সাতক্ষীরা পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট

আব্দুর রহমান,সাতক্ষীরা:

কারিগরি শিক্ষাব্যবস্থার মধ্যে পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটগুলো অন্যতম ভূমিকা পালন করে আসছে। এরই ধারাবাহিকতা অব্যাহত রেখেছে সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট। পড়াশোনার পাশাপাশি নিয়মিত ক্রীড়া, সাংস্কৃতিক ও স্বেচ্ছাসেবী কার্যক্রম এবং খেলাধুলায় অংশ নেন এ কলেজের শিক্ষার্থীরা।

সাতক্ষীরা শহরের লাবসা এলাকায় ২.০৫ একর জমির ওপর ২০০২ সালে নির্মিত হয় সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট এবং ২০০৪ সাল থেকে ক্লাস কার্যক্রম শুরু হয়। এই প্রতিষ্ঠানে বর্তমানে চার বছর মেয়াদী ডিপ্লোমা-ইন-ইঞ্জিনিয়ারিং কোর্সে ৬টি বিভাগ চলমান রয়েছে।

Post MIddle

তার মধ্যে কম্পিউটার, ইলেকট্রনিকস, সিভিল, ট্যুরিজম, এনভায়রনমেন্ট ও আরএসি বিভাগে বর্তমানে মোট ছাত্র-ছাত্রী প্রায় ১৫০০ জন। বর্তমানে এ প্রতিষ্ঠানে ১৫ জন শিক্ষক ও ২১ জন কর্মচারী কর্মরত আছেন। সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটে অধ্যক্ষ প্রকৌশলী জিএম মো. মাকসুদুর রহমান ২৬ ডিসেম্বর ২০১৮ সালে যোগদান করেন।

তিনি যোগদান করার পর থেকে এ কলেজের সাহিত্য-সংস্কৃতি, ক্রীড়া ও বিভিন্ন জাতীয় কর্মসূচিতে শিক্ষক ম-লী সহয়তায় এ প্রতিষ্ঠান সাফল্য অর্জন করে চলেছে। এ ছাড়াও বিভিন্ন জাতীয় ও আন্তর্জাতিক দিবসের আয়োজন করা হয় এ কলেজ ক্যাম্পাসে।

কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা বলেন, আমাদের কলেজের লেখাপড়ার মান অনেক ভালো এবং অধ্যক্ষ স্যারসহ সকল স্যারেরা আন্তরিকতার সাথে পাঠদান করান। কিন্তু আমাদের কালেজের একটি প্রধান সমস্যা হলো কলেজের হোস্টেল নেই। এছাড়া একটি খেলার মাঠ ও মসজিদ নির্মাণ আবশ্যক। সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেন শিক্ষার্থীরা।

সাতক্ষীরা সরকারি পলিটেকনিক ইনস্টিটিউটের অধ্যক্ষ প্রকৌশলী মো. মাকসুদুর রহমান বলেন, শিক্ষার পাশাপাশি বাস্তব ও কর্মমুখী শিক্ষা দেয়া হয়। এটি বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনে পরিচালিত হয়। কারিগরি শিক্ষায় সফল ক্যারিয়ার গড়ে তোলা সম্ভব। আমাদের শিক্ষক, শিক্ষার্থী এবং অভিভাবকদের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় আগামী দিনেও এ কলেজের শিক্ষার মানোন্নয়ন এবং ভালো ফলাফল অর্জনের চেষ্টা অব্যাহত থাকবে।

পছন্দের আরো পোস্ট