সফলতা অর্জনে পড়াশোনার কোন বিকল্প নেই

বাবা জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক এবং বর্তমানে তিনি এই বিশ্বিবদ্যালয়ের উপ-উপাচার্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। ছোট বেলা থেকেই আমার মা আমাকে অনুপ্রেরণা দিয়ে বলতেন বড় হয়ে তোমার বাবার মত একজন শিক্ষক হবে। আমার সেই মমতাময়ী মায়ের অনুপ্রেরণা আর স্নেহশীল পিতার উৎসাহ আমাকে আজ এই মর্যাদায় আসিন করেছে।

স্মৃতি বিজড়িত কথা গুলো বলছিলেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের ৫ম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক প্রাপ্ত অর্থনীতি বিভাগের সাবেক কৃতি শিক্ষার্থী এবং বর্তমানে একই বিভাগের লেকচারার নাবিলা নুজহাত। আর তারই সাফল্য গাঁথার কথা তুলে ধরেছেন আমাদের জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি।

কেমন আছেন?
নাবিলাঃ ধন্যবাদ। (মিষ্টি হেসে বললেন) অনেক ভাল আছি।

জীবনবৃত্তান্ত সম্পর্কে কিছু বলবেন কি?
নাবিলাঃ হ্যাঁ অবশ্যই। আমি ঢাকা শহরেই বড় হয়েছি। বাবার চাকুরি সূত্রে ছোটবেলা থেকেই জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের হাওয়া-বাতাসে আমার বেড়ে উঠা। জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের স্কুল এ্যান্ড কলেজ থেকেই ২০০২সালে এসএসসি এবং ২০০৪সালে এইচএসসি পরীক্ষায় লেটার নিয়ে উত্তীর্ণ হয়। তার পর ২০০৪-২০০৫ শিক্ষাবর্ষে অর্থনীতি বিভাগের ভর্তি হয়। অনার্স শেষে লন্ডনের শেফিল্ড থেকে মাস্টার্স করি। আর বর্তমানে অথনীতি বিভাগেই লেকচারার হিসেবে কর্মরত আছি।

৫ম সমাবর্তনে স্বর্ণপদক প্রদান করার বিষয়টি জানতে পারার পর আপনার অনুভূতি কেমন ছিল?
নাবিলাঃ ড়নারড়ঁংষু-এটাতো অনেক আনন্দের বিষয়। কে না চাই যে রাষ্ট্রপতির হাত থেকে স্বর্ণ পদক নিতে । বিষয়টি জানার পর আমি এত বেশি আনন্দিত হয়েছি যা ভাষায় প্রকাশ করা মত নয়।

Post MIddle

সাফল্যের পেছনে কার অবদান সবচেয়ে বেশি ?
নাবিলাঃ প্রথমেই বলেছি আমার মা আমাকে সবচেয়ে বেশি অনুপ্রেণিত করেছে। মায়ের অনুপ্রেরনা আর নিজের কঠোর অধ্যবসায়ের ফলে এটা সম্ভব হয়েছে।

কোন ঘটনা ?
নাবিলাঃ বাবার প্রত্যাশা অনুযায়ী এসএসসিতে ৬টি বিষয়ে লেটার পাওয়ার পর আমার পরিবারে যে আনন্দের বন্যা বইছিল তা ভাষায় প্রকাশ করার মত নয়। তাছাড়া র‌্যাগের দিনটি আমার কাছে চির অম্লান হয়ে থাকবে। ঐদিনটির কথা কখনো ভুলে যাওয়ার মত নয়।

ভবিষৎ পরিকল্পনা কি?
নাবিলাঃ আমার পিতা সারা জীবন দেশ ও জাতি গড়ার কাছে নিয়োজিত ছিলেন। তার আদর্শকে ধারণ করে দেশ ও জাতির মেরুদন্ড তৈরির কাজ শুরু করেছি। ভবিষ্যতে শিক্ষকতার মাধ্যমেই দেশ ও জাতির সেবা করতে চাই। ।

অর্থনীতি বিভাগের সমস্যা কাটিয়ে উঠার বা উত্তরণের উপায় কি হতে পারে বলে আপনি মনে করেন?
নাবিলাঃ অর্থনীতি বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ বিভিন্ন চিন্তা-ধারার হওয়া সত্বেও তাদের মাঝে রয়েছে হৃদয়ের বন্ধন ও সহযোতিার মানসিকতা। অর্থনীতি বিভাগে যেহেতু মেধাবী শিক্ষার্থীরাই ভর্তি হয় তাই তাদের নিয়ে আমরা আশাবাদী। তবে অর্থনীতি বিভাগে সেশনজটের মত সমস্যাকে আমরা কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছি এবং অনেকাংশে তা সম্ভব হয়েছে।

নবাগত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে কিছু বলবেন কি?
নাবিলা: নতুন শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে বলবো জীবনে সফলতা অর্জনের জন্য লেখাপড়ার কোন বিকল্প নেই। তাই কঠোর অধ্যাবসায় চালিয়ে যাও সফলতা অবশ্যই পাবে। আর লেখাপড়ার পাশাপাশি বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সাথে যোগদান করে মানুষের সেবাই নিজেকে নিয়োজিত করবে।

মূল্যবান সময় দেওয়ার জন্য লেখাপড়ার পক্ষ থেকে আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
নাবিলা: আপনাদেরও অসংখ্য ধন্যবাদ।

পছন্দের আরো পোস্ট