ডাকসু ও হল সংসদ : অভিজ্ঞতা শুনি সমৃদ্ধ হই’

ঢাবি প্রতিনিধিঃ

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (ডাকসু) ও হল সংসদের নব-নির্বাচিত প্রতিনিধিদের দায়িত্ব পালন উপলক্ষে ‘ডাকসু ও হল সংসদ : অভিজ্ঞতা শুনি সমৃদ্ধ হই’ শীর্ষক এক অনুষ্ঠান আজ ১৫ এপ্রিল ২০১৯ সোমবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য ভবন চত্বরে অনুষ্ঠিত হয়।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ এমপি প্রধান অতিথি এবং ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ইন্টারন্যাশনাল বিজনেস বিভাগের সংখ্যাতিরিক্ত অধ্যাপক ড. খন্দকার বজলুল হক ও ডাকসুর সাবেক সাধারণ সম্পাদক ডা. মুশতাক হোসেন বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন।

এসময় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রো-উপাচার্য (প্রশাসন) অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক ড. মো. কামাল উদ্দীন, ডাকসুর কোষাধ্যক্ষ অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াতুল ইসলাম, চিফ রিটার্নিং অফিসার অধ্যাপক ড. এস এম মাহফুজুর রহমান, বিভিন্ন হলের প্রভোস্ট এবং ডাকসু ও হল সংসদের নব-নির্বাচিত প্রতিনিধিরা উপস্থিত ছিলেন। ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার মো. এনামউজ্জামান অনুষ্ঠান সঞ্চালন করেন।

Post MIddle

উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আখতারুজ্জামান ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ও ডাকসুকে একে অপরের পরিপূরক হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, এখানে কেউ কারো প্রতিপক্ষ নয়। শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখতে সবাইকে সমন্বিত ও ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করতে হবে। স্বাধীনতার পূর্বের ছাত্র আন্দোলন এবং বর্তমানের ছাত্র আন্দোলনের গতি, প্রকৃতি ও ধরন ভিন্ন উল্লেখ করে তিনি বলেন, সমৃদ্ধ জাতি গঠন ও শিক্ষার মানোন্নয়নে ডাকসু ও হল সংসদ প্রতিনিধিদের নিজ নিজ অবস্থান থেকে কাজ করতে হবে।

ডাকসুর সাবেক ভিপি তোফায়েল আহমেদ এমপি বর্ণাঢ্য ছাত্র জীবন ও স্বাধীনতা আন্দোলনের অগ্নিঝরা দিনগুলোর স্মৃতিচারণ করে বলেন, তখন ছাত্র-শিক্ষক সম্পর্ক ছিল অত্যন্ত মধুর। শিক্ষকগণ ছাত্রদের স্নেহ করতেন, ছাত্ররাও শিক্ষকদের শ্রদ্ধা করতেন।

পারস্পরিক শ্রদ্ধাবোধ ও সম্পর্কের কারণে তখন ছাত্রদের অনেক দাবী সহজেই আদায় হয়ে যেত। সেসময় বিভিন্ন ছাত্র সংগঠনের মধ্যে সম্প্রীতি ও সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক ছিল। এই ঐতিহ্য অনুসরণ করে বর্তমান ছাত্র সংগঠনগুলোর মধ্যে সৌহার্দপূর্ণ সম্পর্ক গড়ে তোলার ওপর তিনি গুরুত্বারোপ করেন।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়কে নেতা তৈরীর কারখানা হিসেবে বর্ণনা করে তিনি বলেন, বিভিন্ন গণতান্ত্রিক আন্দোলনে ডাকসু গৌরবোজ্জ্বল ভূমিকা পালন করেছে। বঙ্গবন্ধুৃর আদর্শ ধারণ করে অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী হওয়ার জন্য ডাকসু নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, নুসরাত হত্যাকা-ের মতো সামাজিক অবক্ষয় রোধেও তাদের বলিষ্ঠ ভূমিকা পালন করতে হবে।

‘ছাত্রত্ব শেষ হওয়ার পর একদিনও হলে থাকিনি’ উল্লেখ করে তোফায়েল আহমেদ বলেন, বর্তমান প্রজন্মের শিক্ষার্থীদেরও এই নীতি অনুসরণ করতে হবে। ক্যাম্পাসে শিক্ষার সুষ্ঠু পরিবেশ বজায় রাখার জন্য তিনি সংশ্লিষ্ট সকলের প্রতি আহ্বান জানান।

পছন্দের আরো পোস্ট