লক্ষ্য বিশ্বমানের মেডিকেল

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য  মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী সিলেট এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের এমবিবিএস ১৬তম ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন। ২০১৪ সালে তিনি সিলেট  এম এ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজের অধ্যক্ষ এবং শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্যাকাল্টি অব মেডিসিনের ডিন হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। এ ছাড়া তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের সদস্য, অবস্ট্রেটিক্যাল অ্যান্ড গাইনোকোলজিক্যাল সোসাইটি অব বাংলাদেশের সিলেট বিভাগীয় প্রধান হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।

সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিষ্ঠাকালীন উপাচার্যের দায়িত্বকে একটি ঐতিহাসিক ও জীবনের অন্যতম সেরা অর্জন বলে মনে করছেন মোর্শেদ আহমেদ চৌধুরী। মিডিয়ার সঙ্গে আলাপকালে উপাচার্য জানান, সিলেটে মেডিকেল শিক্ষা শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে পরিচালিত হতো। এখন সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে পরিচালিত হবে। এর মাধ্যমে এই বিশ্ববিদ্যালয় মেডিকেল, ডেন্টাল ও নার্সিং প্রতিষ্ঠানগুলো নিয়ন্ত্রকের দায়িত্ব পালন করবে। পরীক্ষা গ্রহণ ও সনদ দেওয়া হবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মাধ্যমে।

Post MIddle

মেডিকেল শিক্ষাকে উন্নত করতে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের ধারা থেকে সরিয়ে নিতেই আলাদা মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় প্রয়োজন—এমন মত তাঁর। তিনি বলেন, ‘সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্য দিয়ে আমাদের এই চাওয়া পূর্ণ হয়েছে। দাপ্তরিক কাজের মধ্যে কর্মপরিকল্পনা তৈরির কাজ চলছে। সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রধান লক্ষ্যগুলোর মধ্যে বিশ্বমানের মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে গড়ে তোলা, নতুন নতুন রোগ ও চিকিৎসার জন্য গবেষণা বাড়ানো। মেডিকেলের শিক্ষক হতে হলে শুধু এমবিবিএস ডিগ্রি নিলেই হয় না, পোস্টগ্র্যাজুয়েট হতে হয়। সে জন্য নতুন শিক্ষক তৈরি করতে পোস্টগ্র্যাজুয়েটদের মান উন্নয়ন হবে আমাদের বিশ্ববিদ্যালয়ের অন্যতম একটি লক্ষ্য।’

নিজের স্বপ্ন আর কর্মপরিকল্পনা সম্পর্কে উপাচার্য আরও বলেন, ‘১০০ একর জায়গায় সবুজ ক্যাম্পাসের বিশ্ববিদ্যালয় হবে। সেখানে খোলা জায়গা বেশি থাকবে। গবেষণাকে গুরুত্ব দেওয়া হবে বেশি। মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় ক্যাম্পাসেই দ্বিতীয় ধাপে  তৈরি করা হবে বিশ্বমানের হাসপাতাল। উপাচার্য  হিসেবে আমার মেয়াদ চার বছর। এর মধ্যেই বিশ্বের উন্নত মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর মধ্যে অন্যতম হিসেবে সিলেট মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়কে রেখে  যেতে চাই।’

প্রথম আলোর সৌজন্যে

পছন্দের আরো পোস্ট