ল্যাপটপ পেল ড্যাফোডিলের ১০০০ শিক্ষার্থী

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ

তথ্য প্রযুক্তির ক্রমবিকাশমান ধারার সাথে প্রতিটি শিক্ষার্থীকে যুগোপযোগী করে তুলতে এবং প্রতিযোগীতা মূলক চাকরি বাজারে দক্ষতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে ‘একজন ছাত্র একটি ল্যাপটপ’ প্রকল্পের নিয়মিত কর্মসূচীর অংশ হিসাবে ২১তম পর্বে গত (২৯ এপ্রিল ২০১৯) সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের ৭১ মিলনায়তনে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি’র শিক্ষার্থীদের মাঝে বিনামূল্যে ১০০০টি 7th Generation এর ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রাশেদুল ইসলাম।

বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান প্রফেসর ড. সৈয়দ আকতার হোসেন। ল্যাপটপ প্রদানের পূর্বে বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হামিদুল হক খান একাডেমিক ও শিক্ষা কার্যক্রমে ল্যাপটপের সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করার প্রত্যয়ে শিক্ষার্থীদের শপথবাক্য পাঠ করান। ড্যাফোডিল কম্পিউটার্স লিমিটেডের সহায়তায় ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয় ২০১০ সালের সামার সেমিস্টার থেকে এ পর্যন্ত ২৮০০০ ল্যাপটপ বিতরণ করা হয়।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে আইসিটি ডিভিশনের অতিরিক্ত সচিব মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, আজ থেকে দশ বছর আগে ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার যে স্বপ্ন বর্তমান সরকার দেখেছিল সেই স্বপ্ন পূরণে অগ্রণী ভূমিকা পালন করছে ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল ইউনিভার্সিটি।

Post MIddle

বিশ্ববিদ্যালয়টি তাদের শিক্ষার্থীদেরকে প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষায় শিক্ষিত করার পাশাপাশি আধুনিক প্রযুক্তিনির্ভর শিক্ষায় শিক্ষিত করার মাধ্যমে দেশকে দক্ষ মানবসম্পদ উপহার দিচ্ছে। শুধু তাই নয়, দেশের উন্নয়নের সঙ্গে তাল মিলিয়ে নিজেদের শিক্ষা কার্যক্রমেও প্রশংসনীয় উন্নয়ন ঘটিয়েছে ড্যাফোডিল বিশ্ববিদ্যালয়।

শিক্ষার্থীদের হাতে ডিসিএল ব্র্যান্ডের ল্যাপটপ তুলে দিয়ে মোঃ রাশেদুল ইসলাম বলেন, ল্যাপটপ শুধু গান শোনা বা মুভি দেখার যন্ত্র নয়; বরং এটি এমন একটি যন্ত্র যার মাধ্যমে সারা পৃথিবীর জ্ঞান বিজ্ঞানের সঙ্গে যুক্ত হওয়া যায়। তিনি শিক্ষার্থীদের এই ল্যাপটপের মাধ্যমে নিজেকে ভবিষ্যৎ কর্মক্ষেত্রের জন্য প্রস্তুত করার আহ্বান জানান।

মোঃ রাশেদুল ইসলাম আরো বলেন, স্বপ্ন দেখো এবং স্বপ্ন পূরণে আত্মপ্রত্যয়ী হও। বঙ্গবন্ধু থেকে মার্টিন লুথার কিং সবাই মহৎ স্বপ্ন দেখেছিলেন এবং সেই স্বপ্ন পূরণে সর্বোচ্চ ত্যাগ স্বীকার করেছেন বলেই আমরা একটি সুন্দর পৃথিবীতে বসবাস করতে পারছি। এই পৃথিবীকে আরও সুন্দর, নিরাপদ ও বসবাসযোগ্য করার জন্য তোমারদেরকেও মহৎ স্বপ্ন দেখতে হবে।

কম্পিউটার সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের প্রধান অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন বলেন, ল্যাপটপ শুধু একটি যন্ত্র নয়, এটি একটি ক্ষমতা। আজ থেকে তোমরা একটি বিশেষ ক্ষমতা হাতে পেলে। তবে ক্ষমতার অপব্যবহার কখনোই সুফল বয়ে আনে না। তাই এই ক্ষমতার সদ্ব্যবহারের মাধ্যমে শিক্ষার্থীরা নিজেদেরকে ভবিষ্যৎ কর্মজীবনের উপযোগী হিসেবে গড়ে তুলবে বলে তিনি আশা প্রকাশ করেন।

এ সময় অধ্যাপক ড. আকতার হোসেন নিজের ব্যবহৃত ২৫ বছর আগের একটি ল্যাপটপ দেখিয়ে বলেন, ১৯৯৬ সাল থেকে এই ল্যাপটপ আমার সঙ্গে আছে। আমার কর্মজীবনের যা কিছু অর্জন তার পেছনে এই ল্যাপটপের বিরাট অবদান রয়েছে। আজ শিক্ষার্থীদের হাতে যে ল্যাপটপ তুলে দেওয়া হলো সেটিও তাদের জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেবে বলে মন্তব্য করেন তিনি।

পছন্দের আরো পোস্ট