ১১ ব্যাচের শিক্ষার্থী আরিফিন রফিক। এসময় বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শতাধিক ছাত্রছাত্রী মানববন্ধনে অংশ নেয়।

Post MIddle

শিক্ষার্থীরা ময়নুল ইসলাম আবিরের মুক্তির দাবিতে “উস্কানিদাতাদের কালো হাত ভেঙ্গে দাও”, “আবিরের নিঃশর্ত মুক্তি চাই” এমন বিভিন্ন প্ল্যাকার্ড নিয়ে মানববন্ধনে উপস্থিত হোন।

 

শিক্ষার্থীরা শ্যামল চন্দ্র দাস নামের যে ফেইসকবুক আইডি দিয়ে “Moinul Islam Abir” আইডি থেকে করা সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি বিনষ্টকারী কমেন্টটি ছড়ানো হয়েছিল সেই আইডির আসল পরিচয় উদঘাটনের দাবি জানায়। পাশাপাশি মানববন্ধন থেকে আবিরকে অন্যায়ভাবে জিডি করতে গেলে জিডি না নিয়ে মামলা দিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে বলে তিব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়।

মানববন্ধনে অংশ নেয়া শিক্ষার্থী কামাল হোসেন বলেন- “পুলিশের দায়েরকৃত মিথ্যা মামলায় আটক মইনুল ইসলাম আবিরের নিঃশর্ত মুক্তি চাই। আবিরকে মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে।”

 

উল্লেখ্য, ১৯ মে আনুমানিক রাত ১০ টা ৫২ ঘটিকায় “Moinul Islam Abir” নামক আইডি থেকে এক ফেসবুক স্ট্যাটাসে “বাংলাদেশের মালাউনগুলোকে জুতাপেটা করে ভারতে পাঠিয়ে দেয়া হোক। সেখানে গিয়ে তাদের সেক্সি মা দুর্গার সাথে সেক্স না করলে এদের বুদ্ধি হবেনা। বাংলাদেশের মাটিতে মালাউনদের ঠাঁই নাই” এমন বিরূপ মন্তব্যটি ভাইরাল হয়। তারই ভিত্তিতে কুমিল্লা কোতোয়ালি মডেল থানার এস আই (নিঃ) খালেকুজ্জামান বাদী হয়ে ২০ মে শিক্ষার্থী ময়নুল ইসলাাম আবিরের বিরুদ্ধে ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর সেদিন রাতেই তাকে এই মামলায় আবিরকে গ্রেফতার দেখানো হয়। গ্রেফতারের পর ২২ মে তাকে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়।

 

 

/প্রতিনিধি/এমকে

পছন্দের আরো পোস্ট